ইনসাইড বাংলাদেশ

মনিকা ইউনূসের প্রস্তাব: সরকার কী করবে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কন্যা মনিকা ইউনূস সিএনএনের ক্রিস্টিনা আমানপোর কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারের সঙ্গে বাবার কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সরকার ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে পারেন এবং এই কাজে লাগানোর মাধ্যমে সরকার উপকৃত হবে। 

বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে তার প্রত্যাশা কী—এমন প্রশ্নের জবাবে মনিকা বলেছেন, আমার প্রত্যাশা হলো শুধু আমার বাবা নন, তার সহকর্মীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বাতিল করা হোক। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রস্তাব দিয়েছেন সে অনুযায়ী কাজ হলে আমার খুবই ভাল লাগবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, পর্যালোচনার জন্য আন্তর্জাতিক আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানাবেন। আমি শতভাগ বিশ্বাস করি এমনটা করা হলে সব অভিযোগ পুরোপুরি বাতিল হয়ে যাবে। কারণ তিনি কোন অন্যায় করেননি। 

সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে মনিকা ইউনূস বলেন, এই সরকারের সঙ্গে ড. ইউনূস আগেও কাজ করেছেন। আমি মনে করি তার বিরুদ্ধে ভ্রান্ত জঘন্য মামলা দিয়ে ১০ বছরের সময় ধরে তাকে হয়রানি করে সময় নষ্ট করার চেয়ে আবার একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এই কাজ করার সুযোগের মধ্য দিয়ে মনিকা ইউনূস আসলে একটি সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখন যখন ড. ইউনূসের সঙ্গে বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে এককালীন থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ড. ইউনূসের অনুরোধে গ্রামীণফোনকে মোবাইল অপারেটর হিসাবে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল এবং সেই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এক কাপ চাও খাওয়াতে হয়নি তাকে এই গ্রামীণফোনের লাইসেন্স পেতে। কিন্তু ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পরপরই ড. ইউনূস পাল্টে যান। 

মনিকা ইউনূস তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার পিতার কোন রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। যা সত্য নয়। কারণ ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর পরই ড. ইউনূস একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামও সেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিল। এটি ছিল আসলে বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়নের একটি অংশ, যেখানে সুশীল সমাজকে ক্ষমতা কেন্দ্রে আনার পরিকল্পনা ছিল। 

সেই সময় রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাদ দিলেও ড. ইউনূস পরবর্তীতে ওয়ান ইলেভেন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা যায়। বিশেষ করে তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের গ্রন্থ পাঠ করলে দেখা যায় যে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূসকে এবং ইউনূস সেসময় বলছিলেন, মাত্র দুই বছর সময় তার জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি ১০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছেন। এই সময় ড. ইউনূসের বিতর্কিত ভূমিকাগুলোই আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি করছে। এরপর পদ্মা সেতুতে ড. ইউনূসের ভূমিকা বা বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় সরকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ তথ্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রচারের জন্য ড. ইউনূস সরকারের সরকারের রোষানলে পড়ে। 

তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সরকারের সঙ্গে ড. ইউনূসের কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে, এ কারণে আইন তার জন্য প্রযোজ্য নয়। তিনি বয়স সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ আকড়ে ধরেছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। অর্থপাচার সহ নানা স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে। তবে সরকার ড. ইউনূসের সঙ্গে মনিকা ইউনূসের প্রস্তাব অনুযায়ী সমঝোতায় যাবে এমনটি ভাবনার কোন কারণ নেই। কারণ বিষয়টি নিয়ে যে মতবিরোধ তা সুষ্পষ্ট আইনগত। সরকারের অবস্থান হলো কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। ড. ইউনূস যতই পুরস্কারই পান না কেন তাকে দেশের আইন মানতে হবে। অন্যদিকে এ ধরনের সমঝোতা হরা হলেই প্রমাণিত হবে যে, ড. ইউনূসের মামলাগুলো ছিল রাজনৈতিক আক্রোশ প্রসূত। সরকার সে রকম ঝুঁকিতে যাবে না। তাই মনিকা ইউনূসের প্রস্তাবের ব্যাপারে সরকার যে কোন প্রক্রিয়া দেখা না এটা বলাই বাহুল্য।

মনিকা ইউনূস   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডোনাল্ড লু'র ঢাকা সফরের কারণ জানালেন পররাষ্ট্রসচিব

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুই দিনের সফরে আগামী ১৪ মে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। নির্বাচন পূর্ববর্তী অস্বস্তিকে পেছনে ফেলে ঢাকা-ওয়াশিংটের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আলোচনা করতে তিনি ঢাকা সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।

