সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর কলেজের ম্যানেজিং কমিটির ১১ সদস্যর স্বাক্ষর জাল করে নতুন কমিটি গঠনের সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সাবেক মন্ত্রী নিজেকে সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষনা করেছেন। ইতিপূর্বেও তিনি এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে দৌলতপুর কলেজে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাবেক কমিটির সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ২দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা, সাবেক সদস্য হাজী পিয়ার হোসেন, সাবেক সদস্য ও দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ হোসেন, সাবেক সদস্য শাহিন রেজা, দাতা সদস্য শামসুল আলম মাষ্টার।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস দৌলতপুর কলেজে ম্যানেজিং কমিটিতে পর পর দুইবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে একই ব্যক্তি পর পর তৃতীয় বার সভাপতির হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। লতিফ বিশ্বাস আইন না মেনে ম্যানেজিং কমিটির ১১ সদস্যর স্বাক্ষর জাল করে নিজেকে সভাপতি করে ম্যানেজিং কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি গঠনের সময় কোন আলোচনা বা নেটিশ করা হয়নি। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস কলেজের কাগজপত্র নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ম্যানেজিং কমিটির ১১ সদস্যর স্বাক্ষর জাল করে কমিটি গঠন করেছেন যা অবৈধ। আমরা এই কমিটি বাতিল ও নতুন কমিটি গঠনের দাবী করছি।'
বক্তরা আরও বলেন, লতিফ বিশ্বাস আইন মানেন না আবার দলীয় সিদ্ধান্তও মানেন না। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ঈগল প্রতিকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরাজিত হয়ে দৌলতপুর কলেজ নিজের আয়েত্বে নিতে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে কমিটি ঘোষনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে দৌলতপুর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আব্দুল লতিফ বিশ্বাস মন্ত্রী অভিযোগ দৌলতপুর কলেজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।