জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সংখ্যা ৫০জন। নির্বাচন কমিশন আগামী দুই একদিনের মধ্যেই সংরক্ষিত আসনের জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। আজ থেকে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংরক্ষিত ৫০টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
সংবিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত এই ৫০টি আসন বণ্টন করা হয় জাতীয় সংসদে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে। সেই বিবেচনায় আওয়ামী লীগের ২২৪টি আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত কোটায় আওয়ামী লীগ পাবে ৩৭জন নারী এমপি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি পাবে ২টি। আর ৬২জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মিলে ১১জনকে মনোনয়ন দিবে। যদিও সেই মনোনয়ন দায়িত্ব ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতে অর্পণ করা হয়েছে।
সংরক্ষিত কোটার কারা নারী সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে বিভিন্নমুখী আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। তবে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, আওয়ামী লীগ এই প্রথম ট্রান্সজেন্ডার একজনকে সংসদে আনতে পারেন। তিনি সংরক্ষিত কোটায় এমপি হবেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ এই বিষয়টি নিয়ে আইনগত পরামর্শ নিয়েছে এবং আইনগত দিক থেকে ট্রান্সজেন্ডারকে সংরক্ষিত নারী কোটায় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা নেই বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
যেহেতু ট্রান্সজেন্ডাররা পুরুষ নন, কাজেই নারী কোটায় তাদেরকে নির্বাচিত করা যায় এমন মতামত দিয়েছেন একাধিক আইনজ্ঞ। আর সে কারণেই সরকার এই প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের কাউকে জাতীয় সংসদে নিয়ে আসতে চাইছেন এবং এ ব্যাপারে সম্ভাব্য কে আসতে পারেন তা নিয়েও সরকারের নীতি-নির্ধারক মহলে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার এবং তাদেরকে সামাজিক মর্যাদা প্রদান, ভোটার হিসেবে তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করাসহ বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এখন তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম কাউকে জাতীয় সংসদে নিয়ে আসা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর সেটি যদি হয় তাহলে বাংলাদেশের জন্য এটি হবে নতুন এক ইতিহাস।
সংসদ ট্রান্সজেন্ডার সংরক্ষিত এমপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন