ইনসাইড বাংলাদেশ

শুরুতেই নানা চাপে সরকার

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

দায়িত্ব গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যেই সরকার প্রচন্ড চাপে পড়েছে। একদিকে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট, রিজার্ভ কমে যাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাসের সংকট ইত্যাদি নানা মুখী সংকেট সরকার ব্যতিব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়গুলো হস্তক্ষেপ করছেন। সামনে রমজান উপলক্ষে তিনি চারটি পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই বাজারের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। কাজেই  নতুন সরকার যে শুরুতে একটু স্বস্তিকর অবস্থায় থাকবে এমন বাস্তবতা নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ১১ জানুয়ারি যে সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকার শুরু থেকেই পাঁচটি বড় ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছে এবং এই চাপগুলো মোকাবেলার জন্য তাদের হাতে কোন সময় নেই। দ্রুত যদি তারা এই সংকট গুলো সমাধান না করতে পারে, তাহলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার চাপে আছে। এই চাপ মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়েই তারা কাজ করতে চায়। 

সরকারের সামনে যে পাঁচটি চাপ খুব বড় আকারে দেখা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে;

১. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: গতকাল সন্ধ্যায় পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি করেছে। অন্যদিকে চালের বাজারে অভিযান চালিয়েও চাল চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অন্যান্য দ্রব্য মূল্যের দামও লাগামহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে। সামনে রমজানে সিন্ডিকেটের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে সরকার যতই হাঁকডাক দিক না কেন ব্যবসায়ীদেরকে অনুরোধ করা বা হুমকি বা কঠোর হওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিক না কেন দ্রব্যমূল্যের দাম কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এটা সরকারের জন্য একটা বড় ধরনের মাথাব্যথা ছিল। মানুষ এখন আর সহ্য করতে পারছে না। এর ফলে সরকারের জন্য আগামী কয়েকদিন গুরুত্বপূর্ণ। আগামী রোজার মধ্যে যদি সরকার অসহনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তাহলে বড় ধরনের সমস্যা পড়তে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত। 

২. অর্থনীতির সংকট: অর্থনীতির অবস্থা চেহারা ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে উঠেছে। সরকার বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ঢুকে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণের অবস্থা, ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা সবকিছু মিলিয়ে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সংকট মোকাবেলার জন্য। সবচেয়ে বড় পরিস্থিতি হয়েছে সরকারের আয় কমে যাচ্ছে। রাজস্ব আসছে না সে ভাবে। এরকম বাস্তবতায় অর্থনৈতিক সংকট যদি মোকাবেলা না করা যায় তাহলে দ্রুতই পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। 

৩. গ্যাস সংকট: দ্রব্যমূল্যের মতোই গ্যাস সংকট জনজীবনে সমস্যা। সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। গ্যাস সংকট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু একেক দিন একেক কথা বলছেন এবং তার এ সমস্ত কথাবার্তা সাধারণ জনগণ তো নয়, ব্যবসায়ীরা এখন আর বিশ্বাস করছেন না। তার কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হবে। সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হবে।

৪. সামাজিক অস্থিরতা: একদিকে যেমন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, প্রাত্যহিক জীবনে নানা রকম সংকট, তেমনই সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অনভিপ্রেত বিতর্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সরকার এই পরিস্থিতিকে কিভাবে মোকাবিলা করে সেটি অনেকে বুঝতে চাইছে। পাঠ্যপুস্তকে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কেউ কেউ। ফলে পুরো পরিস্থিতি একটি জটিল আকার ধারণ করেছে।

৫. নতুন করে রাজনৈতিক আন্দোলন: অনেকে ধারণা করেছিল নির্বাচনের পর বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন গুটিয়ে ফেলবে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। নতুন করে তারা আন্দোলন শুরু করেছে। এই আন্দোলন সরকারকে সবসময় একটা চাপে রাখবে। সবকিছু মিলিয়ে নতুন সরকার স্তস্তিতে নেই। এই চাপ মোকাবিলা করে আগামী পাঁচ বছর কিখাকে সরকার দেশ পরিচালনা করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

অর্থনৈতিক সংকট   রিজার্ভ   দ্রব্যমূল্য   গ্যাস সংকট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এই অধিবেশন আহ্বান করেন।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে।

বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।

ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোক প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে। চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।


দ্বাদশ সংসদ   দ্বিতীয় অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা হবে আজ

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।

গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত মে (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

একইসঙ্গে এপ্রিল মাসে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছিল বিইআরসি। এপ্রিল মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করা করেছিল সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।


এলপি গ্যাস   বিইআরসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেন লাইনচ্যুত, রাজবাড়ী-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় আপাতত রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।


ট্রেন লাইনচ্যুত   রেলপথ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের বাবাকে পেটানোর পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকায় চলে আসেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান বহুল আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার। ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে চাকরি শুরু করেন। তবে ফার্মেসি থেকে ওষুধ চুরি করায় তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বুধবার (০১ মে) তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পিটানোয় এলাকাবাসী ধরে তাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করায় সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কিছু পড়াশোনা করেন। পরে মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, এরপর তার চিন্তায় আসল তিনি একটা ওল্ড এজ কেয়ার চালু করবেন। পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামে একটা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেখানে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসেন। আপনারা দেখেছেন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে অপারেশন থিয়েটার আছে। মানুষ সেখানে বিভিন্ন সেবা নেয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার থাকতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন, যা তার নেই। এছাড়া তিনি মরদেহ রাতে দাফন করেন এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ডেড সার্টিফিকেট দেন, যা তিনি স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। লাশগুলো রাতে দাফন করেছেন কেন, ডেড সার্টিফিকেট নিজে কেন তৈরি করেন। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের তিনি টর্চারসেলে নিয়ে পিটিয়েছেন। এগুলো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৮:১৬ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দাঁড়িয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্যে ইশারা ইঙ্গিত ও অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি করার দায়ে মো. জাকির হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও মুশফিকুল আলম হালিম।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় জিয়া পুকুর বিনোদন কেন্দ্রের পাহারাদার।

এর আগে, বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুল হালিম।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসে থাকা ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরে নানানভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন জাকির। পরে ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করেন। পরে পুলিশ এসে বুধবার বিকেলে জাকির হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে। জাকির হোসেন দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডা দেন। তৎক্ষনাৎ জাকির হোসেন ১ হাজার টাকা পরিশোধ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ মো. আতাউল খান বলেন, আমাদের কলেজের ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করেন। সেটি প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।


ছাত্রীনিবাস   অশ্লীল ভিডিও   কারাদণ্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন