ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁর আবাদপুকুরহাট কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও জরাজীর্ণ হাট-বাজার

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail আবাদপুকুরহাটের মাছের পট্টি শেডের বর্তমান অবস্থা

সরকারের রাজস্ব আদায়ের বড় একটি খাত হচ্ছে হাট-বাজার। যে হাট থেকে প্রতিবছর কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয় অথচ সেই হাটের জরাজীর্ণ অবস্থা। এমনই জীর্ণশীর্ণ অবস্থার হাট হচ্ছে নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর হাট। জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই হাট থেকে কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও বর্তমানে সংস্কারের অভাবে অবস্থা খুবই বেহাল।

বছরের পর বছর বরাদ্দকৃত নির্ধারিত অর্থের সঠিক ব্যবহার না করায় আবাদপুকুর হাটের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের মধ্যে কেনা-বেচা করতে হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতাদের। তাই দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ ধান পশুর হাটটিকে আধুনিকায়ন করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়রা বলছেন, কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও হাটটির উন্নয়নের কোনো সদিচ্ছা নেই হাট-বাজার কমিটির সভাপতির। বিগত দিনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও হাটের উন্নয়নের বিষয়ে ছিলেন উদাসীন। বছরের পর বছর তারই ধারাবাহিকতা চলে আসছে বলে অভিযোগ হাট সংশ্লিষ্টদের।


সূত্রে জানা গেছে যে, জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান পশুর হাট হচ্ছে উপজেলার আবাদপুকুর হাট। মাছ-মাংস সবজি বিক্রেতাদের জন্য কয়েকটি শেড নির্মাণ করে দেওয়া হলেও বর্তমানে এই হাটের মাছপট্টির শেডগুলোর টিন মরিচায় নষ্ট হয়ে গেছে। বছরের পর বছর মেরামত না করায় বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। কোনটির টিন ঝড়ে উড়ে গেছে।

হাট-বাজারে ঢুকলেই ক্রেতা-বিক্রেতার ভোগান্তির শেষ থাকে না। হাটের শেডগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ, কোথাও টিনের চালা ভেঙে পড়ে আছে। আবার কোথাও টিনের চালা নেই, ফাঁকা পড়ে আছে। তাই কোনো কোনো ব্যবসায়ী তাম্বু টাঙিয়ে ব্যবসা করছে।

সপ্তাহের রবিবার বুধবার হাটের দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘঠে এই হাটে। আর সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে বসে বাজার। কিন্তু বর্তমানে হাটের শেডগুলোর জরাজীর্ন অবস্থার কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ভিজে আর শুষ্ক মৌসুমে রোদে পুড়ে বেচা-কেনা করতে হয় হাটে আসা মানুষদের।

এছাড়া হাটে একটি ব্যবহারযোগ্য গণশৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সবাইকে। হাটের মধ্যে চলাচলের জন্য রাস্তা পানি নিষ্কাশনের জন্য খারাপ ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।

অথচ গত ২০২২সালে এই হাটটির ইজারা মূল্য ছিলো ৮২লাখ টাকা, যা ভ্যাট অন্যান্য খাত মিলে সরকার এই হাট থেকে সরকার রাজস্ব হিসেবে কোটি টাকা আয় করে আসছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতিবছর সরকারি ইজারা মূল্যের শতকরা ১৫শতাংশ অর্থ হাটের সংস্কার, মেরামত অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে ব্যয়ের নিয়ম থাকলেও উপজেলা প্রশাসন তা মানছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।


তাই হাটের সার্বিক অবকাঠামোগত কাজে বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক ভাবে লাগানোর দাবী হাটমুখি মানুষ ব্যবসায়ীদের।

অপরদিকে হাট ইজারার অর্থ থেকে বছরের পর বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ জমছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিজম্ব এ্যাকাউন্টে। সেই এ্যাকাউন্টে জমে থাকা হাট বাজার সংস্কারের কোটি কোটি টাকার লভাংশ কোথায় যাচ্ছে, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ লভাংশ প্রাপ্তির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই হাটগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না বলে মনে করছেন অনেকেই।

এদিকে হাটের দিন সরেজমিনে গিয়ে ছবি তুলতে লাগলেই মাংস ব্যবসায়ী কসাই রশিদুল শেখ বলতে লাগলেন, ভাই শেডটা করার ব্যবস্থা করে দেন। আপনারা চেষ্টা করলেই হবে ভাই। রশিদুল বলেন, এই কসাইয়ের ব্যবসা তার পারিবারিক ভাবে। আমার দাদা মোশাররফ কসাই বাবা সোলেমান কসাই ব্যবসা করেছেন। আমি আমার বাবার সাথে ভাগা দিয়ে মাংস বিক্রি করেছি।

এখানে আমরা সাতজন কসাই ব্যবসা করি। তবে সামনে বর্ষাকাল, তাই দু:শ্চিন্তা এখন থেকেই। কারণ বৃষ্টি শুরু হলে মাংস ভিজে যাবে। অথচ আমরা ঠিকমতো হাটের টোল দিয়ে থাকি। তার মতো হাটে আসা কবুতর ব্যবসায়ী অন্যান ব্যবসায়ীরাও একইভাবে বললেন।

হাটের ইজারাদার হেলাল উদ্দিন হেলু মেম্বার বলেন, বর্তমানে হাটের প্রতিটি অংশের শেডের চরম বেহাল দশা। অনেকে আবার নিজেদের অর্থদিয়েই ভেঙ্গে যাওয়া শেডগুলো মেরামত করার চেস্টা করছেন। উপজেলা প্রশাসনের নিকট বিগত কয়েক বছরের হাটের ইজারা থেকে বরাদ্দকৃত যে পরিমাণ অর্থ জমে আছে সেই অর্থদিয়েও যদি হাটের আধুনিকায়নের কাজ করা হয় সেটাই আমাদের জন্য অনেক।

উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ইচ্ছে করলেই হাটের এমন বেহাল দশা থেকে আমাদেরকে মুক্ত করতে পারেন। তাই এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্রতি দ্রæ সুদৃষ্টি দেবার অনুরোধ করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে জানান, গতবছর তৎকালীন ইউএনও শাহাদাত হুসেইন স্যারের নির্দেশক্রমে উপজেলার সকল হাট বাজারের আধুনিকায়নের কাজের জরিপ সম্পন্ন করে জমা দেয়া হয়েছে। এরপর ওনি বদলী হওয়ার কারণে পরবর্তিতে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

এই বাবদ অর্থ ইউএনও স্যারের নিজস্ব এ্যাকাউন্টে জমা থাকে এবং সেই অর্থ খরচের বিষয়ে একমাত্র তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। তাই এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আমাকে জানালেই দরপত্রের মাধ্যমে কাজ শুরু করা যেতে পারে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, আমি গতবছরের অক্টোবরে এই উপজেলায় যোগদান করেছি। তাই এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দ্রæতই পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।


রশিদুল   আবাদপুকুরহাট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন