ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতায় সরগরম মাঠ


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জেও বইছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া। জেলাজুড়েই চলছে নির্বাচনী তোড়জোড়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, জেলা থেকে কেন্দ্রের নেতাদের কাছে। দলীয় মনোনয়ন পেতে শুরু করেছেন লবিং। প্রচার চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন থেকেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছেন। এক্ষেত্রে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপিতে এখনো নির্বাচন ঘিরে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

জানা যায়,আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মতো উন্মুক্ত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকে প্রার্থী দিলেও নেতাকর্মীরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন এ বিষয়ে দলের ভেতরে আলাপ-আলোচনা চলছে।

বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মত এবারো দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকের আশায় দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের দায়িত্বশীলদের কাছে শরণাপন্ন হচ্ছেন। পাশাপাশি এলাকায় সরব রয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে প্রার্থিদের প্রচার প্রচারণা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই প্রথম ধাপের তফশিল ঘোষণা হবে। তাই ভেতরে ভেতরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু করেছেন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ এ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের চার নেতা সহ স্বতন্ত্র একাধিক নেতা আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন। তবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলেও তাকে হারিয়ে বিজয়ী হন বিদ্রোহী প্রার্থী তৎকালীন ভাইসচেয়ারম্যান মাসুদ আল মামুন খান।

গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হলেও সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন এবারো দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।তিনি ছাড়াও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গত নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ আল মামুন খানও এবার দলের মনোনয়ন চাইবেন।

এছাড়াও আরও চার নেতা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তারা হলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার,জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো: সাজ্জাদুল ইসলাম। এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সাফাত। শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছে তিনি। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইদ্রিস আলীর ছেলে খালেদ সাইফুল্লাহ সাফাত ইতিমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। করোনাকালীন দুর্যোগময় মুহুর্তে তিনি সদর উপজেলার মানুষের পাশে ছিলেন। এ ছাড়াও ১১ টি ইউনিয়নে তার রয়েছে নিজস্ব বলয়। দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষের সাথে রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা খালেদ সাইফুল্লাহ সাফাত বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন যাবত সদর উপজেলাবাসীর সুখ দুখে পাশে আছি। করোনাকালীন সময়েও আমি মানুষকে খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছি। এখন কনকনে শীতের মধ্যে ১১ টি ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। তাই  সদর উপজেলাবাসীর কাছে আকুল আবেদন বাইরের ভাড়াটিয়া কোন লোককে ভোট দিয়ে আর বিজয়ী করবেন না। কারন ঘরের ফুত চুরি করলেও ভালা। বাইরের ছেলে চুরি করলে গায়ে মানে না'।

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বলেন, 'সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তিনি মনোনয়ন চাইবেন। দল মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন,আমি দলীয় মনোনয়ন চাইবো। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে।

গত নির্বাচনে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন বলেন, 'এবারও আমি মনোনয়ন চাইবো।আশা করি নেত্রী আমাকে আবারো মনোনয়ন দিবেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হলেও এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মো: সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। আশা করি আমি দলীয় মনোনয়ন পাবো।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের  ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক একেএম সামসুল ইসলাম খান মাসুম বলেন, 'দলের দু:সময়ে যারা ছিল এমন ত্যাগী নেতাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে সদর উপজেলাবাসী উপকৃত হবে। অতীতে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত দক্ষ নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে বলে মনে করি।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম এ আফজল বলেন,'দলীয় প্রার্থী কারা হবেন এখনো বিষয়টি ক্লিয়ার না। আরো কিছু সময় গেলে পরে হয়তো বুঝা যাবে কে কে প্রার্থী হয়। দলীয় মনোনয়ন দেবেন দলীয় সভানেত্রী। তবে আমরা চাইবো যারা মনোনয়ন চাইবেন তাদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীকেই যেন মনোনয়ন দেয়া হয়'।


কিশোরগঞ্জ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘এ স্ট্যাটাস’ পেতে সহায়তা দিবে এপিএফ

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় মানবাধিকার বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ‘এ স্ট্যাটাস’ পেতে সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের (এপিএফ)। 

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনের (জিএএনএইচআরআই) বার্ষিক সম্মেলনে এ আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (৬ মে) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৬-৮ মে তিন দিন ব্যাপী গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশন এর বার্ষিক সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের (এপিএফ) সভায় এ ই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক। 

সভায় এপিএফের পক্ষ থেকে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সদস্য জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার আশ্বাস প্রদান করা হয়। বিশেষ করে বি স্ট্যাটাস প্রাপ্ত জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়নের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখার কথা জানানো হয়। 

এছাড়া সভায় ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জোরালো ভূমিকার জন্য ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংস্থা ফিলিস্তিন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   এপিএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বজ্রপাতে অসহায় শ্রমিকে শেষ সম্বল ২ টি গবাদি পশুর মৃত্যু


Thumbnail বজ্রপাতে অসহায় শ্রমিকে শেষ সম্বল ২ টি গবাদি পশুর মৃত্যু, সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসক

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বজ্রপাতে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক পরিবারের শেষ সম্বল দুটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন হাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তরং নতুন হাটি গ্রামের মৃত নুর জামালের ছেলে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক আসাদ খান সোমবার (৬ মে) সকালে বাড়ির সামনে থাকা পালই হাওরের কান্দায় ঘাঁস খাওয়ার জন্য দুটি গরু বেধে রেখে আসেন। এরপর কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত পড়লে গরু দুটি হাওরের কান্দায় মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদ খান বলেন, ‘আমি বোরো মৌসুমে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করি, বর্ষায় ফেরী নৌকা চালিয়ে জনের সংসারের ভরণ পোষণ চালাই। শ্রমের টাকায় গত দুই বছর আগে ৮০ হাজার টাকায় গরু দুটি কিনে লালন পালন করি। ইচ্ছে ছিল আগামী কোবারবানীর হাটে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকায় গরু দুটি বিক্রি করে সংসারের কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনব কিন্তু আমার শেষ সম্বল দুটি গরু বজ্রপাতে মারা গেল।

উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলেয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ‘সরকারি কিংবা কোন এনজিও সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তা অথবা দুটি গরু কিনে দিয়ে সহায়তা করলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদের পরিবার আবারো আশার আলো দেখবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ‘বজ্রপাতে দুটি গরু মারা গেছে জেনেছি, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিককে সরকারি ভাবে সহায়তার সুযোগ থাকলে অবশ্যই সহায়তা করা হবে।


বজ্রপাত   গবাদি পশু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে সরকারের অস্বস্তি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক ছিলেন। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় এবং এই নতুন মন্ত্রিসভায় উপ মন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তিটা ছিল একটা বড় ধরনের চমক। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর এটি একটি ইতিবাচক দিক। তরুণদেরকে সামনে নিয়ে আসার জন্য তিনি যে সচেষ্ট সেই বার্তাটি তিনি মহিবুল হাসান চৌধুরীকে পূর্ণমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রমাণ করেছেন। 

আবার অনেকেই মনে করেছিলেন যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের একটি নীতি নির্ধারণ মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় আরও পরিপক্ক, পরিণত কোন রাজনীতিবিদকেই দেওয়া উচিত ছিল। এই সমস্ত তর্ক বিতর্কের মাঝেই দায়িত্বগ্রহণের পর মহিবুল হাসান চৌধুরীর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তিনি তীব্র তাপদাহের মধ্যে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। হাইকোর্ট যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বলেছিল তখন তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল তাকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য পরামর্শ দিলে নওফেল সেখান থেকে সরে আসেন। কিন্তু এরপরই ঘটে আরেকটি ঘটনা। তিনি সরকারের নীতি নির্ধারণের অবস্থানের বিরুদ্ধে একটি ডিও লেটার দিয়ে সরকারের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছেন। 

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা উচিৎ মর্মে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে একটি ডিও লেটার দেন। এই ডিও লেটারে তিনি পৃথিবীর কোন দেশে চাকরির বয়সসীমা কত, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে- এ কারণে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো উচিত ইত্যাদি নানা যুক্তি উপস্থাপন করেন। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন, শিক্ষামন্ত্রী এই ডিও লেটার দেওয়ার আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের সাথে আলাপ আলোচনা করেননি। তারুণ্যের ভরপুর এই মন্ত্রী তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হওয়ার জন্যই এই কৌশল গ্রহণ করেছিলেন বলে অনেকে মনে করে। কারণ তরুণ সমাজের একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরেই চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি করে আসছে। এই দাবি নতুন নয়, অনেক পুরনো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান সুস্পষ্ট করা হয়েছে বহু আগেই। 

গত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বা তার বেশি করা কেন সম্ভব নয়- তার পক্ষে সুনির্দিষ্ট যুক্তি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ এটি প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ সরকার একটি অবস্থান। এখন প্রশ্ন হল যে, একজন মন্ত্রী সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে ডিও লেটার দিতে পারেন কি না। যদি কোনো মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের সরকারের নীতি নির্ধারণের কোন অবস্থার সঙ্গে দ্বিমত হবে, তবে তার উচিত পদত্যাগ করা বা সরকার থেকে সরে যাওয়া। কিন্তু মহিবুল হাসান চৌধুরী সেটি করেননি। বরং তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে এই ডিও দিয়ে তার যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও জনপ্রশাসনমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী যে আপাতত চাকরির বয়সসীমা বাড়াবেন না, এরকম একটি ইঙ্গিতও তিনি দিয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হল যে, সরকারের ভিতর এই সমন্বয়হীনতা কেন। কেন শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারের নীতি নির্ধারণী স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এ ধরনের ডিও লেটার দিলেন। এর ফলে মহিবুল হাসান চৌধুরীর জনপ্রিয়তা বাড়তে পারে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এ রকম অবস্থান সরকারকে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। 

আওয়ামী লীগ একাধিক শীর্ষ নেতা স্বীকার করেছেন যে, সরকারের জন্য বিষয়টি অস্তস্তিকর। কারণ এতে মনে হতে পারে শিক্ষামন্ত্রী এ রকম চাইছেন। আর অন্যদিকে এই অবস্থানের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে শিক্ষামন্ত্রী ইমেজ বাড়বে বটে কিন্তু সরকারের ইমেজ তরুণদের মধ্যে বাড়বে কি না তা নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। আর শিক্ষামন্ত্রী কেন এটা বললেন এ নিয়েও আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী   সরকারি চাকরি   জনপ্রশাসন মন্ত্রী   চাকরির বয়সসীমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম!

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে লোকসানে পড়া ব্যাংক হচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল)। আর এই ব্যাংক একটা লম্বা সময় ধরে আলোচনায় রয়েছে নানা ইস্যু নিয়ে। তবে এবার নতুন এক ঘটনায় ফের খবরের শিরোনাম হয়েছে এই ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল) গতকাল সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে নতুন বোর্ড বলেছে যে, তারা শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এরপর সাংবাদিকদের হাতে নাস্তার প্যাকেট তুলে দেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সেই প্যাকেটটি নেওয়ার পর দেখা যায়, এর ভেতরে 'পাঁচ হাজার টাকা' লেখা খাম।

জানা গেছে, এনবিএলের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানও। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক আপনাদের ব্যাংক। পাশাপাশি সাংবাদিকরা যেন এই ব্যাংক নিয়ে ইতিবাচক লেখেন এমন আশার কথাও জানান। এরপরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে মিটিং আছে বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপরই সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দেওয়া হয়।

সেখান থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের হাতে নাস্তার প্যাকেট তুলে দেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সেই প্যাকেট খুলতেই দেখা যায়, এর ভেতরে 'পাঁচ হাজার টাকা' লেখা খাম। তা দেখে কয়েকজন সাংবাদিক প্যাকেট না নিয়েই ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান।

এনবিএলের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া এক সাংবাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের টাকা দেওয়া একটি ব্যাংকের জন্য খুবই বিব্রতকর।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা লোকসানের পর ২০২৩ সালে এক হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়ে এনবিএল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এনবিএলের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। এটি ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।


ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড   এনবিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি কয়লা শ্রমিক আটক


Thumbnail

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আল আমিন (২০) নামে এক কয়লা শ্রমিক আটক হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ১১টার দিকে ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের ওপার থেকে তাকে বিএসএফ আটক করে নিয়ে যায়।

আটক আল আমিন উপজেলার পুরানখালাস গ্রামের মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার সীমান্তগ্রাম লাকমায় সে বসবাস করে আসছে।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের ১১৯৮ মেইন পিলারের ওয়ান-এস সাব পিলার অতিক্রম করে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভারতের অভ্যন্তরে পাহাড়ে থাকা কোয়ারি থেকে চোরাচালানের কয়লার বস্তা আনতে যায় আল আমিন। এরপর ভারতের বিএসএফ বড়ছড়া কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের একটি টহল দল আল আমিনকে আটক করে বিএসএফ কোম্পানী হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার কামাল হোসেনের নিকট বিএসএফের হাতে কয়লা শ্রমিক আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিএসএফের হাতে কোন শ্রমিক আটক হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।


বিএসএফ   বাংলাদেশী আটক   সীমান্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন