ফেব্রুয়ারি বাঙালির আত্মজাগরণের মাস। ভাষা আন্দোলনের চেতনা আজও বাঙালি জাতির জীবনে প্রবহমান। ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি। যেদিন পাকিস্তানি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় দেশের দামাল ছেলেরা। তবে এই আন্দোলন হঠাৎ করে বা অল্প কয়েকদিনে চূড়ান্ত অবস্থায় রূপ লাভ করেনি। বরং দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টা আর তৎপরতার মাধ্যমেই এসেছে বায়ান্নর একুশ। ১৯৫২ সালে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হচ্ছিল ছাত্রজনতা।
ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৯৫২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পতাকা দিবস পালন করা করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারিও একই কমর্সূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সবর্দলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। রাজধানীসহ আশপাশের এলাকাগুলো তখন ভাষার দাবিতে প্রতিবাদমুখর। দেশজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে স্লোগান তোলে। সবর্ত্রই তখন বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার আওয়াজ। উল্টোদিকে আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে সরকারও নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। কিন্তু কোনো কিছুকে তোয়াক্কা করে না ভাষার মযার্দা রক্ষার দাবিতে আন্দোলনরতরা। আন্দোলনকারীদের পিছু হটাতে না পেরে ক্ষোভে দমনপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সরকার। চলে গ্রেপ্তার ও নিযার্তন। কিন্তু অদম্য বাঙালি সব কিছু তুচ্ছ করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ১১ ফেব্রুয়ারি পতাকা দিবসে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার নবাবপুর রোডে ছাত্র-জনতার বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিল আর স্লোগানে উত্তাল রাজধানী।
যত দিন যাচ্ছিল ততই গতি পাচ্ছিল ভাষার আন্দোলন। প্রকাশ্যে ও গোপনে চলছিল মিটিং মিছিল সভা–সমাবেশ। সর্বত্রই উচ্চারিত হচ্ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ৬ ফেব্রুয়ারি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি পতাকা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সে অনুযায়ী চলে কর্মসূচি সফল করার প্রস্তুতি। এরপর ১৯৫২ সালের আজকের দিনে পালিত হয় পতাকা দিবস। এদিন পুরুষের পাশাপাশি নারী কর্মীরা পতাকা বিক্রি করে ভাষা আন্দোলনের জন্য তহবিল গঠনের কাজ করেন। একই সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি সফল করার জন্য গণসংযোগের কাজ করেন। এভাবে পরিণতির দিকে এগোতে থাকে বাঙালির ভাষা আন্দোলন। এভাবে ধীরে ধীরে ভাষার প্রশ্নে সফলতা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন