ইনসাইড বাংলাদেশ

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৬:০৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১৫ টি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রী কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়মিত পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া আধা-সরকারি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদে প্রথম মন্ত্রিসভা-বৈঠকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন:

১) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অংশীজনের সংগে সমন্বয় করে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২) পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩) নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এ বর্ণিত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ বিবেচনায় রাখবে।

8) কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য পণ্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(৫) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগে করণীয় চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়ন করবে।

৬) নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের উপকারিতা/দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ/সহায়তা গ্রহণকালীন যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়া, চলমান প্রকল্পগুলো বিশেষ করে যেগুলির বাস্তবায়ন সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে সেগুলির প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে।

৭) সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে।

৮) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।

৯) সরকারের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১০) নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

১১) রপ্তানী বহুমুখীকরণ, নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও প্রবেশে সহায়তা করতে হবে।

১২) গার্মেন্টস সেক্টরের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য বিষয়ক শিল্প বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

১৩) শিক্ষাকে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

১৪) যুবসমাজকে খেলাধুলা এবং শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে হবে।

১৫) অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম  গ্রহণ করতে হবে।


রমজান   দ্রব্যমূল্য   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ইতিহাসে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ফলে ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরের হিসাবে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে । 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চতুর্থ দফায় জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপপ্রবাহের তীব্রতা আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন বাড়বে। তারপর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের প্রথমার্ধে সিলেট এবং পার্শ্ববর্তী হাওরাঞ্চল পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবারও মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে চুয়াডাঙ্গা। পশ্চিমের এ জেলায় ২৭ দিন ধরে ‘মরুভূমির লু হাওয়ার’ মতো পরিস্থিতি। চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। সেখানে ‘অনুভূত’ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি। এর আগে গত শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে। ওই দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদী ও রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৪, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪১ দশমিক ৮, যশোর ও বগুড়ায় ৪০ দশমিক ৮, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৬ ও বাগেরহাটের মোংলায় তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ সাল থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৭ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ১৯৪৮ সালের পর এই ভূখণ্ডে এটাই সর্বোচ্চ টানা তাপপ্রবাহ। তবে এই ২৭ দিনের পুরো সময়ে সারা দেশের সর্বত্রই সমান হারে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়নি। ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় তা খুব বেশি এলাকায় ছড়িয়ে যায়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ এপ্রিল থেকে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে টানা চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে ব্যাপ্তিকাল কম থাকায় তাপপ্রবাহ বড় সমস্যার কারণ হয়ে ওঠেনি। আগামী বছরগুলোতে ক্রমান্বয়ে তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল ও প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ৪৩ বছরের মধ্যে যশোরে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি দিন ঘটেছে। এর পরই আছে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গা।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এবারের তাপপ্রবাহ দেশের ৭৫ ভাগেরও বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা নজিরবিহীন। ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গায় এপ্রিল মাসে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। গত বছর এপ্রিলে টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। তখন তাপপ্রবাহ এত ব্যাপক পরিসরেও ছিল না। ১৯৬৪ সালে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যশোরে। আর ১৯৮৯ সালে বগুড়ার তাপমাত্রা হয়েছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত বছর সারা দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে। সে বছরের ১৭ এপ্রিল সেখানে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগের ৮ বছরে অতি তীব্র তাপমাত্রার রেকর্ড নেই। তবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯৭২ সালের ১৯ মে। সেদিন রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

গত ১০ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বছরের যে কোনো মাসের চেয়ে এপ্রিল তুলনামূলক অনেক বেশি উষ্ণ ছিল। ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে সাতবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এপ্রিল মাসে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৫, ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে ৪০ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরপর ২০২২ সালে আবারও এপ্রিলের ১৫ তারিখে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত ২০ এপ্রিল জেলাটিতে তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের স্থানিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে সূর্যের কাছে থাকে, যে কারণে সূর্যের তাপ বেশি পড়ে। ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে সূর্য সাধারণত একদম খাড়া অবস্থায় চলে আসে। সূর্য যত খাড়াভাবে আলো দেবে, তত বেশি তাপ অনুভূত হবে।

তিনি বলেন, দেশে পশ্চিমা বাতাস আসলে আর্দ্রতা কমে যায়। অন্য দিকে দক্ষিণ-পশ্চিমা বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ঢাকা ও খুলনার দিকে আর্দ্রতা কম থাকে। আর বেশি থাকে চট্টগ্রাম ও বরিশালের দিকে। দেশের ওপরের দিকে যত যাবে, আর্দ্রতা তত কমে যাবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এদিকে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় হিটস্ট্রোকে রাসেদুল ইসলাম নামে এক সংবাদপত্র বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল উপজেলার চামটাহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি হাতীবান্ধা উপজেলায়। স্থানীয়রা জানান, রাসেদুল দুপুরে চামটারহাটে একটি হোটেলে দুপুরের খাবার শেষে আচমকা মাটিতে লুটে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে তিনি মারা যান। এ ছাড়া নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় হিটস্ট্রোকে ইয়াসিন নামে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের সওদাগরকান্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিশু ইয়াসিন উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের সওদাগরকান্দি গ্রামের প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

হাওরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা: মে মাসের প্রথমার্ধে পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, একটি শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে মে মাসের ৩ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপটির প্রভাবে মে মাসের ৩ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো এবং মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি ও আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার ওপরে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেল অনুযায়ী এমন ধারণা করছি।

তিনি জানান, সম্ভাব্য এ বৃষ্টির পুরোটাই সিলেট বিভাগের বিভিন্ন নদনদীতে প্রবাহিত হয়ে সিলেট বিভাগের নিচু হাওর এলাকাগুলোকে প্লাবিত করবে। অন্যদিকে মে মাসের ৫ তারিখের পর থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট বিভাগ ও কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার এবং বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে।

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, পূর্বাভাসের উদ্দেশ্য হলো, মানুষ যেন দুর্যোগ সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন হন। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলার প্রথম ধাপ এটি। এরপর যদি পূর্বাভাস শতভাগ সঠিক না-ও হয়, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু দুর্যোগের প্রস্তুতি না থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা মোকাবিলা করতে হাওরবাসীর প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।


তাপপ্রবাহ   রেকর্ড   ভাঙল ৭৬ বছরের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সংকটের কারণে উচ্চ মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে কক্সবাজার


Thumbnail

রোহিঙ্গাদের কারণে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে কক্সবাজারে। ফলে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা করছেন বিশ্লেষকেরা।

 

কক্সবাজার জেলা ২০১৭ সাল থেকে একটি বড় খাদ্য সংকট হিসেবে জিআরএফসি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত বছর জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।  

 

বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (এফএসআইএন) প্রকাশিত প্রতিবেদন ২০২৪-এ বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে নিষ্ফলা মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চ মাত্রার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে, যার ৬৫ শতাংশই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। 

 

সংস্থাটির মতে, এসব মানুষের তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বিশেষভাবে প্রভাব রেখেছে প্রতিকূল আবহাওয়া, বৈশ্বিক যুদ্ধ সংঘাত ও উচ্চ মাত্রায় দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্ব জুড়েই গত বছর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। ওই বছর ২৮ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ সংঘাত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে লড়াই চলার কারণে তীব্র খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হয়।

 

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রেকর্ড খাদ্য শস্য উৎপাদন ও ২০২৩ সালে খাদ্যের সহজলভ্যতার উন্নতি হলেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ধাক্কায় খাদ্য পণ্যের দাম বাড়তিই রয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ তা এসে দাড়ায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশে।

 

রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে জ্বালানি, গমের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য শস্য, সার ও গবাদিপশুর খাবার আমদানিতে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি ব্যাহত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। ফলে একদিকে খাদ্য শস্যের আমদানি কমার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ খাদ্য শস্যের উৎপাদন খরচ বাড়ে।  

 

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অব্যাহত উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য সুবিধা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসব মানুষের আয় ক্রমেই কমেছে ও তাদের খাদ্য পণ্য কেনার খরচ বেড়েছে।  

 

২০২২ সালে ৭০ লাখের বেশি মানুষ অস্বাভাবিক মৌসুমি বন্যার শিকার হন এবং প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গৃহহীন হন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এতে তাদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এ কারণে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করার সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে তাদের। আগস্টে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি হয়। এর শিকার হন ১৩ লাখ মানুষ।  

 

ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের মধ্যে ছয় লাখ মানুষের খাবার, সুপেয় পানি, ঔষুধ ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক সেবার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। একই সময় রাজশাহীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ দেখা দেয় এবং দেশে ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটে। মৌসুমভিত্তিক কর্মসংস্থানের প্রভাব এবং খাদ্যসুবিধা ও প্রাপ্যতার ওপর পুনঃপুনন বিপর্যয় মানুষের মধ্যে বড় ধরনের পুষ্টির ফারাক তৈরি করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দুটি রেশন কাট ছাঁট খাদ্য গ্রহণের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছিল। রেশন কাট ছাঁটের কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের গ্রহণযোগ্য খাদ্য গ্রহণের স্কোর ছিল, যা ২০২২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ।  


রোহিঙ্গা সংকট   খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি   এফএসআইএন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বরিশালে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ শামিমের ৫ বছরের শিশু পুত্র ফেরদৌস (৫) বাড়ির পাশে খালের পানিতে ডুবে মারা গেছে । 

 

জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ফেরদৌস বাড়ির উঠানে খেলাধুলার একপর্যায়ে পাশের খালে পরে যায়। বাড়ির লোকজন কিছুক্ষণ পরে খাল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে পানিতে ডুবে শিশু ফেরদৌসের মৃত্যুতে ওই এলাকায় এবং পরিবারে বইছে শোকের মাতম।


পানিতে ডুবে মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে বেঁকে গেল রেল লাইনের পাত

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail তীব্র গরমে রেল রাইনের পাত বেঁকে যাওয়ায় ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে

শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ফলে পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি রেল লাইনের পাত বেঁকে যায়। ঘটনায় অল্পের জন্য বড় অঘটন থেকে রক্ষা পায় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। আর দুটি আন্তঃনগর ট্রেন ১ ঘণ্টার বেশি দেরিতে গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন দুই ঘণ্টা রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে বেঁকে যাওয়া রেলপথ স্বাভাবিক করেন।

রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে কর্মরত শ্রমিক শুভ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশন ছাড়ার পর ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে যে লাইনে ট্রেনটি যাচ্ছিল সেই রেল লাইন দূর থেকে দেখে বাঁকা মনে হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন বিষয়টি দেখে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

খবর পেয়ে বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনকে পেছনে এনে অন্য রেললাইন দিয়ে কপোতাক্ষ ট্রেন থ্রো পাস করার ব্যবস্থা নেন।  

ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রচণ্ড রোদে দুর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে। সময় ওই লাইনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী যাচ্ছিল।

তিনি আরো বলেন, পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর রেলপথ স্বাভাবিক হয়।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী বাকিয়া তুল্লাহ্ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্য লাইন দিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

তিনি বলেন, রেললাইন বেঁকে যাওয়ার কারণে খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ঘণ্টারও বেশি সময় পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।


তীব্র গরম   ট্রেন   রেল লাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।


শেরে বাংলা   মৃত্যুবার্ষিকী   প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন