১৯৫২ সালের এ সময়ে একুশের আন্দোলনের ডালপালা ছড়িয়ে যেতে থাকে সারা দেশে। এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ছাত্রসমাজ। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বলিষ্ঠ আন্দোলন গড়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলা ও মহকুমায়ও ছাত্র-ছাত্রীরা দলে দলে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার অন্দোলনে রাস্তায় নেমে পড়েন।
একুশের দিনলিপি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৫২ সালের এগারোই ফেব্রুয়ারি দিনটি একাধিক ঘটনার তাৎপর্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একুশের কর্মসূচি পালন উপলক্ষ্যে বিস্তারিত খবর ও নির্দেশ জানতে জেলা ও মহকুমা শহর থেকে দুই-একজন করে ছাত্র-যুবনেতা ঢাকায় আসছেন, ফেরত যাচ্ছেন।
চলছে এরকম আসা-যাওয়া। আবার ঢাকা থেকে কখনো দূত, কখনো বার্তা যাচ্ছে কোনো কোনো জেলা শহরে। এককথায়-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে পূর্ববঙ্গজুড়ে। পতাকা দিবস যত না অর্থ সংগ্রহের তাগিদে, তার চেয়ে বেশি গণসংযোগের উদ্দেশ্যে।
এ কাজে যেমন যুবলীগের কর্মী, তেমনই ছাত্রাবাসের তরুণ কর্মীদের দেখা গেছে বিশেষ তৎপরতায়। রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এদিক থেকে বলা যায় আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। একুশ উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ হয়ে ওঠে উত্তাল। সেজন্য তাকে অভাবিত মাশুলও গুনতে হয়েছে। শামসুজ্জোহা, সফি হোসেন, মমতাজ বেগমসহ কয়েকজনের নেতৃত্বের গুণে একুশের ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জ বিশিষ্টতায় লিপিবদ্ধ।
ঢাকার মতো এখানেও অল্পবয়সি ছাত্রছাত্রীরা একুশের প্রেক্ষাপট তৈরিতে স্কুল ছেড়ে পথে নেমেছে। মিছিলে স্লোগানে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। এক অদ্ভুত আবেগ তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক যোগাযোগ বরাবরই নিবিড়। ব্রিটিশ শাসনামল পেরিয়ে পাকিস্তানেও তা একই রকম।
ঢাকা জেলার অন্য দুই মহকুমা শহর মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের তুলনায় নারায়ণগঞ্জ অতিমাত্রায় রাজনীতি সচেতন। তাই এখানে একুশ উপলক্ষ্যে পোস্টার, ব্যানার ও দেওয়াললিপির রক্তিম বর্ণমালা শোভা পাচ্ছে দেওয়ালে দেওয়ালে। নারায়ণগঞ্জের বিশেষ খ্যাতি শ্রমিক অঞ্চল হিসাবে। একুশের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা-এখানকার শ্রমজীবী মানুষ একুশের ডাকে ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়াবে। সেই প্রত্যাশা মিথ্যা হয়নি। একুশের প্রতিবাদী পাথর এখানে দ্রুতই গড়াতে শুরু করে।
শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, ছাত্রদের ডাকে একুশকে সফল করে তুলতে দেখা গেল শহরে-শহরে, গ্রামে-গঞ্জে শিক্ষায়তন ঘিরে ছাত্রসমাজের প্রতিবাদী কর্মসূচির প্রস্তুতিতে। বেলতলার আহ্বান আর সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের তাতে সমর্থন বৃথা যায়নি।
একেকটি দিন যাচ্ছে আর প্রতিবাদী চিন্তার সাংগঠনিক প্রস্তুতি চলছে সুদূর রাজশাহী, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দক্ষিণে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনা এবং উত্তর-পূর্বে সিলেট, ময়মনসিংহ, গারো পাহাড়ের হাজং এলাকা, মধ্যখানে কুমিল্লা এবং যশোর, বগুড়া, পাবনা-সর্বত্র এক ধরনের ছাত্র-গণজাগরণ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন