ইনসাইড বাংলাদেশ

১১-১৭ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’-এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আগামী ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্যে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছের আড়ৎ, বাজারসহ জনাকীর্ণ স্থানে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব ও এ সংক্রান্ত আইন বিষয়ে প্রচার কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, জাটকা সংরক্ষণে হাট-বাজার ও আড়তে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা।

এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নৌকা বাইচ, হাডুডু, সাঁতার ইত্যাদি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, জাটকা সমৃদ্ধ এলাকায় ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মৎস্যজীবী ও জেলে পল্লীতে সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণে পথ নাটক, আঞ্চলিক ও লোক সংগীত পরিবেশন এবং জাটকা রক্ষায় জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান আগামী ১১ মার্চ চাঁদপুর সদর উপজেলা, চাঁদপুরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহর উদ্বোধন করবেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আবদুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, আসামী পলাতক


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউশী বাঙ্গালী পাড়া থেকে একটি পিস্তল, ২টি গুলি ও ১টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের টহলরত একটি দল অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করে। দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে রুকন (৩৭) কে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।  

 

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান এর দিকনির্দেশনায় এস আই মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে পৌর এলাকার বাউশী বাঙ্গালী পাড়া রুকনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ গুলি, ম্যাগাজিনসহ ওই একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুকন পালিয়ে যান। রুকন বাউশী বাঙ্গালী পাড়া মোতালেব এর ছেলে। ফলে অস্ত্র উদ্ধার হলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।  

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান জানান, রুকনের বাড়ীর আলমারির মধ্যে থেকে অস্ত্র ও গুলি এবং ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। সেখানে তিনি এসব লুকিয়ে রেখেছিলেন। রুকনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। 


আগ্নেয়াস্ত্র   গুলি   পিস্তল   ম্যাগাজিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় পৃথক অভিযানে ৩ মাদক কারবারী আটক

প্রকাশ: ০১:৩৩ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁ বদলগাছীতে পৃথক অভিযানে ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের পর প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাব।

 

আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের মোঃ গফুর এর মেয়ে মোছা. মাহফুজা বেগম (৪৬), একই এলাকার চকরামচন্দ গ্রামের মোঃ গফির এর মেয়ে মোছা. নাহার বেগম (৪০), এবং বদলগাছী উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন (৩১) ।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা সকলেই চিহ্নিত মাদক কারবারী। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীদেরকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় পৃথক অভিযানে নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার চকবনমালী ও মথুরাপুর এলাকা থেকে আটক করে।

 

আটকের পর আসামীদেরকে তল্লাশি করলে তাদের নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


মাদক কারবারী   ট্যাপেন্টাডল   আটক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ মে) দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। তবে উন্নয়ন পরিকল্পনা হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী। যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সম্পদের সীমাব্ধতা মাথায় রেখে কীভাবে উন্নয়ন সচল রাখা যায় সেদিকে প্রকৌশলীদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া যেকোন প্রকল্প সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং নিজস্ব বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাফল্য ও ব্যর্থতা বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ   আইইবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে সুপেয় পানির তীব্র সংকট


Thumbnail

খরা মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বেই কক্সবাজারে পানীয় জলের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। শুকিয়ে গেছে জেলার ১ লাখ ৩০ হাজার অগভীর নলকূপের পানি। আর তীব্র গরমে এ পানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

 

তবে সংকট উত্তরণে সামুদ্রিক লোনা জলকে পরিশোধন করে স্বচ্ছ পানি সরবরাহের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রকল্প গ্রহনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মনজুর আলম। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পাশাপাশি অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভের পানি উত্তোলনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দিন দিন পানির স্তর ক্রমাগতভাবে  নিচে নামছে।

 

জেলার অনেক এলাকায় নলকূপ গুলোতে পানি ওঠা বন্ধ রয়েছে। পানি উঠছে না বৈদ্যুতিক মোটরেও। পানির জন্য গ্রামের পর গ্রামে লোকজনের মধ্যে হাহাকার চলছে। যে পাড়ার নলকূপে পানি উঠছে, সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে এসে লাইন ধরে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন ভুক্তভোগীরা।

 

কক্সবাজার শহরে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে লবণাক্ততা। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব পড়ছে চরমভাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া বেড়ে গিয়ে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ডা, আবদুর রহমান।

 

সুপেয় পানি সংকট উদ্বেগজনক জানিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, কক্সবাজারে এই সংকট মোকাবিলায় তারা কাজ করছেন।

 

কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানান, বর্তমানে কক্সবাজারে তাপমাত্রা উঠানামা করছে ৩৯ দশমিক ৮  থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় সূত্র মতে, ২০১৭ সালে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করতে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে তিন হাজার অগভীর, ৮০টি গভীর এবং এনজিও সংস্থা আরও ২০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। প্রতিদিন রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ৩০ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা হচ্ছে।   অতিমাত্রায় পানি উত্তোলন ও তীব্র গরমের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসানো ৯০ শতাংশ অগভীর নলকূপ থেকে এখন পানি উঠছে না।

 

টেকনাফের হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহারছড়া, সাবরাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লেদা, দমদমিয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে লবণাক্ততা।

 

উখিয়ায় দিন দিন পানির স্তর নিচে নামছে। কক্সবাজারের ঈদগাঁও সদর, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামপুরের অনেক নলকূপে পানি উঠছে না। অকেজো হয়ে গেছে অনেক বৈদ্যুতিক মোটরও।

 

কক্সবাজার শহরের নুরপাড়া, মাঝিরঘট, টেকপাড়া, নতুন বাহারছড়া, বদরমোকামসহ বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানের পানি পান তো দূরের কথা, গৃহস্থালি কাজেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

 

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, ধরা কক্সবাজারের আহবায়ক ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি। একইসঙ্গে প্রতিদিন ভূগর্ভ থেকে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে মাটির নিচে সুপেয় পানি পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় বাড়ছে পানির লবণাক্ততা। এখান থেকে রক্ষা পেতে হলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

 

উখিয়া উপজেলা সদর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা এবং পাহাড়বেষ্টিত গ্রামগুলোতে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। নলকূপ অকেজো হওয়ার পাশাপাশি অকেজো হয়ে গেছে অনেক বৈদ্যুতিক মোটরও।

 

একইভাবে পানি সংকট চলছে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপেও। পুরো শুকনা মৌসুমজুড়ে এটি চলমান থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।

 

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, লবণাক্ততা বাড়লে পান অযোগ্য পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যেতে পারে। ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া বায়বীয় ও অবায়বীয় দুই অবস্থাতেই থাকতে পারে। এ ব্যাকটেরিয়ার কারণে মূত্রনালীতে সংক্রমণ, রক্তে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস টাইফয়েড, ডায়রিয়া, বমি ও রক্তযুক্ত মল, মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ এবং প্রচণ্ড জ্বর হতে পারে।

 

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুপেয় পানি সংকট দূর করতে রেইন ওয়েটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প চলমান। বিশেষ করে রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত উখিয়া-টেকনাফের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে উখিয়ার পালংখালীতে ৬০০ একর জমি লিজ নিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, টেকনাফ, উখিয়া এবং কক্সবাজার শহর ও উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে এমন শঙ্কায় ওয়াটার-এনার্জি-লাইভলিহুড (ওয়েল) নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। চলমান রয়েছে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুপেয় পানি সংকট দূর হবে। একইসঙ্গে সাগরের লবণাক্ত পানি পরিশোধন করে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে কয়েকদফা উচ্চ পর্যায়ের গবেষণা টীম কক্সবাজারের পানীয় জলের সংকট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন। 

কক্সবাজার যেহেতু পর্যটন জোন, এখানে সারা বছর গড়ে লক্ষাধিক বহিরাগত লোকজন অবস্থান করেন।জেলার লোক সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও রোহিঙ্গা ১৪ লাখ সব মিলিয়ে ৪২ লাখ লোকের চাহিদা মেটাতে  যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তার ৩৫ শতাংশ পানি পাওয়া যাচ্ছে শুধু।  আগামী দিনের চাহিদা মাথায় রেখে কক্সবাজারে সূপেয় পানির জন্য বৃহত্তর প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর নুরুল আবছার। একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপ অনুযায়ী কক্সবাজার জেলায় সরকারী বেসরকারি ও এনজিও সংস্থার দেয়া গভীর অগভীর নলকূপ রয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার গভীর অগভীর নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।


সুপেয় পানি   বিশুদ্ধ পানি   সংকট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে এই কভেনশনের উদ্বোধন করেন তিনি।

এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার।

পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত ৬১ তম কনভেনশনে সমাপনী অনুষ্ঠান, জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, চারটি স্মৃতি বক্তৃতাসহ বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধণা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।

সোমবার দুপুর আড়ায়টায় জাতীয় সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিকাল সাড়ে তিনটায় কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।


আইইবি   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন