ইনসাইড বাংলাদেশ

সংরক্ষিত নারী আসনে নতুন সংসদ সদস্যদের কার সম্পদ কত

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ০৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আবারও যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের অনেকের আয় সম্পদ দুটোই বেড়েছে। পরপর দ্বিতীয়বারের মতো সংসদে এসেছেন জন। এই সংসদে সংরক্ষিত আসনের ৫০ জন সদস্যের মধ্যে ২৬ জনের ব্যাংকে জমা টাকা, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, সোনার অলংকার গাড়ির দাম মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পদ কোটি টাকার বেশি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ আসনে বিজয়ীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের ৯০ শতাংশের অস্থাবর সম্পদ কোটি টাকার বেশি।

সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। এর মধ্যে ৪৮টি আসনে আওয়ামী লীগের এবং বাকি ২টি সংরক্ষিত আসনে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থীরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভায় চারজনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

নতুন প্রতিমন্ত্রী চারজনের সম্পদ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আতাউর রহমান খানের মেয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান চট্টগ্রাম থেকে গত একাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে হলফনামায় তিনি তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা, যা মূলত কৃষি খাত সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর সম্মানী থেকে আসে। নগদ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, গাড়ির দাম, সোনার অলংকার ইত্যাদি মিলিয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে কোটি ৭০ লাখ টাকার। ক্রেডিট কার্ড ব্যক্তিগত ঋণ মিলিয়ে তাঁর দায় আছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার। বিগত পাঁচ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দেড় গুণ হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা জয়পুরহাট থেকে সংসদে গেছেন। তিনি পেশায় চিকিৎসক আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। চিকিৎসা পেশা থেকে বছরে তাঁর আয় সাড়ে ১০ লাখ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর নগদ ৩৩ লাখ টাকা রয়েছে, আর সঞ্চয়পত্র আছে ৫৮ লাখ টাকার। তাঁর মালিকানায় থাকা গাড়ির মূল্য ৫২ লাখ টাকা। রোকেয়া সুলতানা যৌথ মালিকানায় ২০ বিঘা কৃষি আর ২০ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষিজমির মালিক।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আওয়ামী লীগের শিক্ষা, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার টাঙ্গাইল থেকে সংসদে এসেছেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাঁর নগদ ২৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা রয়েছে। আর স্থায়ী আমানত রয়েছে ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। শামসুন নাহারের ৯০ ভরি সোনা রয়েছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান ঢাকা থেকে সংরক্ষিত আসনে সদস্য হয়েছেন। হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন লাখ ২৮ হাজার টাকা। নগদ ২৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা রয়েছে তাঁর। ব্যাংকে আছে প্রায় লাখ টাকা। প্রায় লাখ টাকার শেয়ার এবং লাখ টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত) রয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী তাঁর ২টি গাড়ি রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

নতুন সদস্যদের কার কত সম্পদ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন নরসিংদী থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হয়েছেন। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। তাঁর নগদ লাখ ৪৩ হাজার ব্যাংকে লাখ টাকা রয়েছে। মার্কিন ডলার রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ৭৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেখিয়েছেন তিনি। লাখ টাকা দামের একটি গাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহকারী প্রেস সচিব কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর মেয়ে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, জারা জাবীন মাহবুবের বছরে আয় ৯০ লাখ টাকা। তাঁর নগদ রয়েছে কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আয়কর বিবরণীর তথ্য অনুযায়ী, জারা জাবীনের সম্পদ আছে কোটি ৪০ লাখ টাকার। তাঁর কৃষিজমি, দালান বা ফ্ল্যাট নেই। তবে ৫২ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদে যাওয়া হাছিনা বারী চৌধুরী ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। পেশায় রাজনীতিবিদ হাছিনা বারীর বছরে আয় লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তাঁর নগদ টাকা রয়েছে কোটি ১৮ লাখ।

আওয়ামী লীগের কৃষি সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী লক্ষ্মীপুর থেকে সংসদে গেছেন। তিনি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান। তিনি চাকরি থেকে আয় করেন বছরে ২৪ লাখ টাকা। তাঁর বন্ড শেয়ার রয়েছে দেড় কোটি টাকার। ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ব্যাংকে লাখ টাকা জমা আছে ফরিদুন্নাহারের। তাঁর মালিকানায় থাকা গাড়ির দাম ৬৫ লাখ টাকা। তিনি ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের কাঠার একটি প্লট ৪১ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাটের মালিক। তাঁর ২৫ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

আরও যাঁদের অস্থাবর সম্পদ কোটি টাকার বেশি, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদা খানম, আশ্রাফুন নেছা, শামীমা হারুন, পারভীন জামান, রুনু রেজা, নাদিয়া বিনতে আমিন, ফজিলাতুন নেসা, শবনম জাহান, বেদৌরা আহমেদ সালাম আরমা দত্ত।

জাতীয় পার্টির দুজনের সম্পদ

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি একাদশ সংসদেও সংরক্ষিত আসন থেকে সংসদে গিয়েছিলেন। তাঁর বছরে আয় ৬২ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদের মূল্য কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৩ টাকা। গত পাঁচ বছরে বার্ষিক আয় কিছুটা কমেছে। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। তবে স্থাবর সম্পদ কিছুটা কমেছে।

জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুর নাহার। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর বার্ষিক আয় লাখ ২০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মূল্য লাখ ৫৫ হাজার। ছাড়া তিনি ২০০ শতক জমির মালিক।

 


সংরক্ষিত নারী আসন   সংসদ সদস্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় ‘হিট স্ট্রোকে’ কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উল্লাপাড়ার চর তারাবাড়িয়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত কৃষকের নাম জিল্লুর রহমান (৩৫) । তিনি চর তারাবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। 

 

উল্লাপাড়ার কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আলামিন হোসেন জানান, ‘জিল্লুর রহমানকে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইসিজিও করা হয়। পরে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’

 

সলপ ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান জানান, ‘জিল্লুর রহমান তারাবাড়িয়া মাঠে ধান কাটছিলেন। প্রচণ্ড তাপদাহে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উল্লাপাড়া কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল, পথে তিনি মারা যান।'


হিটস্ট্রোক   কৃষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে বেঁকে যাচ্ছে রেললাইন

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটের পূবাইলের আড়িখোলা এলাকায় চলমান দাবদাহে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় রেললাইন বেঁকে গেছে। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পুবাইল ও আড়িখোলা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত রেললাইন মেরামত কাজ শুরু করেছে।

পূবাইল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলমান দাবদাহে অতিরিক্ত গরমে পূবাইল আড়িখোলা এলাকায় অন্তত ১০ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা, কাঁদামাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ওই অংশ মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে গন্তব্যে চলে গেছে। এছাড়া ডাবল লাইনের অন্য একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান। 

তীব্র গরম   রেললাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। মরুভূমির মতো তাপমাত্রার পারদ যেন বেড়েই চলেছে। পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এর আগে জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ তাপমাত্রা রেকর্ড করার কথা জানানো হয়।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সে হিসাবে ১০ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়ল।

২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০২ সালের ২০ মে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০০৫ সালের ২ জুন রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে অনুযায়ী গত ২২ বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তাপমাত্রা   চুয়াডাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পিছু হটল মন্ত্রণালয়, বন্ধই থাকছে স্কুল-মাদ্রাসা

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা ছুটি দিতে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন তা বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে নাকি বন্ধ থাকবে সেই সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে?

সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে বলেও জানান এ আইনজীবী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়   স্কুল-মাদ্রাসা   হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সভা

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নীলফামারীতে কমিউনিটি স্কোর বোর্ড বাস্তবায়ন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করে ইয়েস বাংলাদেশ।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক। এছাড়াও নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আখতার এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফারজানা সুলতানা বক্তব্য দেন এতে।

 

ইয়েস বাংলাদেশের জেলা ভলান্টিয়ার নাইমুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এর সাধারণ সম্পাদক রাইসা বিনতে মাসুদ নীলফামারীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কিশোর কিশোরী কেন্দ্রের সেবার মান উপস্থাপন করেন। 

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কিশোর কিশোরীদের সেবার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। 


সিটিজেন চার্টার স্থাপন আলাদা আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থাসহ ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে সেবাদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

ইয়েস বাংলাদেশের জেলা ভলান্টিয়ার নাইমুর রহমান বলেন, ‘মূলত স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবা কেন্দ্রে কি রকম সেবা পাচ্ছেন সেগুলো তুলে ধরা এবং চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে ইয়েস বাংলাদেশ।’


প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা   বাল্য বিবাহ   প্রতিরোধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন