সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ ( সাঃ)
এর মহান জীবনী অধ্যায়ন
এবং সে আলোকে নিজেকে
গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা জাগাতে শেরপুর সদর উপজেলার ডুবারচরে
অবস্থিত কামারের চর উচ্চ বিদ্যালয়ে
সীরাত কুইজ -কুইজ প্রতিযোগিতা-২০২৪
আয়োজন করেছে , পিচফুল সোসাইটি নামক ইসলামিক সংগঠন
৷
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল
সাড়ে ১০টায় কামারের চর উচ্চ বিদ্যালয়ের
কক্ষে সীরাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ৷ প্রতিযোগিতায়
আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল, আল
মাসুদ একাডেমি এন্ড স্কুল, কামারের
চর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, উম্মে
সালমা বিদ্যা নিকেতন, আইডিয়াল প্রিপারেটরী এন্ড হাই স্কুল
(ঝগড়ারচর শাখা ) ও কামারের চর
উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর
শিক্ষার্থীদের মাঝে থেকে মোট
২৬৯ জন প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ
করে৷
পিচফুল সোসাইটি র সভাপতি মাওলানা
মোঃ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ইসলামিক জ্ঞান থেকে দিন দিন
দূরে চলে যাচ্ছে ৷
যার ফলে সমাজে বিভিন্ন
অন্যায় মূলক কাজ (মাদক
সেবন, ইভটিজিং, রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি) জড়িত হচ্ছে ৷ তাই আমাদের
সংগঠন থেকে সবার মাঝে
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ
এর ভালোবাসা ও মহব্বত ছড়িয়ে
দিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাত্রদের
মাঝে সীরাত প্রতিযোগিতা -২৪ এর আয়োজন
করেছি ৷
সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ক্বারী মোঃ শামস উদ্দিন
বলেন, সীরাত চর্চার অভাবে দেশের সর্বত্র রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসূল (সা.) এর সীরাতের
অভাবে অনৈতিকতা, অমানবিকতা, মনুষত্বহীনতা আজ নিত্যদিনের ঘটনায়
পরিণত হয়েছে। মানুষ মানুষকে খুন, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা
এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, আইয়ামে জাহিলিয়্যাত
স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি
বলেন, নববী আদর্শের পূর্ণ
অনুসরণ ব্যতীত ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, রাজনৈতিক, জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক জীবনে পরিপূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুতরাং রাসূল
(সা.) এর সীরাত চর্চা
বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের মানুষের মাঝে সুন্নাহর অনুসরণ
বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে
" পিচফুল সোসাইটি" বিগত তিন বছর
যাবৎ সীরাত প্রতিযোগিতাও পুরষ্কার বিতরণ আয়োজন করে আসছি।
সংগঠনটি যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাকিল জানান, শেরপুর জেলার চরাঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
করেন প্রায় দুই শতাধিক প্রতিযোগী
৷ আমরা সঠিক মূল্যায়নের
মাধ্যমে ২০ জনকে প্রাথমিকভাবে
নির্বাচিত করবো৷ পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে তিনজনকে নির্বাচিত করে সম্মাননা প্রদান
করবো ৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন
আল মাসুদ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল মাসুদ,ন্যাশনাল
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজু ,আইডিয়াল প্রিপারেটরী এন্ড হাই স্কুলের
সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান ও সলিমুল্লাহ, উম্মে
সালমা বিদ্যা নিকেতনের আশরাফুল ইসলাম ও সুমন ,আইডিয়াল
কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুলের সহকারী
শিক্ষক ও সাংবাদিক মোরাদ
হাসান ৷
এসময় তারা বলেন ,এরকম
দ্বীনি সংগঠন আমাদের সমাজে খুবই প্রয়োজন ৷
এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশিত হচ্ছে
এবং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন
করতে পারবে ,সমাজ থেকে অন্যায়,
অপকর্ম উঠে যাবে সমাজে
শান্তি বিরাজ করবে ৷
অন্যন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন
মাওলানা মুফতি আল আমিন সা'দি, মুফতি আবুল
কালাম, বাবুল, স্বপন, শহিদুল, শামছুদ্দিন, মিন্টু, সোহেল, শাকিল, আলম সহ প্রমুখ ৷
সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ ( সাঃ) পিচফুল সোসাইটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।