সিরাজগঞ্জের
শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মাদলা নামক স্থানে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার
দিকে কোচ-সিএনজি মুখোমুখি
সংঘর্ষে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত ও
৪ জন আহতের ঘটনায়
আহত কথা মনি সুত্রধর
(১২) কে বৃহস্পতিবার রাতে
বগুড়া থেকে উন্নত চিকিৎসার
জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা গেছে।
ফলে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩ জন।
অপরদিকে
বগুড়া হাসপাতাল থেকে আহত পলি
সুত্রধর (১৮) ঢাকার নিউরোসাইন্স
হাসপাতালে ও সৌরভ সুত্রধর
(১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা
হয়েছে। সেখানে তাদের নিবির পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া
হচ্ছে। মাথায় আঘাত জনিত কারণে
তাদের এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে
সৌরভের মাথায় অস্ত্রপচার করা হয়েছে। অপর
আহত অরুণা সুত্রধর (৪৫) এনায়েতপুর খাজা
ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে
এ ঘটনায় নিহত মিতুর চাচা
বিপেন সুত্রধর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার
(১ ফেব্রুয়ারি) রাতে
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর ওই রাতেই হাটিকুমরুল
হাইওয়ে থানা পুলিশ র্যাব-১২ এর
সহযোগিতায় ঘাতক এসি কোচ
শাহজাদপুর ট্রাভেল্স (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-১১৯৪) আটক
করেছে এবং চালক আমিরুল ইসলাম
নাজমুল (৪৪) কে পাবনা
পৌর এলাকার দোহারপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে
প্রেপ্তার করেছে। সে ওই এলাকার
মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
শুক্রবার (২
ফেব্রুয়ারি) দুপুরে
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত
চালক আমিরুলকে শাহজাদপুর চৌকি আদালতে সোপর্দ
করেছে।
অপরদিকে
নিহত মিতু সুত্রধর ও তার মেয়ে
ইচ্ছা সুত্রধর (৭) কে বৃহস্পতিবার
(১ ফেব্রুয়ারি) রাতে
ও পরে মারা যাওয়া
মেয়ে কথা সুত্রধর (১২)
কে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় মহাশ্মশানে দাহ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হাটিকুমরুল
হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম
বলেন, এ ঘটনায় নিহত
মিতুর চাচা বিপেন সুত্রধর
বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১
ফেব্রুয়ারি) রাতে
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে
রাতেই ঘাতক কোচ শাহজাদপুর
ট্রাভেল্স (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-১১৯৪) আটক
করি। পরে র্যাব-১২ এর সহযোগিতায়
কোচের চালক আমিরুল ইসলাম
নাজমুল (৪৪) কে পাবনা
পৌর এলাকার দোহারপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে
প্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার
(২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত চালক আমিরুলকে শাহজাদপুর
চৌকি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নিহত
মিতুর চাচা বিপেন সুত্রধর
জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার
প্রয়োজন। আমাদের মত হতদরিদ্র পরিবারের
পক্ষে এতো টাকার জোগার
করা সম্ভব নয়। তাই এ
ব্যাপারে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে
সাহায্য প্রার্থনা করছি।
তিনি
আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আহত ও নিহতরা
কিত্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাবনার
সুজানগর উপজেলার চিনাখড়া গ্রামে নিহত মিতুর স্বামী
সুধাম সুত্রধরের ভাগনি জামাই অনিল সূত্রধরের বাড়িতে
যাচ্ছিল। খুকনির যুগিপাড়া থেকে সিএনজি যোগে
তারা রওনা দিয়ে শাহজাদপুর
উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মাদলা এলাকার বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে এসে পৌছালে পাবনা
থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী
শাহজাদপুর ট্রাভেল্সের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-১১৯৪) এসি
কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে
মিতু রাণী সুত্রধর (৩০)
ও হাসপাতালে নেয়ার পথে ও তার মেয়ে ইচ্ছা
মনি (৭) নিহত হয়।
আহত
হয়, নিহত মিতু রাণীর
অপর মেয়ে কথা মনি
সুত্রধর (১২), বেলতৈল ইউনিয়নের
কাদাই বাদলা গ্রামের অরুণা সুত্রধর(৪৫), তার ছেলে
সৌরভ সুত্রধর (২০) ও সিএনজি
চালক সাঁথিয়া উপজেলার তাইমূল ইসলাম (২৫)।
শাহজাদপুর
ফায়ার সাভিস ও স্থানীয়রা আহতদের
উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার
জন্য সিএনজি চালককে ঢাকা পঙ্গু ও
অপর আহতদের বগুড়া বগুড়া ও এনায়েতপুর খাজা
ইফনুস আলী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার
(১ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া থেকে কথা মনি,
সৌরভ ও পলিকে সঙ্গাহীন
অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার
পথে কথা মনি মারা
যায়। এরপর পলিকে আগারগাঁওয়ের
নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ও সৌরভকে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতেই সৌরভের মাথায় অস্ত্রপচার করা হয়। পলি ও সৌরভের এখনও জ্ঞান ফেরেনি। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে।
সংঘর্ষ শিশু সহ নিহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।