ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় নির্বাচনী কেন্দ্র খরচ প্রদানে ইউএনও’র নয়-ছয়ের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail ইউএনও, উম্মে তাবাসসুম

রোববার (৭জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী। যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের এবং প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ ছিল নির্বাচন কমিশন থেকে।

সেই অর্থ কোথাও বন্টন হয়েছে সঠিকভাবে আবার কোথাও বন্টনে হয়েছে অনিয়ম। যেন সরকারি টাকার হিসাব নেওয়ার কেউ নেই। এমনই ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগরে। অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার উম্মে তাবাসসুম সরকারি নির্ধারিত কেন্দ্র খরচ দিতে গড়িমসি করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রের ৩৬৫টি স্থায়ী বুথ আর ৬৯টি অস্থায়ী বুথের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে ভোট গ্রহণের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য রশি ও অন্যান্য ষ্টেশনারী সরঞ্জাম কেনার জন্য ২হাজার টাকা অথবা এর অধিক টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী কক্ষের খরচের জন্যও আলাদা অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। সেখানে ৮টি বুথের নিচের নির্বাচনী কেন্দ্রের খরচ হিসেবে মাত্র ১হাজার টাকা, ৮টি বুথের উপরের কেন্দ্রে কাউকে দেড় হাজার আবার কাউকে ২হাজার টাকা খরচ হিসেবে অর্থ প্রদান করেন ইউএনও। এছাড়া নিয়মানুসারে স্টেশনারী সামগ্রীগুলো স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা কিনে নেওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় স্টেশনারী সামগ্রীগুলো কিনেছেন বলে তাদেরকে জানান।

এদিকে নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলায় নির্বাচনী কেন্দ্র খরচ সঠিকভাবে বন্টন হলেও রাণীনগর উপজেলার অনিয়মের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন স্বেচ্ছাচারিতায় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রায় প্রতিটি কর্মকর্তাদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টির ঘটনা ঘটেছিলো। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি উপজেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হওয়ায় অনেকে মুখ খুলতে ও সরাসরি নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। কেউ প্রকাশ্যে কোন কথা বলতে নারাজ বলে জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মী ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানলে পরবর্তিতে সম্প্রতি উপজেলার প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ৫শত করে টাকা ফেরত দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। আর ফেরত দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।  

এই রকম ঘটনায় কেন্দ্রে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্ত্বে উপজেলার অধিকাংশ প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে সেখানে এক অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘন্টা পরও যখন ইউএনও বিষয়টির কোন সমাধান করেননি, তখন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বাধ্য হয়েই স্ব স্ব ভোট কেন্দ্রে চলে যান। এরপর ভোট সম্পন্ন করে উপজেলা পরিষদে আসলে ইউএনও সাদা কাগজে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নিয়ে সকল নির্বাচনী সরঞ্জাম গ্রহণ করেন। এমনকি নির্বাচনী ফলাফল প্রদানের সময় ফলাফল কেন্দ্রে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কারো জন্য কোনো নাস্তারও ব্যবস্থা ছিলো না। তাই প্রশ্ন জেগেছে ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিনে কন্ট্রোলরুমের খরচের জন্য বরাদ্দকৃত ২লাখ ৯৩হাজার টাকা কোথায় হারিয়ে গেলো। সেই অর্থের হিসেব কে নিবে?

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট সকল সরঞ্জাম পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও নির্বাচন কর্মকর্তার সমন্বয়ে করতে হয়। কিন্তু রাণীনগর উপজেলার চিত্র পুরোপুরি উল্টো। এখানে থানার ওসি ও নির্বাচন কর্মকর্তা কাউকেই অবগত করা হয়নি। সেখানে তার নির্দেশনায় সকল কিছু হয়েছে। তাই প্রতিটি কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ভাড়া হিসেবে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক ভাবে প্রদান নিয়েও সন্দিহান প্রকাশ করেছেন অনেকে।

জেলা সদর উপজেলার হালঘোষপাড়া নির্বাচনী কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ওয়াহেদুল্লাহ জানান, তিনি নির্বাচনী কেন্দ্রের খরচ হিসেবে সম্পন্ন টাকা পেয়েছেন এবং নির্বাচন শেষে তার অধিনে থাকা সকল ব্যক্তিদেরও তিনি সঠিক হিসেবে প্রাপ্ততা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

জেলার মহাদেবপুর উপজেলার একটি কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী মিজানুর রহমান জানান, আমরা তিনজন ছিলাম একটি কেন্দ্রের দায়িত্বে। প্রিজাইডিং অফিসার পেয়েছে ৮হাজার, আমি পেয়েছি ৬হাজার ৪০০ এবং আরেক জন পোলিং অফিসার পেয়েছে ৪হাজার ৪০০ টাকা। এছাড়া কেন্দ্র খরচ হিসেবে দুই হাজার ৯০টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি জোর দিয়েই জানালেন যে, টাকা আমি ভাগ করে দিয়েছি। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই একই পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা। এছাড়া যানবাহন থানা থেকে ঠিক করে দেওয়ার কথা বলেও জানান তিনি।

৪ হাজার ৪শত টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে একই উপজেলায় হাতুড় ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বিকাশ জানান, আমার জানামতে সকলে সরকারি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ পেয়েছে।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন মুঠোফোনে বলেন, নির্বাচনী দিনের জন্য খরচের অর্থের বরাদ্দ আসে জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে। সেখান থেকে উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তাদের নগদ অর্থ কিংবা চেকের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তাই নির্বাচনী দিনের জন্য যানবাহনসহ অন্যান্য বরাদ্দকৃত খরচের অর্থের বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এগুলোর বিষয়ে আমাকে কোনো কিছু অবহিত করেন নাই। তিনি সরাসরি না বললেও অন্যভাবে বললেন, ইউএনও একাই অন্য কারো সহযোগীতা নিয়ে নির্বাচনী খরচ করতে পারেন। তারপরও যেহেতু এটা নির্বাচনী ব্যয়, তাই সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসারকে অবগত করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। একইভাবে বললেন রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ। তিনি জানালেন নির্বাচনের দিন যানবাহনের ভাড়ার বিষয়ে আমাদের কোনো অবগত করা হয়নি। আমরা এবিষয়ে কিছু জানি না। ইউএনও অফিস থেকে সবকিছু করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এস. রবিন শীষ জানান, ভোট গ্রহণের দিনের পুরো খরচের অর্থ তিনি প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বরাদ্দ অনুসারে প্রকাশ্যে প্রদান করেছেন। এছাড়া ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের প্রাপ্ততা সঠিক ভাবে বন্টন করেছেন বলেও তিনি জানান।

বুথ প্রতি প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্বাচনী বরাদ্দের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার উম্মে তাবাসসুম বলেন, অফিসে এসে দেখে যান। এছাড়া অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করার আগেই আবারও অফিসের কথা বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি।


নওগাঁ   নির্বাচন   ইউএনও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শুক্রবার ক্লাস নেওয়া নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ভুলবশত: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টটি ‘ভুলবশত’ করা হয়ছিল বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (৫ মে) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে বন্ধের কারণে শিখন ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ওই পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা–সমালোচনা।

ফেসবুকে দেওয়া নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে আবারও স্কুল কলেজগুলোতে পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে,  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।   

এদিকে, শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকরাও পড়েছে দোটানায়। কোন ঘোষণা ঠিক আর কোনটি ভুল এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তুলকালাম আলোচনা। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃহস্প‌তিবার ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের ৯ তারিখ বৃহস্প‌তিবার ঢাকা সফরে আস‌ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে তার। 

ঢাকার এক‌টি কূটনৈ‌তিক সূত্র কোয়াত্রার ঢাকা সফ‌রের তথ্য নি‌শ্চিত করেছে। 

সূত্র জানায়, আগামী ৯ মে ভারতীয় পররাষ্ট্র স‌চিবের ঢাকায় আসার তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা সফরে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র স‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের স‌ঙ্গে। গত ২০ এ‌প্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত হয়।

জানা গেছে, এক‌দিনের আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কোয়াত্রা। আশা করা হচ্ছে, সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।


ভারতীয় পররাষ্ট্র স‌চিব   বিনয় কোয়াত্রা   ঢাকা সফর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।

পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. লায়েক আলী বলেন, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলেও শিলাবৃষ্টির কারণে আমার বসত ঘরের টিনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গাড়ি চালক সৈকত বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গরম কমলেও আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। 


হবিগঞ্জ   কালবৈশাখী ঝড়   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন