ইনসাইড বাংলাদেশ

জিআই ঝুঁকিতে জাতীয় ফল–ফুলসহ নানা পণ্য

প্রকাশ: ১০:৪৬ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ঝুঁকি বেড়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় ফল কাঁঠালসহ নানা পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ দুটির অভিন্ন ও সমনামের পণ্য যত দ্রুত সম্ভব জিআই সনদভুক্ত করার তাগিদ অর্থনীতিবিদ, জিআই বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীদের। তবে এসব পণ্য জিআই করার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর গা-ছাড়া ভাব দেখা গেছে। 

ভারতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মহলে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে দ্রুততার সঙ্গে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআইয়ের আবেদন হয় গত মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই আবেদন গেজেটভুক্ত করতে বিজি প্রেসে পাঠায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের জিআই সনদ দেয়। 

জিআই পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়ির গেজেট প্রকাশিত হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। গেজেট প্রকাশের পর আইনত দুই মাস অপেক্ষার পর কোনো আপত্তি না এলে এই শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। 

আটটি পণ্য ভারতে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশেও আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মালদা ফজলি আম, মালদা লক্ষ্মণভোগ আম, মালদা ক্ষীরশাপাতি, নকশিকাঁথা, বাংলার রসগোল্লা, উপাধা জামদানি, গরদ শাড়ি ও সুন্দরবনের মধু।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এমন অনেক পণ্য ও স্থান আছে, যেগুলোর বাংলাদেশের সঙ্গে মিল আছে। এরই মধ্যে আটটি পণ্য ভারতে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশেও আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মালদা ফজলি আম, মালদা লক্ষ্মণভোগ আম, মালদা ক্ষীরশাপাতি, নকশিকাঁথা, বাংলার রসগোল্লা, উপাধা জামদানি, গরদ শাড়ি ও সুন্দরবনের মধু।

এমন আরও পণ্য আছে, যেগুলোর এখনো জিআই ভারত করেনি। কিন্তু এসব পণ্য উভয় দেশে আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় ফল কাঁঠাল, সুন্দরবনের গোলপাতা, সুন্দরীগাছ, নানা ধরনের মাছ, চা, পাট, সাতকরা উল্লেখযোগ্য।

দেশে জিআই আইন পাস হয় ২০১৩ সালে। প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি। পরের ১০ বছরে স্বীকৃতি পায় ১১ পণ্য। আর ২০২৩ সালে এক বছরেই ১০ পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশ।

গত বছর ১০ পণ্যের জিআই সনদের পেছনে অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (ইডিসি) বড় ভূমিকা আছে। জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারের নানা দপ্তর যখন জিআইয়ের গবেষণার কাজে গাফিলতি করছিল, তখন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করেন ইডিসির সদস্যরা। ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই করার পরও অভিন্ন পণ্য নিয়ে সরকারের দপ্তরগুলোর ঢিলেমি রয়ে গেছে।

এমন আরও পণ্য আছে, যেগুলোর এখনো জিআই ভারত করেনি। কিন্তু এসব পণ্য উভয় দেশে আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় ফল কাঁঠাল, সুন্দরবনের গোলপাতা, সুন্দরীগাছ, নানা ধরনের মাছ, চা, পাট, সাতকরা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে উত্তর ও দিনাজপুর নামে দুটি জেলা আছে। সেখানকার লিচুও বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের দিনাজপুরের প্রসিদ্ধ লিচুর জিআই এখনো হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতের আবেদনে বড় ফাঁক হলো, সেখানে টাঙ্গাইল নামে কোনো এলাকা নেই। কিন্তু দিনাজপুরের লিচু নামে যদি ভারতে জিআই হয়ে যায়, তখন জটিলতায় পড়বে বাংলাদেশ। 

আবার বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশের মধ্যে পড়েছে সুন্দরবন। ইতিমধ্যে এ বনের মধু জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করেছে ভারত। কিন্তু সুন্দরবনের আরও অনেক সম্পদ আছে, যেগুলো উভয় দেশেই আছে। যেমন গোলপাতা, সুন্দরীগাছ, নানা ধরনের মাছ। এসব পণ্যও জিআই করার বিষয়ে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, বাংলাদেশ উভয় দেশের অভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে যৌথ মালিকানার বিষয়ে আইন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক চুক্তির আওতায় দুই দেশের সমনামের পণ্যের জিআই নিবন্ধন করা যেতে পারে। তৃতীয়ত, পণ্যের উৎস ও এর নিবন্ধন নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিসবন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারত কেউই লিসবন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। তবে যৌথ মালিকানা পণ্যের বিষয়ে চুক্তিতে যেতে হলে বাংলাদেশের বিদ্যমান জিআই আইন সংশোধন করতে হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।


জিআই   জাতীয়   ফল   ফুল   পণ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি মাসে অবসরে যাচ্ছেন ৪ জন: সচিব পদে আসছে ১৫তম ব্যাচ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অবসরে যাচ্ছেন। আর তাদের অবসরের পর শূন্য সচিব পদে বেশ কয়েকটি শূন্যপদ হচ্ছে। আর এই শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রথমবারের মত ১৫তম ব্যাচের অভিষেক হচ্ছে।

অবশ্য ১৫তম ব্যাচের খাইরুল ইসলাম ইতোমধ্যে সচিব হয়েছেন। তবে তিনি অবসরে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে তাকে সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হয়। এখন তিনি বিডার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খায়রুল ইসলামের সচিব পদোন্নতিটা ছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় বলেই অনেকে মনে করেন। এখন নিয়মিতভাবে ১৫তম ব্যাচ থেকে সচিব পদে পদায়ন শুরু হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

সচিব পদে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে আগামী ১৮মে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অবসরে যাচ্ছেন। তপন কান্তি ঘোষের মেয়াদ গত বছর ১৮মে শেষ হয়েছিল। তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আগামী ১৬মে তিনি শেষ কর্মদিবস পালন করবেন। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া, ৩১মে অবসরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, না তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জনাব মুস্তাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২৫মে এবং তার চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের এই পদে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম হবে কি না তা বোঝা যাবে প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই।

এছাড়াও, বহুল আলোচিত আর্থিক খাতের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ অবসরে যাচ্ছেন চলতি মাসের ২০মে এবং তারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। আর্থিক খাতের নতুন সচিব কে হবেন তা নিয়ে বিভিন্নমুখী আলোচনা চলছে।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে যে, চলতি মাসে এই চারজন গুরুত্বপূর্ণ সচিবের অবসর ছাড়াও সামনের দিনগুলোতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সচিবের পদ খালি হচ্ছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকারের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১২জুন। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়া, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল এর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১৫জুন। হাসানুজ্জামান কল্লোল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাবেন না।

তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৫ জুলাই। তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন কিনা তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা আছে। তবে শেষপর্যন্ত যদি তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না হয় সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নাম আছে। তার মধ্যে রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল এবং শিল্পমন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কে হবেন এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে নিবেন প্রধানমন্ত্রী‌।


সচিব   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়   বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তারাই ছিলেন মূল কারিগর?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। সফরের প্রথমেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রিত হচ্ছেন। এরপর তার বিভিন্ন রকমের কর্মসূচী আছে। বাংলাদেশ সফরে তিনি যাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন সেই তালিকায় সালমান এফ রহমান ছাড়াও রয়েছেন জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এই দুইজন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।

অনেকেই মনে করছেন যে, গত বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকেন সেজন্য যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে এই দুইজন ব্যক্তি শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। একই সাথে বাংলাদেশের র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের উপর একধরনের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা শুরু থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একধরনের আগ্রহ ছিল প্রকাশ্য। বাংলাদেশে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় এবং সকল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রীতিমত চাপ প্রয়োগ করছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এই ভিসা নীতির আওতায় যারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হবেন তাদেরকে আনা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আস্তে আস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টাতে থাকে এবং ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নমনীয় একটি অবস্থান গ্রহণ করে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে দেখা গেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি হলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি একাধিকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আফরিন হকের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সাথেও তিনি বৈঠক করেন।

সালমান এফ রহমান ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর সাবের হোসেন চৌধুরীর পরীবাগের বাস ভবনে গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আর এই সমস্ত ব্যক্তিরা আলাদাভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। আর এই কারণেই কি ডোনাল্ড লু তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন?


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   সাবের হোসেন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে চীনের নেটওয়ার্ক বাড়ছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন এতদিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদার ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে তাদের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রেখেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চীন বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নেটওয়ার্ক বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে।

গত সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের ৯ সদস্যের একটি দল চীনে গেছেন। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছে। বামদলগুলো বিভিন্ন সময়ে চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তাদের এই সফরের ব্যাপারে রাজনৈতিক কোন বাক পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। কিন্তু এই সময় ১৪ দলের শরীকদেরকে চীনে নিয়ে যাওয়া রাজনীতিতে বেশ গুরুত্ব বহন করে বলেই অনেকে মনে করছেন।

