ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার কূটনীতি নিয়ে দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনের পরেই ভারত, চীন এবং রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি এশীয় এবং মিত্র দেশ থেকে অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মতো শক্তিশালী পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো প্রায় নীরব থেকেছে।

নির্বাচনের এক মাস পর শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে সহযোগিতার চিঠি পান। এরপর গত সপ্তাহের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে।

নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও মার্কিন অবস্থানের এই পরিবর্তন শুধু ওয়াশিংটনের ইচ্ছার ফল নয়, বরং শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দক্ষতারও ফল এটি। বন্ধুত্ব অর্জনের জন্য শেখ হাসিনা দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন।

শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত চার মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে পঞ্চম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনার এই সফল রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের রাস্তাটি কেমন ছিল? কীভাবে তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বমঞ্চে একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক হিসেবে নিজের জায়গাকে শক্তিশালী করেছেন?

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা। দলের ইতিহাসে অন্য কোনো রাজনীতিবিদ এত দীর্ঘকাল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেননি। আওয়ামী লীগে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একজন নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। একইসঙ্গে জনসাধারণের কাছেও মুখ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হয় তাকে।

যাইহোক, রাজনীতিতে শেখ হাসিনার উত্থান মসৃণ ছিল না। ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে ফেরার পর, বিভক্ত আওয়ামী লীগকে একত্র করা তার জন্য ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২১ আগস্ট বোমা হামলায় আইভি রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতার হত্যার ফলে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। তদুপরি, তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসকের থেকেও নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এসব বাধা সত্ত্বেও, দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং এর চূড়ান্ত পুনরুত্থানের পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

আ.লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেছেন, ‘পনেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সহজ কীর্তি নয়। বিশেষত যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে। হাসিনা তার এক দশকের শাসনামলে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে দমন করতে শক্তি প্রয়োগ করেছেন। তার সরকার ভিন্নমতের কণ্ঠকেও রুদ্ধ করেছে। গুম, খুন, গ্রেপ্তারসহ নানাভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’

বাংলাদেশের অনেকেই বিশ্বাস করেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ নেতৃত্ব শুধু দলের অভ্যন্তরে এবং দেশের মধ্যে নয় বরং তা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে তার বুদ্ধিদীপ্ত উপলব্ধিও তাকে দর কষাকষির করতে সাহায্য করেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বলতে গেলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ওবায়দুল কাদের যেমন উল্লেখ করেছেন, ‘শেখ হাসিনার প্রভাবের পেছনে রয়েছে অর্থনৈতিক কূটনীতি। তিনি সবসময় অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেন, যা আমি মনে করি তার পররাষ্ট্রনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে।’ ওবায়দুল কাদের দ্য ডিপ্লোম্যাটের সঙ্গে কথা বলার সময় এই উদ্বৃতি দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো করেছে। এই অর্থনীতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিকে শক্তিশালী করেছে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে শেখ হাসিনার অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।

শেখ হাসিনার ভারত, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনীতিকে পরিপক্ব করেছেন। দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বড় ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্কও রয়েছে যা এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। চীন বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত বছর $১৬ বিলিয়নে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এদিকে, রাশিয়া বাংলাদেশে ১২ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প।

পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান পোশাক রপ্তানির প্রধান ক্রেতা। ইউরোপ ও আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি করে গত বছর বাংলাদেশ আয় করেছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে স্বীকার করে। ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশ একটি ক্রমবর্ধমান আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হচ্ছে। গত নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলাদেশে সফরে এসেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সফরকালে তিনি বাংলাদেশ-ফ্রান্স এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাসের জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মতে, ‘ভৌগোলিক অবস্থান এবং বর্তমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বাংলাদেশকে ভারত ও চীন উভয় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। পাশাপাশি এটি বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম করার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আর শেখ হাসিনার অটল কূটনীতি আজ আমাদের বিশ্ব মঞ্চে একজন উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে তৈরি করেছে।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল নীতি, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’। কয়েক দশকের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন বাংলাদেশকে অধিকতর আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে আন্তর্জাতিক আলোচনায় যুক্ত হতে এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় প্ল্যাটফর্মে তার স্বার্থ অন্বেষণ করতে সক্ষম করেছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘‘কূটনীতি ও বাণিজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য তার সমকক্ষরা স্বীকার করেন। এ ছাড়াও, তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বৈশ্বিক সমস্যা নিয়েও খুব সোচ্চার ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণকে 'গণহত্যা' বলে আখ্যায়িত করে একটি জোরালো বিবৃতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তার সরকারও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্যান্য দেশকে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শেখ হাসিনা।”

বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী শেখ হাসিনার দক্ষতার প্রশংসা করে ডিপ্লোম্যাটকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণে শেখ হাসিনার দৃঢ়তার প্রশংসা করতেই হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা শেখ হাসিনাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে এবং তার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করেছে। তিনি প্রথমে তার দলে শৃঙ্খলা এনেছেন এবং তারপরে তার যোগাযোগের শক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন। এবং এই দৃঢ়তা ও শক্তি শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে আরও ভালো করতে সাহায্য করেছে।’

শেখ হাসিনা   ডিপ্লোম্যাট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ‘বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহুত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার সাথে সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয় বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও  তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সু্যোগ করে দিতে হবে’।

নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন করার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে এসময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোন চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার নীতি আদর্শ তথা কৃষি দর্শন এবং তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মকৌশলের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ ধরে অনুন্নত দেশ থেকে ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

জাতির পিতা উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মেধাবী ছাত্রদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে কৃষিবিদগণকে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করেন উল্লেখ করে বংগবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

অধিকতর গুনগত উৎপাদনের প্রতি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি, হাইব্রীড জাত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ, আধুনিক জলবায়ূ কৌশলের আবির্ভাব এবং গ্রীন-হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার পরিবর্তিত চাহিদা, জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি মোকাবেলা এবং প্রাণিসম্পদ চাষাবাদের জন্যে নির্ধারিত জমির পরিমান কমে যাওয়াকে প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের সুযোগ্য নেতৃত্বে  সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানগণের নিবিড় পরিশ্রমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে তৃনমূল থেকে দেশকে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা তিনি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের স্বীকৃতি দিবেন।

প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানগণের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী’।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ জনাব সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ জনাব খায়রুল আলম প্রিন্স।


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ হচ্ছে’

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গোপালগঞ্জে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। এসময় তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যাান্ট পরিদর্শন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জনবল সংকট   স্বাস্থ্য মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মানুষের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ২ দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। 


বাজুস   স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি

ময়মনসিংহ সদরের আলালপুরে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী ১ নারীসহ ২ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে নালিতাবাড়িগামী একটি বাসের সাথে ময়মনসিংহগামী অপর একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা স্থলেই ১ নারী ও ১ পুরুষ মারা যায়।

 

তবে, হতাহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

এঘটনার সাথে জড়িত চালক পালিয়ে গেছে এবং বাসটিকে আটক করা হয়েচে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।


সড়ক দুর্ঘটনা   বাস-সিএনজি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পুরান ঢাকায় ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বংশালে বাসার ছাদ থেকে নিচে পড়ে উরাইশিদ ইসলাম আয়ান (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বংশাল আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিশুটির চাচা মকবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে আয়ানদের বাড়ি। তারা বাড়িটির ৪র্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। সে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আমিনুল ইসলাম ইমন বংশালে মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আয়ান ছিল বড়’।

তিনি আরও বলেন, সারা দিন বাসাতেই ছিল আয়ান। দুপুরে তিনি জানতে পারেন, বাড়ির ৬ তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে সে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলেও চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানায় জানানো হয়েছে।


শিশু মৃত্যু   ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন