ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাষা আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখা হয়: জয়

প্রকাশ: ১০:২০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ভাষা আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারান্তরীণ রেখেছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। যেখানে এসব কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেন, ‘পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা।’

‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ জন নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।’

‘১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটক থাকা অবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন।’

তিনি আরও লিখেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।’

শেষে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-আমি কি ভুলিতে পারি?’ লিখেই ভাষাশহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।

ভাষা আন্দোলন   বঙ্গবন্ধু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের পৃথক বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউনিয়নের পাথরগ্রাম ও কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলীতে বজ্রপাতে ওই ২ জন মৃত্যুবরণ করেন। 

 

নিহতরা হলেন ধান কাটা শ্রমিক সুকান্ত (৫২) ও কৃষক আলমগীর শেখ (৫৫) ।

 

কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস, জানান তার ইউনিয়নের পাথর গ্রামে সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টিপাতের সময় ধান কাটা শ্রমিক সুকান্ত বজ্রপাতে মারা যান। সুকান্তের বাড়ি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা এলাকায় বলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। তিনি কয়েকদিন আগে ধান কাটতে বঠিয়াঘাটা থেকে পাথর গ্রামে আসেন।


গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী গ্রামে বজ্রপাত আলমগীর শেখ নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের কাশেম আলী শেখের ছেলে। কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান রাফেজা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


বজ্রপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীদের নির্বাচনে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়াও, গণমাধ্যমের মাধ্যমেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি।


সংসদ নির্বাচন   উপজেলা   ভোট   সিইসি   আগারগাঁও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক,৫ প্রিসাইডিং অফিসার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি রিসোর্টে এক প্রার্থীর পক্ষে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে এক শিক্ষক ও পাঁচ প্রিসাইডিং অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

 

সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। 


আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: কাদের

 

গ্রেপ্তাররা হলেন, যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওমর আলী কওমি মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ আবুসামা, বাহুকা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বনবাড়িয়া পাইকপাড়া মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক পিএলসির এরিয়া অফিসের প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও হরিণা বাগবাটি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ইয়াসিন আরাফাত। 

 

এছাড়া, এই গোপন বৈঠকের মূল আয়োজক, শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও পড়ুন: উপজেলাতেও আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ

 

এ সময় জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে যে, কতিপয় প্রিসাইডিং অফিসার একজন লোকের সাথে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গোপন বৈঠক করছে। শোনার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ রিটানিং কর্মকর্তাসহ অভিযান পরিচালনা করে। তবে তারা বুঝতে পেরে আগেই পালিয়ে যায়।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে রিটানিং অফিসার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার প্রযুক্তির মাধ্যমে সেখানে কারা ছিলেন তা চিহ্নিত করেন। এরপর পাঁচজন প্রিসাইডিং অফিসার ও এই বৈঠকের মূল আয়োজককে গ্রেপ্তার করেন।'


আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

 

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘আমরা সেখান থেকে ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট সংগ্রহ করে নিশ্চিত হই সেখানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলায় আমরা ৫ জন প্রিসাইডিং অফিসারসহ বৈঠকের আয়োজনকারীকে গ্রেপ্তার করি।’ 

 

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছি সেখানে আরও কে কে উপস্থিত ছিলেন এবং এর সাথে আর কে কে জড়িত। তারপর সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রিসোর্টটিতে অভিযান পরিচালনা করে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতা পাই। পরে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করি এবং তাদের সাথে পরামর্শ করেই মামলা দায়ের করি। এখানে আমাদের যে ১০ জন প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, ইতোমধ্যে আমরা তাদের পরিবর্তন করেছি এবং অন্যদের দায়িত্ব দিয়েছি।’ 

 

তিনি আরও জানান, ‘প্রার্থীকে আমরা শোকজ করেছি এবং তার উত্তর তিনি দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

কোন প্রার্থীর পক্ষে বৈঠক চলছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করছি নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের পরে আমরা জানতে পারব তারা কোন প্রার্থীর জন্য একত্রিত হয়ে বৈঠক করছিলেন। যার নাম আসবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


উপজেলা নির্বাচন   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত

প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আদালতের আদেশের কারণে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৬ মে) কমিশন এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান। 

প্রথম ধাপের ৮ মে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র একদিন আগে এ উপজেলায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৬ মে) রাতে ইসি সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ মে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম তার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ করার জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট তার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ ঘোষণা করে ২৫ এপ্রিল তাকে প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দেন। মহামান্য হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ইসি। আপিলে তার মনোনয়ন পত্রটির বিষয়ে সোমবার (৬ মে) নো অর্ডার প্রদান করেন আপিল বিভাগ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আদেশের নিমিত্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। 

জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান গণমাধ্যমে বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত হওয়ার চিঠি মেইলে পাওয়া গেছে। পরে রাত ১১টার দিকে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও মেঘনা উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হলেও বাকি উপজেলার নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।


নাঙ্গলকোট   উপজেলা নির্বাচন   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণকালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আটক ১১

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে প্রায় ২৩ লাখ টাকা পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার ১১ জন সহযোগীকেও আটক করা হয়।

পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে)  দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুজানগরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে আটক করেন র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।

তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে, আটকদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরও রয়েছেন।

শাহিনুজ্জামান শাহীন এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। এছাড়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, আগামী ৮ মে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমাদের নিয়মিত টহল দল চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও ১০ সহযোগীসহ আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে জানা গেছে, ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করার জন্য টাকাগুলো বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তিনি এসে ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি জানান, আটকদের র‌্যাবের পাবনা অফিসে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।


উপজেলা চেয়ারম্যান   নির্বাচন   র‌্যাব   পাবনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন