পটুয়াখালীর
রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী সদর
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খানের বিরুদ্ধে জনসংযোগে হামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন
করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বন ও
পরিবেশ উপকমিটির সদস্য বাশেদ সরকার।
রবিবার
(১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় সদর রোডস্থ
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন
করেন তিনি।
সংবাদ
সম্মেলনে বাশেদ সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আর সেই লক্ষ্যেই
গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায়
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের বাহের চর এলাকায় জনসংযোগ
করতে বের হলে উপজেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন খানের নেতৃত্বে প্রায় ২০/২৫ জন
সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা
চালায়। হামলার এক পর্যায়ে আমার
সমর্থকদের সাথে থাকা মোবাইল
ও নগদ টাকা নিয়ে
যায় এবং বিভিন্ন হুমকি
ধামকি দেন তারা।
এসময়
মামুন খানের সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫ জন গুরুতর
আহত হয়ে কলাপাড়া ও
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এবিষয়ে অভিযোগ
দিতে গেলে আভিযোগ নেননি
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হেলাল
উদ্দিন’।
তিনি
আরো বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন খান রাঙ্গাবালীতে একক
আধিপত্য কায়েম করার জন্য দলের
সিনিয়র নেতা থেকে সবার
সাথে খারাপ আচরণ করে যাচ্ছে।
যার প্রতিবাদও কেউ করতে পারছে
না আর প্রতিবাদ করলেই
হামলার শিকার হতে হয়। মামুন
খান একদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অন্যদিকে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
সামনে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সেখানেও তিনি প্রার্থী হতে
মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই
এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা দেখে
হামলা চালায় মামুন ও তার সন্ত্রাসীরা’।
এসময়
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসাইন ফরাদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
জুরান খন্দকার।
রাঙ্গাবালী
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান মামুন খান বলেন, আমার
বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা
হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
কারন হামলার ঘটনাস্থানে আমি ছিলাম না
এবং কে বা কারা
বাশেদ সরকারের উপর হামলা করেছে
তা আমি জানিনা।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, বাশেদ সরকার থানায় এসেছিলো কিন্তুু কোন লিখিত অভিযোগ দেননি।
বাশেদ সরকার সংবাদ সম্মেলন কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।