ভারতীয় ভিসা সেন্টার ভারতীয় ভিসা রমজান মাস
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী
বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দেশে কোন দল ক্ষমতায় আছে তার ওপর নির্ভর করে করা উচিত
নয়। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন।
শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট
অব ম্যাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের দ্বিবার্ষিক সাধারণ
সভা এবং ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাবের হোসেন বলেন, পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির
উন্নয়নে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থায়ী
হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সাংবাদিকরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং
দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। টেকসই উন্নয়নের চর্চা এবং
জনমত গঠনের জন্যও তারা গুরুদায়িত্ব পালন করেন।
এসময় মন্ত্রী দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নের জন্য সংবাদ পরিবেশন করতে
গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম
ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন,
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ
খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ভারত থেকে আসা অনিমেষ বিশ্বাস প্রমুখ।
এছাড়া বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, কলামিস্ট, একুশে পদকপ্রাপ্ত
প্রবীণ সাংবাদিক আফসান চৌধুরীকে এ বছর ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স
পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া
হয়েছে।
এর আগে, দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ফরিদ হোসেনকে সভাপতি ও আঙ্গুর
নাহার মন্টিকে সাধারণ সম্পাদক করে আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের ২০২৪-২৬
মেয়াদের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ
ও লেখক হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ মে) এক বার্তায় হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর
শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় আকবর খান রনো রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড
হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র কন্যা রানা সুলতানা, জামাতা মনির জামান
রাজু, দুই নাতি, অগণিত রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ
সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ।
এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।
হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়
জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।
উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর
খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের
সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
হায়দার আকবর খান রনো প্রধানমন্ত্রীর শোক
মন্তব্য করুন
বিদেশি বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরেছেন এক সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন তারা। এই দম্পতিকে এক নজর দেখতে এ সময় ঈদগাহ মাঠে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল ইসলাম কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের মৃত মকুল প্রামাণিকের ছেলে। আর তার স্ত্রী জানু ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক। পেশায় তিনি ব্যাংকার।
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ১৭ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান রেজাউল করিম। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করতে করতে একটা সময় নিজেই একটা কোম্পানি খুলে কিছু লোকজন কাজে লাগান বিভিন্ন জায়গায়। এরপর পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক ও ব্যাংকার জানুর সঙ্গে।
প্রথমে ভালোবাসার সম্পর্ক হলেও গত এক বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে সিঙ্গাপুরেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন রেজাউল। বিয়ের পর থেকে স্মার্টফোনে বাংলাদেশে শাশুড়ি ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা ও দেখা হলেও সরাসরি শাশুড়িকে দেখার এবং শশুর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছে জ্ঞাপন করেন সিঙ্গাপুরের স্ত্রী।
অবশেষে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে স্ত্রীকে আনেন রেজাউল। গ্রামের সবাইকে অবাক করে দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বউ নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কর্ণসূতি গ্রামে যান তিনি।
শনিবার (১১ মে) পৌনে ১২টায় উপজেলার নিজ গ্রামের দক্ষিণপাড়া ঈদগাঁও ময়দানে হেলিকপ্টার অবতরণের পর স্ত্রীকে নিয়ে নামার পর প্রাইভেট কারে বাড়িতে যান তিনি। এ সময় নবদম্পতি এবং হেলিকপ্টার দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ চারপাশে ভিড় জমান। উপস্থিত জনতা নবদম্পতি এবং হেলিকপ্টার দেখে উৎসবে মেতে ওঠেন এবং হাত তালি দিতে থাকেন।
সিঙ্গাপুরের বউ এবং হেলিকপ্টার দেখতে আসা ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক আবুল কালাম বলেন, আমাদের গ্রামের ছেলে হেলিকপ্টারে করে এবং বিদেশি বউ নিয়ে গ্রামে আসছে, খুব ভালো লাগছে। এর আগে কখনো এত কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখি নাই। তাই দেখতে এসেছি।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে ছিলাম। গত এক বছর হলো সিঙ্গাপুরের নিয়মরীতি অনুযায়ী আমরা বিয়ে করেছি। আজকে জন্মভূমির নিজ গ্রামে ফিরে খুব ভালো লাগছে।
নিজ গ্রামের ছেলে বউ নিয়ে হেলিকপ্টার করে আসার বিষয়ে জামতৈল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ফেরদৌস বলেন, আমার ভাতিজা সিঙ্গাপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আসার কথা শুনে অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সহস্রাধিক মানুষ দেখার জন্য এসেছে। বিষয়টি নিয়ে কর্ণসূতি গ্রামের সব মানুষের মনে আনন্দের সঞ্চার হয়েছে। গ্রামে নতুন বউ ঘরে আসা উপলক্ষে আগামীকাল অনুষ্ঠান আছে। এক সপ্তাহ গ্রামে থাকার পর আবারো সিঙ্গাপুরে চলে যাবেন রেজাউল এবং তার স্ত্রী। আপনারা সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ থানা ওসি মোহা. রেজাউল ইসলাম বলেন, হেলিকপ্টারে করে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ওনার স্ত্রীকে নিয়ে কর্ণসূতি গ্রামে আসবেন বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। তারা বলেছেন- নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা দেবেন।
সিঙ্গাপুর হেলিকপ্টার ইন্দোনেশিয়া
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের
নতুন মেরুকরণ ঘটেছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে ইতিবাচক অবস্থানে আসছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই অবস্থানের বার্তা দিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী ১৪ মে বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল
সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এছাড়াও, বাংলাদেশে নিযুক্ত বর্তমান
রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ইতিমধ্যে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে
মিলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ মার্কিন সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উপনীত
হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।
তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে সাম্প্রতিক
সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে। ২০১৮ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। বিশেষ করে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
জো বাইডেনের জয়ের পর ডেমোক্রেটরা বাংলাদেশের দিকে নজর দিতে শুরু করে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ব্যথা বাড়ে। বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। বাংলাদেশের র্যাবের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে র্যাবের একাধিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, যদি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। নির্বাচনের আগে অন্তত ১৬ বার বিভিন্ন মার্কিন কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সফর করেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য নানা রকম তৎপরতা চালান।
কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পাল্টে যায়। বিশেষ করে, বিএনপির তাণ্ডব, জ্বালাও-পোড়াও এবং সহিংসতার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে এবং এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। বিশেষ করে, নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার পরেও নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানো, অংশগ্রহণমূলক এবং অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। আর সেই বার্তা নিয়েই ডোনাল্ড লু নতুনভাবে বাংলাদেশ সফর করছেন বলে জানা গেছে। নানা কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়ন এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমস্ত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের কৌশল পরিবর্তন করছে তারমধ্যে অন্যতম রয়েছে-
১। চাপ দিয়ে সুসম্পর্ক করা যায় না: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়নের কৌশল ভুল। বরং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
২। চীনের আধিপত্য: বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বাড়ছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চীন এখন অত্যন্ত শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে চীনের বলয়ে চলে যাবে৷ যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হবে বিপজ্জনক। এই কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।
৩। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মার্কিন বিরোধী অবস্থান: গাঁজার নির্বিচারে হত্যা এবং ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী তৎপরতার কারণে সারা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো এখন মার্কিন বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা ঘটছে। এরকম বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদার গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক রাখছে যেন সারাবিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে না পরে। আর একারণেই বাংলাদেশ তাদের জন্য অত্যন্ত বড় প্রয়োজন।
৪। ব্যবসা-বাণিজ্য: বাংলাদেশে অনেক
বড় বড় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, গভীর সমুদ্রবন্দরে তেল-গ্যাস
অনুসন্ধান, বিমানের জন্য নতুন এয়ারক্রাফট ক্রয়সহ বাংলাদেশ এখন একটি বড় বাজারে পরিণত
হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বাজারকে নষ্ট করতে চায় না। এসব কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ কৌশল পরিবর্তন করছে এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে সম্পর্ককে ঝালিয়ে নিতে আগ্রহী
বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পিটার ডি হাস ডোনাল্ড লু
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ,
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করাই বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য। এ জন্য প্রয়োজন সকলের
সহযোগিতা। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে
হবে। প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রভাবিত হওয়া যাবে না।
শনিবার (১১ মে) খুলনার ফুলতলা উপজেলার রি-ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজে
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে জেলার ফুলতলা উপজেলার প্রিজাইডিং অফিসারদের
সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিস এই অনুষ্ঠানের
আয়োজন করে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে
ভোটকেন্দ্রে এসে তারা তাদের ভোট প্রদান করুক। নির্বাচনে ভোটগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক
প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রে যেন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না
ঘটে, এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে লক্ষ্যে নির্বাচন
কমিশন চার ধাপে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন করছে। অনৈতিক ও প্রভাব বিস্তারকারীদের
পক্ষে কাজ না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন পুলিশ
সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. এটিএম শামীম মাহমুদ।
মন্তব্য করুন
বিদেশি বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরেছেন এক সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন তারা। এই দম্পতিকে এক নজর দেখতে এ সময় ঈদগাহ মাঠে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল ইসলাম কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের মৃত মকুল প্রামাণিকের ছেলে। আর তার স্ত্রী জানু ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক। পেশায় তিনি ব্যাংকার।
বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নতুন মেরুকরণ ঘটেছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে ইতিবাচক অবস্থানে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই অবস্থানের বার্তা দিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী ১৪ মে বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।