গোপালগঞ্জে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে জমিজমা বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে চোখ হারাতে বসেছে শিলন শেখ (২৫) নামের এক যুবক। মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিলন শেখ বলেন, খাগাইল গ্রামে বাড়ীর সীমানার জমি নিয়ে ওবায়দুল শেখের সাথে আকরাম মৃধার দ্বন্ধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলে দুইজনের সম্মতিতে সীমানা প্রাচীর তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়।
আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সীমানা প্রাচীর তৈরীর করার জন্য শিলন শেখসহ কয়েকজন রাজমিস্ত্রী কাজ করতে আসে। এসময় আকরাম মৃধার ছেলে আজিজ মৃধা বাঁধা দিলে বাকবিতন্ডা এক পয্যায়ে আহত শিলনের মামাকে মারতে গেলে সে ঠেকাতে যায়। এসময় আজিজ মৃধা রাজমিস্ত্রী শিলন শেখের ডান চোখে চুরি দিয়ে আঘাত করে।
এতে শিলন মারাত্মক আহত হলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত আজিজ মৃধা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছুরিকাঘাতে ওই যুবকের চোখের কার্নিয়া ও টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল জমিজমা বিরোধ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।