ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ কমলেও আতঙ্ক কাটেনি

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। তবে, সীমান্তের বান্দরবান এলাকায় গুলির শব্দ কমে এসেছে। দুদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত শান্ত থাকায় আতঙ্ক কমেছে স্থানীয়দের মধ্যে। ফলে ঘরে ফিরেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন। যদিও বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুমধুম মধ্যমপাড়া এলাকা থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি মর্টার শেল উদ্ধার করেছে বিজিবি।

ঘুমধুম সীমান্ত গোলাগুলির শব্দ কমে এলেও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তে।

অন্যদিকে বান্দরবানের ঘুমধুমে আশ্রয় নেওয়া ১০১ জন বিজিপি সদস্যকে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিকেলে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে অনেক অপরাধী পালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, সীমান্তের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও মংডুর সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নবী হোছাইনের আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (এআরএ) মধ্যে হয়েছে। আরাকান আর্মির পক্ষে নেওয়াকে কেন্দ্র করে আরএসও এবং এআরএ নতুন করে বিবাদে জড়িয়েছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১০-১২টা গুলির শব্দ ও ২-৩টি মর্টার শেলের আওয়াজ শোনা গেছে। এতে নতুন করে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেদেশের বিজিপির সংঘর্ষ পালংখালী সীমান্ত অংশে থেমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।’

অন্যদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আর কেউ নেই বলে জানা গেছে। পরিস্থিত শান্ত হয়ে আসায় লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজনকে সরিয়ে নেয় বান্দরবান জেলা প্রশাসন। 


মিয়ানমার   সীমান্ত   গুলি   জান্তা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্সের প্রতিবাদে সিলেট নগর বিএনপি’র মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেছেন, সিলেট নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ থেকে এক লাফে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যা নগরবাসীর জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ এর মতো। সিটি কর্পোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে পুরো নগরবাসী ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ।

রবিবার (১২ মে) সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সিসিক কর্তৃক অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপি হোল্ডিং ট্যাক্সের বিপক্ষে নই। তবে তা হতে হবে সহনীয় পর্যায়ে। অবিলম্বে অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সিলেটের জনগণ ক্ষুব্ধ রাস্তায় নেমে গেলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সিলেট মহানগর, ৪২টি ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, জিয়াউল হক জিয়া, আমির হোসেন, মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মুর্শেদ আহমদ মুকুল, মহানগর যুবদলের সভাপতি নেওয়াজ বক্ত তারেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জামান রোজি, মহানগর জাসাসের আহবায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুবের আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ প্রমূখ।


ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্স   সিলেট নগর বিএনপি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের হল রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় ময়নুল হক মনু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই মামলায় আরও পাঁচজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১২ মে) ভোরে ডোমার পৌর এলাকার চিকনমাটি ধনীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে থানা-পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ময়নুল হক মনু ওই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন আলী বলেন, আমরা ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করছি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ মে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ডোমার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে (কন্ট্রোল রুম) ফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করা হলে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।

কারাগারের পাঁচ আসামি হলেন-উপজেলার ছোট রাউতা ফরেস্ট পাড়া এলাকার আবু সুফিয়ান (৪০), সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা থানাপাড়া এলাকার রাকিউল ইসলাম (৪০), চিলাই পাগলা বাজার এলাকার মো. দুলু (৩৮), পশ্চিম বোড়াগাড়ি স্কুলপাড়া এলাকার রিমুন ইসলাম (২৪) ও পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা এলাকার হারুন অর রশিদ (৩০)।


আওয়ামী লীগ   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ মে) সকালে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার মোছড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বিয়ের পর থেকে পরিবারিক কলহ নিয়ে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়ার উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালাতো স্বামী আশিকুর রহমান শেখ।

রোববার (১২ মে) সকালে মুনিয়াকে বেদম মারধার করে স্বামী। এর এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন মুনিয়াকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আশিকুর রহমান শেখকে আটক করে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


স্ত্রী হত্যা   শ্বাসরোধ করে হত্যা   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৈয়দপুরে বন্ধ বিমান ওঠা-নামা

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। রানওয়েতে বৈদ্যুতিক তারে শর্টসার্কিটের কারণে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ করা হয়।

রোববার (১২মে) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ

তিনি বলেন, রানওয়ের বৈদ্যুতিক লাইনে শর্টসার্কিটের কারণে সন্ধ্যার দিকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়। ইতোমধ্যে তিনটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। আমরা দ্রুত বিমান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।


সৈয়দপুর বিমান বন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ: ০৮:১৯ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে তানভীর ইসলামের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তানভীর ইসলামের সমর্থকদের মারধর করে কামালের সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে কামালের লোকজন। আজকে আমার সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে কামালের সমর্থকরা হামলা করেছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।


উপজেলা নির্বাচন   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন