“রুখবো
দুর্নীতি, গড়বো দেশ হবে
সোনার বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে
সামনে রেখে প্রথমবারের মতো
নওগাঁয় অনুষ্ঠিত হলো দুদকের গণশুনানি।
এবারের গণশুনানির শ্লোগান ছিলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে
এবার আওয়াজ তুলুন।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি)
দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত
জেলা কার্যালয় নওগাঁর আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন
ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ
কমিটির সহযোগিতায় সদর উপজেলা পরিষদ
অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার
(তদন্ত) মো: জহুরুল হক।
জেলা
প্রশাসক মো. গোলাম মওলার
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন
দূর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক
(তদন্ত) আকতার হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক কামরুল আহসান, নওগাঁ'র পুলিশ সুপার
মুহাম্মদ রাশিদুল হক, দুর্নীতি দমন
কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর
উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ
কমিটির সভাপতি ডা. হাবিবুর রহমানসহ
অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে ১টি ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর
ও জেলার ১৫টি সরকারি দপ্তর
বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও
হয়রানির বিষয়ে সেবা প্রার্থীরা সরাসরি
উপস্থাপন করলে ৩৯টি অভিযোগে
মুখোমুখি হয়ে সেগুলো সমাধাণ
করে দেন বিভিন্ন সরকারি
দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।
জেলা
সদরে অবস্থিত যে কোন সরকারি,
আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি
বা হয়রানীর শিকার হয়েছে এমন অভিযোগের অনেকগুলো
শুনানি শেষে তাৎক্ষণিক সমাধান
করা হয়। এছাড়া অন্যান্য
অভিযোগ স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করে তার প্রতিবেদন
কমিশন বরাবর পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
এসময় অতিথি বলেন এই দেশের
মালিক জনগণ যা সংবিধানের
মাধ্যমে এই মালিকানা প্রদান
করা হয়েছে। আর সেই মালিকরা
সরকারী অফিসে গিয়ে সেবা পাবেন
না তা হতে পারে
না। মালিক তার দপ্তরে সেবা
নিতে গেলে হয়রানীর শিকার
হবেন এটা মেনে নেওয়া
যায় না।
প্রতিটি
কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলো
জনগণের সেবক। তাই জেগে ঘুমালে
সেই ঘুম ভাঙ্গানো কঠিন।
আমরা চাকরীজীবীরা যদি যে যার
স্থান থেকে দুর্নীতিকে না
বলি প্রতিরোধ না করি তাহলে
এই ধরণের শত শত দুদকের
পক্ষে দেশ থেকে দুর্নীতি
নামক ভাইরাসকে দূর করা সম্ভব
নয়।
তাই মৃত্যুর কথা ভেবে, একজন অসহায় মানুষের জন্য ভালো কিছু করে পরের স্থায়ী জীবনের জন্য নেকী অর্জনের কথা ভেবে, সর্বোপরি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ্য ও সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আজ থেকেই দুর্নীতি বিরুদ্ধে সবাইকে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রতি আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।