ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের ব্যাপারে কি সরকার নমনীয় হচ্ছে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আদালতের একটি মামলা ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু তাকে জেলে যেতে হয়নি। কারাদণ্ডের পর ওই আদালত থেকে তিনি আগাম জামিন পেয়েছেন। আগামী মাসে তিনি শ্রম আদালতের মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি ন্যায়বিচার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে নির্বাচনের আগে সরকার যত সক্রিয় এবং সচেতন ছিল এখন সে ব্যাপারটিতে ততটাই উদাসীন। 

বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যেহেতু নির্বাচন পার হয়ে গেছে এখন সরকার ড. ইউনূসের ব্যাপারে অনেকটাই নমনীয় এবং ইউনূসের সঙ্গে বিরোধ গুলোকে এখন আওয়ামী লীগ তার অগ্রাধিকার তালিকা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল এক-এগারোর সময়। এ সময় শান্তিতে নোবেল জয় করার করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় দেশে এক-এগারো এসেছিল এবং বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল। দীর্ঘ দুই বছর যে অনির্বাচিত এবং অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা দখল করেছিল তার নেপথ্যে কলকাঠি ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেড়েছিলেন এমন গুঞ্জন রয়েছে বিভিন্ন মহলে। আর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সরাসরি ভাবে ড. ইউনূসের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। 

এক-এগারোর পর থেকে ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য বিরোধ লক্ষ্য করা যায়। এই সময় বয়স সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সরকারি সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট পিটিশন করেছিলেন। কিন্তু রিট পিটিশনে তিনি পরাজিত হন। সর্বোচ্চ আদালত বয়স অতিক্রান্ত হওয়ায় ইউনূসের অবসর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে যথার্থ বলে রায় দেয়। এরপর পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের যেন বিশ্ব ব্যাংক যেন নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করে সেজন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস লবি করেছিল এমন তথ্য প্রমাণ হাজির করে আওয়ামী লীগ। যদিও ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, এই ধরনের কোন ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। কিন্তু হিলারি ক্লিনটনের যে চিঠি বিশ্ব ব্যাংককে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে ড. ইউনূস প্রসঙ্গটি এসেছে। 

হিলারি ক্লিনটন নিজেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রাখার জন্য টেলিফোন করেছিলেন। এই দ্বন্দ্ব সংঘাত চলতে থাকে। এর মধ্যে দেখা যায় ইউনূস নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ টেলিকমের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার হচ্ছে। অন্যদিকে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদেরকে ঠকানোর অভিযোগে ড. ইউনূস সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শ্রমিকরা। এই মামলা পর্দার আড়ালে টাকা পয়সা দিয়ে মিটিয়ে ফেলার এক ন্যক্কারজনক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে আদালতের উদ্যোগে সব কিছু ফাঁস হয়ে যায় এবং দেখা যায় কিছু কর্মচারীকে উৎকোচ দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মামলা আদালতের বাইরে ফয়সালা করতে চেয়েছিলেন। এরপর শ্রম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং ড. ইউনূসকে ছয় বছরের জেল দেওয়া হয়। 

সরকারের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, দুটি কারণে ইউনূসের মামলার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ ছিল। প্রথমত, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণতন্ত্র বিরোধী এবং সংবিধান বিরোধী একটি ধারাকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। দ্বিতীয়ত, তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লবিং করছেন। নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন ইউনূসের ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা অনেকটা ঢিলেঢালা। এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

প্রথমত, যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে এবং সরকার নানা রকম বাধা বিপত্তির পরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছে সে কারণে সরকার এখন ইউনূসকে অগ্রাধিকার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে যা হবার হয়ে গেছে, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলার একটি উদ্যোগ আওয়ামী লীগের রয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ইউনূসের প্রতি সরকার হয়তো কিছুটা হলেও সহানুভূতিশীল। আর এই দুটি কারণেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইস্যুটি এখন আস্তে আস্তে আড়ালে চলে যাচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস   শ্রম আদালত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শিশু তানজিম সুলতানা ঝুমুরকে (৯) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

বুধবার (১ মে) র‌্যাব-১১ কুমিল্লা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এসময় র‌্যাব-১১ পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, চোখ মোছেন। পরে ধরা গলায় ঘটনার বর্ণনা দেন। এসময় উপস্থিত অনেক সাংবাদিককেও আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

এঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফু (৩৮)। 

র‌্যাব-১১ পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল সকালে ঝুমুর স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে মা স্কুলে যান। কোনো হদিস না পেয়ে মা স্কুল থেকে ফেরার পথে ঝুমুরের সহপাঠীর কাছে জানতে পারে সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছেন। বিকেলে বাড়ির অদূরে একটি ধান খেতে একটি লাশ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, গ্রেপ্তার মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন।

গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ঝুমুরকে সে চিনতো। এই সুযোগে ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওৎ পেতে থাকে। ঝুমুর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে মফু ঝুমুরকে রাস্তার পাশের ধানী জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঝুমুর চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফু তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মামলা দায়ের করলে মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফু মাদকাসক্ত ও তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের বিষয়েও তথ্য পাওয়া যায়। 

ধর্ষণ   কুমিল্লা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে স্বাচিপের সম্মেলন শুরু

প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলা শাখার সম্মেলন শুরু হয়েছে।

বুধবার (১ মে) ফরিদপুরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন স্বাচিপের সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্বাচিপের মহাসচিব ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান মিলন।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত চিকিৎসকবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

ফরিদপুর   স্বাচিপ সম্মেলন   স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে শ্রমিকরা: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন,  শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে দেশে পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। বুধবার (১ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলায় রূপান্তরিত করব।’ বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


খাদ্যমন্ত্রী   সাধন চন্দ্র মজুমদার   শ্রমিক   মে দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু


Thumbnail বেনাপোল পোর্ট থানা

বেনাপোল পৌরসভার ঢাকা-বেনাপোল হাইওয়ে সড়কের রজনী ক্লিনিক এর সামনে দুইজন বাইসাইকেল চালক ও ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী বাসের মধ্যে দুর্ঘটনায় গোলাম মোস্তফা (৪৮) নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গী আনিসুর রহমান (৩৩) নামে আর একজন শ্রমিক মারাত্মক আহত হয়েছেন। 

 

বুধবার (০১ মে) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা ও আহত আনিসুর রহমান উভয় শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বাসের চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপার পলাতক রয়েছে। 

 

বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর শাহীন আলম জানান, ‘আমার পার্শ্ববর্তী লাউতাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও আনিসুর রহমান দুইজনই মাঠে ধান কাটার শ্রমিক। তারা কাজের সন্ধানে বাইসাইকেল চালিয়ে বেনাপোল বাজারের উদ্দেশ্যে স্থানীয় রজনী ক্লিনিকের সামনে দিয়ে আসছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি বাস তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে গোলাম মোস্তফা মারা যায়। এবং আনিসুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়। আনিসুরকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে নাভারন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুমন ভক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শ্রমিক হতাহতের ঘটনা স্বীকার করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে ফোর্স পাঠায়। সেখান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


সড়ক দুর্ঘটনা   শ্রমিক   ধানকাটা   ময়নাতদন্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন