জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে থানা পুলিশের হেফাজতে আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের এসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতে নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ দুলু (৬০) বাদী হয়ে মামলটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে আনোয়ার হোসেন সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা বাজারে বাজার করতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের নির্দেশে তার অনুসারী সোহেল রানা, ফিরোজ মিয়া ও মনছুর মিয়া ডোয়াইল ইনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে জোর করে আনোয়ারকে তুলে নিয়ে স্থানীয় চাপারকোনা মহেষ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করে।
এরপর হামলাকারীরা পুলিশে খবর দিলে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ গিয়ে আনোয়ার হোসেনকে আহত অবস্থায় সরিষাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত ১১টার দিকে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন তার লোকজন নিয়ে থানায় প্রবেশ করে। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন আনোয়ারের বাবা আব্দুস সামাদ দুলুকে ফোন করে জানায় তার ছেলে গুরুত্বর অসুস্থ তাকে চিকিৎসার জন্য সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে আনেয়ারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় তার স্বজনরা।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় হামলাকারী সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের দোলভিটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের দুই ছেলে ও ইউপি চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই সোহেল রানা (২৮) ও ফিরোজ মিয়া (৩৪), একই ইউনিয়নের চাপারকোনা গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে মনছুর মিয়া (৩২), ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন (৪০) ও সরিষাবাড়ী থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলামকে (৩৫) আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ওই ঘটনায় কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আদালতকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলেছেন।
মামলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।