দ্বাদশ জাতীয়
সংসদের ৫০ সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী
সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। ভোট হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে।
মঙ্গলবার (১৬
জানুয়ারি) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য
জানান।
তিনি বলেন,
সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ সদস্যদের তালিকা, যারা ভোটার হবেন তাদের তালিকা আমরা পেয়েছি।
ভোটার তালিকা যেভাবে প্রকাশিত হয় সেভাবে খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। প্রকাশ হওয়ার পর যদি
কোনো আপত্তি না থাকে তবে এটিই হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। পরে কমিশনের অনুমোদনক্রমে
তফসিল ঘোষণা হবে। তারপর নির্বাচনের প্রয়োজন হলে হবে আর না হলে হবে না।
তফসিল ঘোষণা
নিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী সপ্তাহে আমরা এ প্রস্তাব কমিশনে ওঠাব। কমিশন অনুমোদন
দিলে তফসিল ঘোষণা হবে। আগামী সপ্তাহে তফসিল হলে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে।
৬২ জন স্বতন্ত্র
সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনের বণ্টন কীভাবে হবে- জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা
বলেন, কীভাবে হবে এ ব্যাপারে কমিশনের তেমন কোনো বক্তব্য নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে
চিঠি দেব, দলগুলো কোটা অনুযায়ী কতটি পাবে সে ব্যাপারে বলে দেওয়া হবে। স্বতন্ত্ররা যদি
এক না হয় তাহলে তার সমাধান কীভাবে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক
দলকে চিঠি দেব, স্বতন্ত্রদের নয়। স্বতন্ত্রদেরটা কীভাবে হবে, তা পরে দেখা যাবে। এ মুহূর্তে
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না। জোট করা ছাড়া স্বতন্ত্রদের আসন বণ্টন নিয়ে অশোক
কুমার বলেন, এটা কঠিন হবে। স্বতন্ত্রদের সিদ্ধান্ত নিয়েই তা করা হবে। এটি পলিটিক্যাল
বিষয়, এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই।
অন্য এক প্রশ্নের
জবাবে অশোক কুমার বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এখনো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের
উপনির্বাচনের বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি। আর উপজেলার তালিকা পেয়েছি। এ নির্বাচনের জন্য
কমিশন সচিবালয় প্রস্তুত রয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা হতে
পারে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন
বণ্টন করা হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ভোটার
হন।
অতিরিক্ত সচিব
অশোক কুমার আরও বলেন, দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের তফসিলের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি
নিয়ে রাখা হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোটার তালিকা তৈরিসহ প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে
রাখছি। কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হলে তফসিল দেওয়া হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ
২২৩, জাতীয় পার্টি ১১, জাসদ ১, ওয়ার্কার্স পার্টি ১, কল্যাণ পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র ৬২
আসন পেয়েছে। বাকি একটি আসন নওগাঁ-২-এ একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৩৮ (নৌকা প্রতীকে জয়ী জাসদ, ওয়ার্কার্স
পার্টির দুজনসহ), জাতীয় পার্টি ২, স্বতন্ত্ররা জোটভুক্ত হয়ে ১০ সংরক্ষিত আসন পেতে পারে।
সরাসরি নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পাওয়ায় সংরক্ষিত
নারী আসন না পেলেও স্বতন্ত্ররা কোথাও যোগ দিলে তখন হিসাব পাল্টাবে। এ নির্বাচনে ভোটের
জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই।
৫০ সংরক্ষিত
নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমানসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয় বলে প্রত্যাহারের
সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।