আগামী ২৫ মে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের ৫০ সদস্যের একটি দল চীন সফরে যাবে। জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে তারা যাচ্ছেন। এ দলের নেতৃত্ব দিবেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। ২৫ জুন আওয়ামী লীগের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের দল চীন সফর করবে এবং এ দলটির নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহকে। ১০ সদস্যের এ দলে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এই চীন সফর রাজনীতির অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, চীন এখন বিএনপির সঙ্গেও এক ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির বিভিন্ন চীনপন্থি নেতাদের সঙ্গে তারা নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে।  এতদিন ধরে চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বলয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল এবং এখন অর্থনৈতিক বলয়ে মোটামুটি প্রভাব বিস্তার শেষ করেছে। এখন চীন রাজনৈতিক বলয়েও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

চীন শুধু বাংলাদেশে নয়, এই কৌশল মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও গ্রহণ করেছিল। যেখানে তারা প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে দেশটির উপর একধরনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে এবং অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে নির্ভরশীল করে তোলে। অর্থনৈতিক নির্ভরতার পর তারা আস্তে আস্তে রাজনীতিমুখী হয় এবং রাজনৈতিক বিষয়ে তারা একধরনের প্রভাব বলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে মালদ্বীপে চীন অর্থনৈতিক আধিপত্যের মাধ্যমে এখন রাজনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করেছে। ঠিক একই ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে কিনা এনিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম ঋণদাতা এবং বাংলাদেশ এখন ক্রমশ চীনের ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপরও চীনের প্রভাব বাড়ছে। যদিও বর্তমান সরকার এখন চীনের কাছ থেকে নতুন করে ঋণ গ্রহণ এবং চীনা প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তারপরও সরকারের ভিতর একটি অংশের চীনের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য করার আগ্রহ বেড়েছে। এটির অন্যতম কারণ হলো চীনের কাছ থেকে সহজেই কমিশন পাওয়া যায়, চীনের প্রকল্পগুলোতে উপরি আয়ের সুযোগ বেশি- ইত্যাদি নানা বাস্তবতায় চীন নির্ভরতা আমাদের অর্থনীতিতে বেড়েছে এবং তারই সূত্র ধরে এখন চীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন   চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই   বাংলাদেশ   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর সেই নাবিকরা

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এমভি জাহান মনি-৩ জাহাজটি সেই ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছে।

আর এতে করেই শেষ হলো ২৩ পরিবারের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে এই নাবিকদের অনেক স্বজন কেঁদে ফেলেন। নাবিকদের বরণ করতে ফুল হাতে জেটিতে আসেন স্বজনরা।

জলদস্যুদের কবলে থাকার দিনগুলোকে বিভীষিকার দিন বলে আখ্যা দেন এই নাবিকদের বরণ করতে আসা এক স্বজন। তিনি বলেন, সেই দিনগুলোকে আর মনে করতে চাই না।

এক মাস আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে (জিম্মিদশা) মুক্ত হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করেছে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায়। কিন্তু দেশে ফিরলেও স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তাদের আরও একদিন অপেক্ষা করতে হয়।

অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে চুনাপাথর আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়। সেখানে দুই দিনের মধ্যে ৫৩ হাজার মেট্রিকটন চুনাপাথর লোড করে জাহাজটি গত ১৪ দিন আগে বাংলাদেশের উদ্দেশে রাওনা হয়।

গতকাল বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেয় ২৩ জন নাবিকের নতুন একটি টিম। জাহাজটিতে ৫৩ হাজার মেট্রিকটন চুনাপাথর থাকায় জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করা হয়। আজ একটি লাইটারেজ জাহাজে তাদের চট্টগ্রাম নেওয়া হলো।


বাংলাদেশি নাবিক   সোমালিয়ান জলদস্যু   জাহাজ   এমভি আব্দুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর গুলশান এলাকার নিকেতনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফার্গো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান এবং নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে এ যৌথ-উদ্যোগ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেসেবিলিটি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই যৌথ-উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্য রফতানি কার্যক্রমকেও সমৃদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এছাড়া উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বেরর চল্লিশাধিক দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ কেমিকেল ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসের ‘সলিদারিদাদ’ ও সুইজারল্যান্ডের ‘সিনজেনটা ফাউন্ডেশন’ দ্বারা প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফারগো ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে। এছাড়াও, পিকেএসএফ, ইফাদ, ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষিত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর শুটকি, মশলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে। তারা জানান, ফারগো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে ও চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ওভারওয়েট ও অবেসিটি ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদান, যথা, হোল গ্রেইন, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট- বেজড ওয়েল, ফল ও শাকসব্জি এবং নিরাপদ পানির কথা বলেছে। উক্ত সপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করতে চায় ফারগো।

তিনি বলেন, আমরা ধ্বংস থেকে উন্নয়নের দিকে যাবো। ফারগো আজ থেকে সেই প্রচেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলো। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি এবং অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩৬টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানান হামিদুল হক।


নেদারল্যান্ডস   বাংলাদেশ   খাদ্য  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন