নিপা ভাইরাস কেড়ে নিলো বরিশালের বানারীপাড়ার তিন বছরের ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশু তহুরার প্রাণ। প্রায় এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা পৌণে ১২টার দিকে জীবন প্রদীপ নিভে যায় তার। এ যেন ফুল প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই অঙ্কুরে ঝড়ে পড়ার মত।
তহুরা বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের এক সময়ের ইতালী প্রবাসী ও বর্তমানে ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন সান্টুর মেয়ে।
তহুরার দুই চাচা জানান, ভাতিজি তহুরা বাড়িতে বসে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার সপ্তাহ খানেক পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক মাস পূর্বে প্রথম দিন তাকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দ্বিতীয় দিন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় মহাখালীর আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসার পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকার শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিশু হাসপাতালে ২০ দিন আইসিউতে চিৎিসাধিন থাকা অবস্থায় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা পৌণে ১২টার দিকে তহুরা মারা যায়।
তহুরার এক চাচা জামাল রেজা আরও জানান, ‘তার ভাতিজি প্রথমে ঢাকায় আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ও পরে শিশু হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধিন ছিল। চিকিৎসক তাদের জানিয়েছেন তহুরা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল’।
এদিকে ফুলের মত ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশু তহুরার অকাল মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারে বইছে শোকের মাতম। বাবা-মা,ভাই-বোন ও স্বজনদের বুক ফাটা আর্তনাদ-আহাজারিতে হাসপাতাল ও বাড়ির পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, বানারীপাড়ায় নিপা ভাইরাসে শিশু তহুরারই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।