নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা
বলেছেন- নির্বাচন কমিশনকে মানুষের কাছে আস্থার জায়গা
তৈরি করতে হবে। এটা
যদি নষ্ট হয়ে যায়
বা গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা
ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। নির্বাচন
ছাড়া শাষণ ব্যবস্থা পরিবর্তন
সম্ভব না। যা জনগণ
এবং আইনের চাওয়া। আর নির্বাচন কমিশন
সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।
যেন আন্তর্জাতিক মহলেও তা গ্রহণযোগ্যতা পাই।
এছাড়াও আমরা একজন ভোটারদের
ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছি।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রিজাইডিং অফিসারে সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বেগম রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম বলেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য করতে পেরেছিলাম। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিষ্কণ্টক ও স্বচ্ছ করা কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব না। সংশ্লিষ্ট সকলের দায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার নিদর্শন সৃষ্টি করেছে। যদি নিরপেক্ষ না হতো তাহলে এতো বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারতেন না। এমন কি সারাদেশে অনেক হেভীওয়েট প্রার্থীরা পরাজিত হতোনা’।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক
ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা
গোলাম মওলা। এসময় রাজশাহী বিভাগীয়
অতিরিক্ত কমিশনার ফয়সল মাহমুদ, আঞ্চলিক
নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক সহ প্রশাসনের
অন্যান্য কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা যান। এতে ওই আসনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই আসনে আগামী ১২ ফেব্রæয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ওই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু, জাতীয় পাটি মনোনিত লাঙ্গল প্রতিকের অ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতিকে ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম ও ঈগল প্রতিকে মেহেদী মাহমুদ রেজা প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
রাশেদা সুলতানা নির্বাচন ইসি আমিনুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।