নির্বাচন পূর্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে অস্বস্তি ছিল তা কাটিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে লুর সফরে আলোচনা করবেন কিনা জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রসচিবের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর ওনার প্রথম সফর হবে এটা। তার (লু) আসার সেটাই উদ্দেশ্য নিশ্চই। নির্বাচনের আগে যে চিত্র ছিল, এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্থিতিশীল একটি সরকার। সরকার রেগুলার কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সব দেশ আমাদের সঙ্গে এনগেজ হতে চায়।

দুই দিনের সফরে আগামী ১৪ মে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু। তার সফরে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের সঙ্গে ওদের প্রচুর মেকানিজম আছে, ডায়লগ আছে। সেগুলো কীভাবে রিয়েক্টিভ করা যায়। ওদেরও আবার নির্বাচন আছে। কোন কোন মেকানিজমকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাবে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যুটা সবসময় আলোচনায় থাকছে। পারস্পরিক সম্পর্কের সবগুলো উপাদান থাকবে।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।

ডোনাল্ড লু   পররাষ্ট্রসচিব   মাসুদ বিন মোমেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীন-ভারতের সাথে ভারসাম্য কতদিন রক্ষা করতে পারবে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ সফরে তিনি আজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে একজন পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। 

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই মূলত বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর। এই সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বিনয় মোহন কোয়াত্রা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

ভারতের লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে অনিশ্চয়তায় ভরা এই নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা এখন পর্যন্ত অনুমান করা যাচ্ছে না। এ রকম পরিস্থিতিতে ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হবে না তার ইঙ্গিত দেওয়া হলো পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে। এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল যে, বাংলাদেশ তাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত যে অত্যন্ত আগ্রহী এই বার্তাটি সুস্পষ্ট হলো। 

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যখন বাংলাদেশ সফর করছেন, সেই সময় জানা গেল যে, আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের জন্য প্রস্তুতি চলছে। চীনের পক্ষ থেকে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কূটনীতির একটি অন্যতম নীতি হলো প্রতিবেশী প্রথম। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন ভারতের। ভারতের পরপরই তিনি চীন সফরে যাবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে। 

এবারের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের একটা তাত্পর্যপূর্ণ দিক ছিল যে, বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পের জন্য ভারত বিনিয়োগে আগ্রহী। এই তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে চীন। বিশেষ করে তিস্তা ব্যারাজের দুইপাশে জলাধার নির্মাণ করা এবং বর্ষা মৌসুমে সেই জলাধারে পানি সংরক্ষণ করা যেন গ্রীষ্ম মৌসুমে কোনো সমস্যা না হয়। সেই জন্য এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ভারত এতদিন ধরে এই ধরনের প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু এবার পররাষ্ট্র সচিব এই প্রকল্পের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর ইস্যু তিস্তার পানি চুক্তির ব্যাপারেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠেছে যে, ভারত বাংলাদেশের ব্যাপারে এত আগ্রহী কেন? এর অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশ যেন চীনের বলয়ের মধ্যে প্রবেশ না করে এবং চীনের।নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না যায়। এমনিতেই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশগুলো এখন চীনের বলয়ের মধ্যে ঢুকে গেছে। মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলে ভারতের একমাত্র বন্ধু। এ কারণেই ভারত এখন কোন ভাবেই চাচ্ছে না যে, বাংলাদেশ যেন চীনের সাথে অতি মাখামাখি সম্পর্ক করে। আবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য চীনের ওপর অনেক খানি নির্ভরশীল। আর এ কারণেই বাংলাদেশ চীন এবং ভারতের সাথে সমান্তরাল ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। কিন্তু দুদেশ বাংলাদেশকে কাছে পাওয়ার জন্য যেভাবে আগ্রাসী ভূমিকায় আছে তাতে কতদিন বাংলাদেশ এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।

চীন   ভারত   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছাল বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ থেকে এই বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছে।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি দেশটির জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে অবতরণ করে।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল-খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের (JEDCO) সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ্জ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হজযাত্রীদের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলেও আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশি হজযাত্রীগণ এদিন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সৌদি আরব   হজ ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিককে জরিমানা


Thumbnail

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

 

মসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাজহারুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান,নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা জরিমানার আওতায় আনা হবে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান। 

 

অভিযানকালে খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার,স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবাল,আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড প্রয়োগের পাশাপাশি ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। 


এডিস মশা   লার্ভা   জরিমানা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবাধিকার সুরক্ষার তাগিদে দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপরে গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) কমনওয়েলথ ফোরাম ফর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনস এর বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এই গুরুত্বারোপ করেন। সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সহ সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক অংশগ্রহণ করেন। 

সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২২-২০২৪ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ‘ক্রীড়া এবং মানবাধিকার’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পেশ করা হয়। উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কমনওয়েলথ ফোরাম ফর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসের স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য।  

এছাড়াও, গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মানবাধিকারের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়। 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন