ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী এমপিদের বেফাঁস মন্তব্যে বিব্রত সরকার

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

টানা চতুর্থবারের মত আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম দিকে মন্ত্রীরা অনেকটাই সংযত ছিলেন। বিশেষ করে ২০১৮ এর মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীরা যে রকম লাগামহীন কথাবার্তার জন্য আলোচিত ছিলেন, এবার মন্ত্রিসভা গঠনের পর মন্ত্রীদের এবং এমপিদের অনেকটাই সহনশীল এবং সহনীয় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবার নতুন করে বেফাঁস মন্তব্যের হিড়িক উঠেছে। মন্ত্রী-এমপিরা এমন সব মন্তব্য করছেন যে মন্তব্যগুলো শুধু জনগণকেই বিব্রত করছে এমনটি নয়, সরকারও বিব্রত হচ্ছে। 

শিল্প মন্ত্রী হিসাবে টানা দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পালন করছেন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। প্রথম মেয়াদেও তিনি কথাবার্তা কম বলতেন। তবে তিনি তার প্রতিমন্ত্রী দ্বারা তীব্র সমালোচনার স্বীকার হয়েছিলেন। কিন্তু এ মেয়াদে এসে হঠাৎ করে তিনি বরই তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। তিনি আঙ্গুর ও আপেলের পরিবর্তে ইফতারিতে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

গত সোমবার (০৪ মার্চ) তিনি রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকরা কাজ করবেন বলে তাদেরকে আহ্বান জানান এবং জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেফাঁস কিছু মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল চলছে। শিল্পমন্ত্রী বলেছেন ‘বরই দিয়ে ইফতার করেন না কেন। আঙ্গুর লাগবে কেন, আপেল লাগবে কেন? আর কিছু নাই? আমাদের দেশের পেয়ারা দেন না সবকিছু দেন, প্লেটটা (ইফতারি) ঐভাবে সাজান।’ 

শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন আরও বলেন, ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। আপনার সংসার যেমন আপনি দেখেন, এভাবে দেশটারেও দেখেন।’ তার এই বক্তব্যের পর হাসানুল হক ইনু তীব্র সমালোচনা করেছেন। গরীব মানুষ বরই খাবে, আর তুমি আঙ্গুর খাবে, খেজুর খাবে। তা হবে না, তা হবে না বলে শিল্পমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করেন। রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সমস্ত মন্ত্রীদের মুখে বরই ঢুকিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। 

শুধুমাত্র শিল্প মন্ত্রী নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু মন্ত্রী এবং এমপি বেফাঁস এবং লাগামহীন মন্তব্য শুরু করেছেন। এধরনের মন্তব্যগুলো জনমনে আবার নতুন করে অস্বস্তি তৈরী করছে এবং মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিরক্তি উৎপাদন করছে। বিশেষ করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে মনে হচ্ছে অনেকটাই উদ্ধতপূর্ণ। আন্তর্জাাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে অকটেন, পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আগাম বক্তব্য এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব তৈরী করেছে। 

সয়াবিন তেলের মূল্য নিয়ে বা ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে ইত্যাদি নিয়ে আগাম মন্তব্য করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর যে আস্থা তার প্রতি তা দিতে পারছেন না। জাতীয় সংসদেও অনেক এমপি নির্লজ্জ চাটুকারিতা করতে গিয়ে সরকারকেই বিব্রত করছেন। 

নতুন মন্ত্রিসভায় যারা মন্ত্রী হয়েছেন তাদেরকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বরই তত্ত্বের মতো এমন বেফাঁস মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে হবে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একজন মানুষ বরই খাবে, না খেজুর খাবে এটি তার নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। একজন মন্ত্রী মানুষ কি খাবেন সে পরামর্শ দিতে পারেন কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া সরকার যেখানে খেজুরের ওপর শুল্ক কমিয়েছে এবং জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছে তখন মন্ত্রীদের এই মন্তব্য জনমণে নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে। মন্ত্রীদের এরকম বেফাঁস মন্তব্যে জনগণও বিব্রত।     

শিল্প মন্ত্রী   নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে না আসলে আমাদের কোন স্বপ্নই সফল হত না। বঙ্গবন্ধুকন্যা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছি।

দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের মানুষের ভাগোন্নয়নে তার গৃহীত বলিষ্ঠ সব পদক্ষেপ তাকে বিশ্বজুড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

সতের মে ছিল শেখ হাসিনা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষটির কান্না ঝরানোর দিন। শেখ হাসিনা সেদিন জনসভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই এবং হারাবারও কিছুই নেই। আমি মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি জীবন। আমি মানুষের কল্যাণ চাই।”

সেদিন মিটিং শেষে শেখ হাসিনা পিতৃগৃহে ফিরে যেতে পারেন নি জিয়ার বাঁধার কারণে। এরপর চলে শেখ হাসিনার সংগ্রাম, লড়াই ও গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য অবিনাশী আন্দোলন। এ আন্দোলনে বার বার তাকে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়েছে। কিন্তু বিধাতার অসীম কৃপায় আজও তিনি বেঁচে আছেন। দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে অবস্থানকালে ঢাকার ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে ঘটে নারকীয় ঘটনা। দেশী বিভীষণ, বিদেশী ষড়যন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধী একটি চিহ্নিত চক্রের প্রত্যক্ষ মদদে একদল নরপশু বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

পনেরই আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা কোথায় ছিলেন? ছিলেন ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাসায়। আগস্টের নারকীয় ঘটনার পরে এই মানুষটি এতিম দুই বোনকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঐদিন জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পাঠানো গাড়িতে  শোকাতুর দুই বোন জার্মানি ফিরেছিলেন। এরপর পঁচাত্তর থেকে একাশির ১৭ মে পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার দুঃসহ জীবন। তখন স্বদেশে ফিরার কথা চিন্তাও করা যেত না।

১৫ আগস্টের পর খুনি মোশতাক ও জিয়ারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি বনে যান। খন্দকার মোশতাক প্রায় তিন মাস ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর জিয়ার সকল পাকিস্তানি কর্মকাণ্ড। যথাক্রমে- বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রেহাই দান, জিন্দাবাদ প্রবর্তন, বাঙালির পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন, সংবিধানের মূল স্তম্ভ পরিবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের পরিবর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধ সংযোজন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অবলুপ্তি ঘটিয়ে দেশটিকে হাফ পাকিস্তানে পরিণত করেন। একাত্তরের চরম শত্রু শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান। এভাবেই জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। জিয়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চালায় স্টিম রোলার। বঙ্গবন্ধু শব্দটি ছিল নিষিদ্ধ। এক সময় জিয়া সেনানিবাসে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতি শুরু করেন। খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল তাহেরদের ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। অপশাসন, সেনাভীতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নিধন ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

এমনই এক কঠিন পরিবেশে শেখ হাসিনাকে স্বদেশে ফিরতে হয়। তখন তিনি সর্বহারা। শোক ও বেদনায় মূর্তিমান এক অবয়ব।

শেখ হাসিনা সকল ভয়ভীতি উপক্ষো করে নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দঢ়সংকল্প নিলেন। ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় মিত্রমাতা ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তা লাভ করেন। ভারত তাকে একাত্তরের মতো আশ্রয় দিয়েছিল সেই দুঃসময়ে। 

দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বে এক সুপরিচিত নাম। সে সুখ্যাতি তিনি অর্জন করেছেন নানামাত্রিক কর্মপ্রয়াসের অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচনার মাধ্যমে। দক্ষ রাজনীতিবিদ-নীতি আদর্শ আর সততা এবং সাহসী উদ্যোগের অনন্য অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ আজ উন্নয়নের বিশ্ব রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বারবার উচ্চারিত হয়েছে যে, তিনি সকল ক্ষেত্রে অসামান্য সোনালি অধ্যায় রচনা করতে সমর্থ হয়েছেন, তা আজ সচেতন নাগরিক সমাজ একবাক্যে স্বীকার করছে।


শেখ হাসিনা   রোল মডেল   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছেছেন ২১০৬৩ হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছর হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৬ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানাযায়, বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৩১৬ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৫৩টি।

এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন হজযাত্রীরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং ২২ জুলাই শেষ হবে।


হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুর মেডিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে: জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আগুন লাগার বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।  


ডোনাল্ড লু   মার্কিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন