ইনসাইড বাংলাদেশ

বছরে ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য, বিপাকে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:১৮ এএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের উন্নয়রে সাথে তাল মেলাতে গত দু্ই দশকে দেশের মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রত ভাবে যুক্ত হয়ে গেছে মোবাইলসহ ইলেকট্রনিক নানা পণ্য। সেই পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্যই এখন মাথা ব্যথার কারণ। 

জানা গেছে, বাংলাদেশে বছরে সৃষ্টি হচ্ছে ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য, যা হুমকিতে ফেলেছে দেশের জীববৈচিত্র্যকে। তথ্য বলছে, ই-বর্জ্যে সিসা, পারদ, তামা, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিকসহ নানা ক্ষতিকর ভারীর পাশাপাশি রয়েছে সোনা, রুপাসহ নানা মূল্যবান ধাতু। ১ কোটি টন ই-বর্জ্য রিসাইকেল করে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব। কিন্তু এগুলো সংগ্রহ ও রিসাইকেলের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে না ওঠায় তা ছড়িয়ে পড়ছে পরিবেশে। ফলে শুধু সম্পদই নষ্ট হচ্ছে না, ক্ষতিকর ভারী ধাতু ও রাসায়নিক দূষিত করছে মাটি, পানি ও বায়ু। ছড়াচ্ছে ক্ষতিকর রেডিয়েশন। বাড়াচ্ছে ফুসফুস ক্যান্সারসহ কিডনি, যকৃত, স্নায়ুতন্ত্র, হৃৎপিসহ মস্তিষ্কের নানা রোগ।

এদিকে ই-বর্জ্যরে ঝুঁকি কমাতে সরকার ২০২১ সালে ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা’ তৈরি করলেও দুই বছরে তার বাস্তব প্রয়োগ নেই। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ বর্জ্যরে শেষ গন্তব্য আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ড। তিন পাশে নদীবেষ্টিত ল্যান্ডফিল্ডে জৈব বর্জ্যরে সঙ্গে প্লাস্টিক ও ই-বর্জ্যও জমা হয়। আর ল্যান্ডফিল্ডের বর্জ্য থেকে নিষ্কাশিত বিষাক্ত পানি সরাসরি মেশে নদীর পানিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ড থেকে সংগৃহীত পানির স্যাম্পলে লেডের পরিমাণ পাওয়া গেছে ৮.৯৪ পিপিএম, যা নির্ধারিত গাইডলাইন থেকে প্রায় ৯০ গুণ বেশি। ক্যাডমিয়াম ও পারদের উপস্থিতিও নির্ধারিত গাইডলাইন থেকে অনেক বেশি। এই পানি নদীতে পড়লে তা মানুষসহ নদীর জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। ভূগর্ভস্থ পানিতে মেশার বড় সুযোগ রয়েছে, যার পরিণতি হবে মারাত্মক।

তথ্যানুযায়ী, দেশে ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজার গত এক দশকে তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ কোটি টাকায়। এসব ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে বছরে সৃষ্টি হচ্ছে প্রায় ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য। গত জুনে এক অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন জানান, প্রতি বছর দেশে নষ্ট হচ্ছে প্রায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩০২টি টেলিভিশন। এ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন ই-বর্জ্য। নষ্ট বা মডেল পরিবর্তন করতে গিয়ে বাতিল হচ্ছে কয়েক কোটি মোবাইল ফোন। শুধু স্মার্ট ডিভাইস থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে সাড়ে ১০ লাখ টন ই-বর্জ্য। প্রতিদিনই বাতিলের খাতায় যুক্ত হচ্ছে ফ্রিজ, ওভেন, ব্যাটারি, কম্পিউটার, সোলার প্যানেল, চার্জারসহ অগণিত ইলেকট্রনিক পণ্য। প্রতি বছর এই বর্জ্য বাড়ছে ৩০ শতাংশ হারে। ২০১৮ সালে পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে উৎপাদিত ই-বর্জ্যরে ৩ ভাগ রিসাইক্লিং হয়, ৯৭ শতাংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে।

এদিকে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল সায়েন্স ডিরেক্টরিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক টন ওজনের মোবাইল ফোনে অন্য নানা ধাতুর পাশাপাশি রয়েছে ৫৩ কেজি তামা, ১৪১ গ্রাম সোনা, ২৭০ গ্রাম রুপা, ১০ গ্রাম প্লাটিনাম ও ১৮ গ্রাম প্যালাডিয়াম। এক টন পিসিবিতে (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড) রয়েছে ৬৭৮ গ্রাম সোনা, ১১০০ গ্রাম রুপা, ২৭৮ কেজি তামা, ৩৮ গ্রাম প্লাটিনাম, ৯৮ গ্রাম প্যালাডিয়াম। সুতরাং, এসব ই-বর্জ্য সংগ্রহ করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে পরিবেশ দূষণ রোধের পাশাপাশি আয় করা সম্ভব বিপুল পরিমাণ অর্থ। তবে দেশে তিন-চারটা বর্জ্য রিসাইক্লিং কারখানা গড়ে উঠলেও পর্যাপ্ত কাঁচামালের অভাবে চালাতে পারছে না। বেসরকারি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, এক কেজি ই-বর্জ্যরে মূল্য এক ডলারেরও বেশি। কিন্তু, এগুলো সংগ্রহের কোনো চেইন সরকারি বা বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই কাঁচামালের অভাব। অপেশাদার পদ্ধতিতে কিছু বর্জ্য সংগৃহীত হয়। সেগুলো থেকে সনাতন অ্যাসিড পদ্ধতি ও বার্নিং পদ্ধতিতে মূল্যবান ধাতু পৃথক করা হয়। এতে পরিবেশ দূষণ হয়। খরচও বেশি। যারা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এসব রাসায়নিক দিয়ে স্বর্ণ আলাদা করে, তাদেরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

ই-বর্জ্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ম কর্মকর্তরা বলছেন, রিসাইক্লিং না হওয়ায় বাংলাদেশে ই-বর্জ্য আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। পরিবেশ অধিদফতর একটা আইন করেছে, তা কোম্পানিগুলোও জানে না, জনগণও জানে না। অন্য কোনো এনজিও বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে কথাও বলছে না। বিষয়টা নিয়ে এখনই উদ্যোগ না নিলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবার শঙ্কা করছেন তারা।


ই-বর্জ্য   মোবাইল   ইলেকট্রনিক বর্জ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘উগ্রবাদ থেকে দেশকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে’

প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে উগ্রবাদের বিস্তারের চেষ্টা করে থাকে একটি চক্র। ধর্মের অপব্যাখ্যাকে হাতিয়ার করে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের দীনের পথ বিচ্যুত করে তারা। এদের হাত থেকে প্রজন্ম ও দেশকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (৪ মে) ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সরকারি কলেজ ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে 'অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদ প্রতিহতকরণে ধর্মীয় নেতাদের করণীয়' শীর্ষক এক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। এই দেশের কোটি কোটি মুসলমানের জন্য দিশারি ইমামরা। তারা জনগণকে সম্প্রীতির কথা বলেন, তাই দেশে সম্প্রীতি বিরাজ করছে। যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সেমিনারে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কলেজ মসজিদের মাত্র সাড়ে পাঁচ শ ইমাম-মুয়াজিনের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। আশা করি, তিনি এ বিষয়ে সুনজর দিলে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ রাষ্ট্রের সব কাজে আরও ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। আর আমাদের দেশে যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো: আওলাদ হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলম, নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, একদল মানুষ আছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশাল শক্তিকে নানাভাবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টায় সচেষ্ট থাকে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ধর্মভিরু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে আমাদের সমাজকে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ ধরনের অপশক্তিকে রুখতে ভূমিকা রাখতে হবে আলেম ও বিজ্ঞজনদের।

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো আওলাদ হোসেন বলেন, আধুনিক প্রচারমাধ্যম এতই শক্তিশালী যে এর খারাপ ব্যবহারটা খুবই ভয়ানক। এর অপব্যবহারকে সহজ করে দেখা যাবে না। অনলাইন প্রচারমাধ্যমের অপব্যবহার প্রতিরোধের জন্য প্রথমত ইমামদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি একটি সমাজকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে বদলে দিতে পারেন। ধর্মীয় বিজ্ঞজনের কথা এই সমাজকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণর্সের আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, অধ্যাপক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ ও বায়তুল মোকাররমের প্রধান খতীব মাওলানা মুফতী রুহুল আমীন প্রমূখ।


উগ্রবাদ   ড. মো আওলাদ হোসেন   ইসলামিক ফাউন্ডেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট পাচ্ছেন ড. আতিউর

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস) ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়া হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লেখা একটি আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অ্যাডাম হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দারিদ্র্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার সুবাদে” এ বছর ডক্টর অফ সায়েন্স (ইকোনমিক্স) সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন ড. আতিউর রহমান। ঐ চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ড. আতিউর রহমান “দারিদ্র্যবান্ধব সরকারি ব্যয় নীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, এবং উদ্ভাবনীমূলক সামাজিক কার্যক্রমে”র ক্ষেত্রে যে নেতৃত্বসূচক ভূমিকা রেখেছেন সেগুলোও সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে বিবেচনা করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ রকম সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন চারজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। তারা হলেন- ভারতের প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার (ডক্টর অফ লিটারেচার), লন্ডনভিত্তিক ক্যুলিনারি আর্টিস্ট আসমা খান (ডক্টর অফ সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স), ইউকে-ভিত্তিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কেভিন ফেনটন (ডক্টর অফ লিটারেচার), এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ ধর্মতাত্ত্বিক জংসার জাময়াং খেন্তসে রিনপোশে (ফেলো)।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের বার্ষিক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমান এই সম্মানসূচক ডিগ্রী গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। ঐ অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা তরুণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বের উন্নয়নে ড. আতিউর রহমানের অনন্য অবদানের কারণে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে।

উল্লেখ্য. ড. আতিউর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তনী এবং ইতোমধ্যে তিনি অসংখ্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তিনি ম্যানিলা-ভিত্তিক গুসি ফাউন্ডেশন থেকে গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার, এশিয়াটিক সোসাইটি কোলকাতা থেকে ইন্দিরাগান্ধী স্বর্ণস্মারক, ফান্যান্সিয়াল টাইমসের সহযোগি দ্যা ব্যাংকার এবং ইউরোমানির সহযোগি দ্যা ইমার্জিং মার্কেটস থেকে এশিয়া ও প্যসিফিক অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ গভর্নর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। দেশীয় পর্যায়ে তিনি অন্যান্যের মধ্যে বাংলা একাডেমি থেকে সাহিত্য এবং রবীন্দ্র পুরস্কার, রবীন্দ্র একাডেমি থেকে রবীন্দ্র সম্মাননা এবং শেলটেক ফউন্ডেশন থেকে শেলটেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাছাড়া সম্প্রতি ঢাকা আহছানিয়া মিশন ঘোষণ করেছে যে এ বছর ড. আতিউর রহমানকে ঐতিহ্যবাহী খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হবে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমেরিটাস অধ্যাপক   ড. আতিউর রহমান   সোয়াস ইউনিভার্সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুধ দিয়ে গোসল করে দল ছাড়লেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুধ দিয়ে গোসল করে দল ছাড়লেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কে এম রেজাউল ফয়েজ। দুধ দিয়ে গোসল করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কে এম রেজাউল ফয়েজ বলেন, 'দলের নেতাদের নীতি আদর্শহীনতা, কর্মীদের প্রতি নেতাদের উদাসীনতা, অদক্ষ নেতৃত্ব ও কার্যক্রমহীনতার কারণে আমি প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।' তার অভিযোগ, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তিনি দলের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা ও সহানভূতি পাননি। এমনকি গত ১৫ বছরে কেন্দ্রীয় ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা কোনো খোঁজখবরও নেননি। দলটি অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে।

ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম রেজাউল ফয়েজ বলেন, 'জনকল্যাণে আদর্শের রাজনীতি করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে অবশ্যই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হব।'

আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কবির হোসেন তালুকদার ও সদস্যসচিব মোল্লা বশির আহম্মেদের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তারা বলেন, কে এম রেজাউল ফয়েজ দীর্ঘদিন ধরে কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নেই। অরাজনৈতিক ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে ২ মে তাকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। দলের বিরুদ্ধে করা তার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তাদের দাবি।


বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পুলিশের মধ্যস্থতায় বনানীর সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা

প্রকাশ: ০১:০২ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।



বনানী   সড়ক   ছাড়লেন   শ্রমিকরা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ থেকে ট্রেনে বাড়তি ভাড়া

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। এছাড়া বাড়ছে কনটেইনার পরিবহণ ভাড়াও। রেলওয়ে অপারেশন দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, শনিবার থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই।

২৪ এপ্রিল থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়। কারণ ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

অতীতের নিয়ম অনুযায়ী, ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এ সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রভাব সব যাত্রীর ওপর পড়বে না। ১০০ কিলোমিটারের বেশি যারা ভ্রমণ করবে তারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। রেয়াতি সুবিধা বাতিলের কারণে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় হবে রেলের।


ট্রেন   ভাড়া   বাড়তি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন