টানা
চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ
সরকার তার প্রধান অগ্রাধিকার
হিসাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে চিহ্নিত করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট
অনুশাসন দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট
সকলকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ
করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সরকার
ত্রিমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রথমত,
বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য; বিশেষ করে রমজানের যে
সমস্ত দ্রব্যের চাহিদা বাড়ে, সেই সমস্ত দ্রব্যগুলির
উপর শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এনবিআরকে এ ব্যাপারে চিঠি
দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শুল্ক হার কমানো হলে এই সমস্ত
দ্রব্যের দাম কমবে বলে
সরকার আশা প্রকাশ করছে।
দ্বিতীয়ত,
জনসচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা
করছে সরকার। যারা বাজারে বিক্রেতা,
পাইকারি থেকে শুরু করে
আড়তদার সবার সঙ্গেই কথা
বলছে এবং সবাইকে দ্রব্যমূল্য
নিয়ন্ত্রণের জন্য এক ধরনের
দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য
অনুরোধ জানাচ্ছে। পাশাপাশি সরকার আইনের কঠোর প্রয়োগ করেছে।
বিশেষ করে যারা পণ্যের
বাজারে সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম
বাড়াচ্ছে, তাদের ব্যাপারে কঠোর আইনগত অবস্থান
গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতোমধ্যে
চালের বাজারে যে সমস্ত আড়তদার
এবং মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিমভাবে দাম
বাড়িয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী
ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, এদেরকে আইনের
আওতায় আনা হবে।
অন্যদিকে,
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যারা অযাচিতভাবে জিনিসপত্রের
দাম বাড়াচ্ছেন এবং সিন্ডিকেট করে
মুনাফা তৈরি করছেন তাদের
চক্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। একাধিক
সরকারি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই সিন্ডিকেটের হোতারা
এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের কয়েকজন চিহ্নিত ব্যবসায়ী রয়েছে। এছাড়াও ঢাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর রয়েছে।
বাংলাদেশের
করপোরেট খাতে পরিচিত অন্তত
দুই জন ব্যবসায়ী এই
সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা বলেও বিভিন্ন
সূত্র জানিয়েছে। এদের প্রত্যেককে গোয়েন্দা
নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো
এরা কী পরিমাণ মজুদ করেছে এবং
বাজারকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, সে সম্পর্কে আরও গভীরভাবে
তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে। খুব শীঘ্রই এই
সমস্ত সিন্ডিকেটের তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে
ধারণা করা হচ্ছে।
একাধিক
সূত্র বলছে, এরা ইতোমধ্যে গোয়েন্দা
জালে আটকে পড়ে গেছেন।
তবে সরকার মনে করে যে,
আইন প্রয়োগ দ্রদ্ধমূল নিয়ন্ত্রণের একমাত্র সমাধান নয় বরং জনগণকে
সচেতন করা, যারা বিক্রেতা আছেন তাদের মধ্যে
এক ধরনের দেশপ্রেম এবং দায়িত্ববোধ তৈরি
করা এবং বাজারে সরবরাহ
ব্যবস্থাকে সহনীয়
করার মধ্য দিয়েই দ্রব্যমূল্য
নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে
সরকারের দায়িত্বশীল মহল স্বীকার করছেন, পণ্যের বাজারে একধরণের
অস্থিতিশীলতা চলছে। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে
এবং আসন্ন রমজানে কারসাজি করে যেন পণ্যের দাম না বাড়ানো হয় সরকার আগে থেকেই সচেতন।
কারণ, এমনিতেই সবকিছুর বাড়তি দাম। এর মধ্যে যদি রমজানে আরও বাড়ানো হয়, তাহলে তা নিয়ে
এক ধরণের জনঅসন্তোষ তৈরি হতে পারে। সরকার এই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলা জন্য এখন থেকেই
প্রস্তুত। এটি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনে সরকার কঠোর অবস্থানে যেতে পারে বলেও সুস্পষ্টভাবে
জানিয়ে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, যে সমস্ত সিন্ডিকেটের হোতারা গোয়েন্দা নজরদারিতে আছেন
তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নেয়?
মন্তব্য করুন
সুন্দরবন আগুন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহাদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সাথে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাননি। সেই পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাচন কালো টাকা প্রভাব বিস্তার
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।