ইনসাইড বাংলাদেশ

আর্থিক খাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, অনিশ্চয়তায় আমানতকারীরা

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক ও আর্থিক খাতে আমানত সংগ্রহে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৩-১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ অফার করছে। এ ধরনের উচ্চ সুদে আমানত নিলে সে প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী কমপক্ষে ১৬-১৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে। এছাড়া কয়েকটি দুর্বল নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত পেতে সর্বোচ্চ ১৭-১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রস্তাব করছে। সেক্ষেত্রে ঋণ দিতে হবে ২০-২১ শতাংশ সুদে। এই অসম প্রতিযোগিতার কারণে ঋণের সুদও বেড়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ঋণগ্রহীতারা। এছাড়া উচ্চ সুদের এ টাকা ফেরত আসবে কি না-সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই-এমন শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে-ইতোপূর্বে যত অনিয়ম হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে লোভনীয় অফারে আমানত নিয়ে পরে সুদ-আসল দুটোই খোয়া গেছে। অর্থাৎ এভাবে অস্বাভাবিক সুদে আমানত নিলে সেখানে সুদ তো দূরে থাক, মূল টাকাও ফেরত পাওয়ার আশা নেই।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে এখন আমানত ও ঋণে সুদের হার বাড়ছে, এটা ঠিক। সেটা সর্বোচ্চ ১২-১৩ পর্যন্ত যেতে পারে। তবে ১৭-১৮ শতাংশ সুদে আমানত নিয়ে ব্যবসা করলে সে ব্যবসা টিকবে না। আর যদি এটা দীর্ঘমেয়াদি গৃহঋণে খাটানো হয় তাহলে সে ঋণগ্রহীতা জানে মারা যাবে। তিনি বলেন, আমানতকারীদের সাবধান হতে হবে। কেউ অফার করলেই চলে যাওয়া যাবে না। দেখতে হবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটা কেমন। যাচাই-বাছাই ছাড়া আমানত রাখলে বিপদ হবে।

অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, এটা যদি ঘটে থাকে, সেটি হবে বিরাট অশনি সংকেত। উচ্চসুদে আমানত নিয়ে লুটতরাজ হবে। দেশে এমন কোনো ব্যবসা নেই, যা দিয়ে আমানতের এ টাকা পরিশোধ করতে পারবে।

এছাড়া অন্য একটি বেসরকারি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলেন, ‘এখন যেটা চলছে এটাকে প্রতিযোগিতা বলে না। একীভূত হওয়ার ভয়ে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানতের জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমাকেও ১৮ শতাংশ সুদে আমানতের অফার করেছে। এটা দেখে অবাক হয়েছি। আসলে দেশে এত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। তার মতে, প্রতিযোগিতার বাজারে প্রাকৃতিক নিয়মে যে টিকে থাকার থাকুক কিন্তু কৃত্রিমভাবে কোনো ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়ে রাখার দরকার নেই। তাহলেই বেশির ভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চতুর্থ প্রজন্মের একটি দুর্বল ব্যাংক ১০ বছর মেয়াদি আমানতে সুদ অফার করেছে ১৩ শতাংশ। এছাড়া একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক বছর মেয়াদি আমানত নিচ্ছে ১২ শতাংশে। আমানতের অঙ্ক কোটি টাকার ওপরে হলে সুদহার হবে ১৩ শতাংশ। এভাবেই টাকার অঙ্ক ও মেয়াদ বাড়লে সুদের হার ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। এটা আনুষ্ঠানিক কোনো অফার নয়। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিকে এসব অফার অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। কখনো কখনো ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমেও এসব লোভনীয় অফার দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলেন, শুধু কয়েকটি দুর্বল প্রতিষ্ঠান উচ্চ সুদে আমানত নিচ্ছে। এতে আমানতকারীরা ঝুঁকিতে পড়বেন। সে জন্য আমানতকারীদের সতর্ক হতে হবে।

এদিকে ব্যাংকঋণের আনুষ্ঠানিক সুদহার বেড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত জুলাইয়ে বেঁধে দেওয়া ৯ শতাংশ সুদহার তুলে নেওয়ার পর এটিই ঋণের সর্বোচ্চ সুদ। গত ফেব্রুয়ারিতেও ব্যাংকে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে হচ্ছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।

ঋণের সুদ নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করতে গিয়ে এখন প্রতি মাসেই ঋণের সুদ বাড়ছে। তাতে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাসহ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা। কারণ নতুন করে ব্যাংকঋণ নিতে গেলেই গুনতে হচ্ছে বেশি সুদ। এর ফলে ব্যবসার খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে ঋণের সুদ বেশি বেড়ে যাওয়ায় সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ‘সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ বা স্মার্ট পদ্ধতিতে ঋণের সুদের ভিত্তি হার নির্ধারিত হয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় বাড়তি ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ। এ দুইয়ে মিলে ঋণের চূড়ান্ত সুদহার নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলো। মার্চে এসে স্মার্ট হার বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি যুক্ত হওয়া সুদের কিছুটা লাগাম টানা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে স্মার্ট হারের সঙ্গে বাড়তি যুক্ত হবে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদ। আগে যুক্ত হতো ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ব্যাংকের ক্ষেত্রে শুধু ঋণে সর্বোচ্চ সীমা থাকলেও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত সংগ্রহেও সুদহারের একটা সর্বোচ্চ সীমা দেওয়া আছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্মার্টের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ যোগ করে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। সে হিসাবে মার্চ মাসে তাদের সর্বোচ্চ ঋণের সুদহার হবে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ এবং আমানতে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং আমানতে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসাবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, আগস্টে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশে, জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং সবশেষ ফেব্রুয়ারিতে স্মার্ট রেট প্রায় এক শতাংশ বেড়ে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশে উঠেছে।

ব্যাংক   আর্থিক খাত   অসুস্থ প্রতিযোগিতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: সিল মারা ৯০০টি ব্যালটসহ প্রিজাইডিং অফিসার ও এজেন্ট আটক

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail আটক প্রিজাইডিং অফিসার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় রামেশ্বাপুর ইউনিয়নের কুসুমকলি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার ও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) বেলা ১২ টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

আটক প্রিজাইডিং অফিসারের নাম শাজাহান আলম এবং অপরজন হলেন আনারস মার্কা প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের এজেন্ট এরশাদ আলী। সময় তাদের কাছে সিল মারা ৯০০টি ব্যালট পেপার পাওয়া যায়।

এছাড়াও প্রায় ৩০০টি জাল ভোট বাক্সে ফেলানোর অভিযোগ স্বীকার করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার শাজাহান আলম।

আটকের বিষয় নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান বলেন, ‘যেখানে অভিযোগ আছে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দুপুর অবধি উপজেলায় প্রায় ২০ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   জাল ভোট   সিল মারা ব্যালট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

দিনাজপুরের হাকিমপুরে (হিলি) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার (৮ মে) একদিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,  বুধবার হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারিভাবে উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে কাস্টমসের সব বিভাগ বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, এতে করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু হবে।


দিনাজপুর   হাকিমপুর   হিলি   উপজেলা পরিষদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র দখলকে নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এতে প্রায় আধা ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে এই কেন্দ্রে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

বুধবার ( মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (কাপ পিরিচ) আব্দুল বাকির (আনারস) এর কর্মী সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ, ৯৪ হাজার টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের মধ্যে আনারস প্রতীকের সমর্থক পাঁচদোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটন (৪০) কাপ পিরিচ প্রতীকের সিদ্দিকের (৩০) পরিচয় পাওয়া গেছে, বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

পাঁচদোনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, ‘কাপ পিরিচ প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় আল আমিনের (৩৪) নেতৃত্বে টিপু (৩১), দুলাল (২৭) অভিসহ ১০-১২ জন কেন্দ্রের ভেতরে আমাদের ওপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম। আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। এরপর কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।’

অভিযুক্ত কাপ পিরিচের সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুমায়ুন তার লোকজন। এতে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। আমাদের -১০ জনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোটগ্রহণ পুনরায় চলছে। নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পেয়েছি।


উপজেলা নির্বাচন   কেন্দ্র দখল   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ, ৯৪ হাজার টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক

প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail ভোটারদের মাঝে টাকা বিরতরণ কালে ৯৪ হাজার টাকা সহ আটক ইউপি চেয়ারম্যান

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে একটি ভোটকেন্দ্র থেকে নগদ ৯৪ হাজার টাকাসহ ভাঙ্গাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

 

বুধবার (৮ মে) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তামাই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। 


আরও পড়ুন: মনিটরিং সেলে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে ইসি

 

জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জুলহাজ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

 

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের মাঝে নগদ টাকা বিতরণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছিলেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় তাকে টাকাসহ হাতে নাতে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ৯৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। তারা এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

 

ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আদনান মোস্তাফিজ বলেন, চেয়ারম্যান দিয়ে ভোটকেন্দ্র এলাকায় ভোট কেনার চেষ্টা করছিলেন। তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তিনি কোন প্রার্থীর হয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছিলেন এটা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ।


প্রসঙ্গত, সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জে বেলকুচিসহ ৩টি উপজেলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলছে।


উপজেলা নির্বাচন   টাকা বিতরণ   আটক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীর দুই উপজেলার চলছে ভোট গ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম


Thumbnail

প্রথম ধাপের উপজেলার নির্বাচনে রাজশাহীর দুটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। সারাদেশের ন্যায় বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টায় একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীন ভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলছে ভোট গ্রহণ। প্রথম ধপের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে এই দুই উপজেলায় ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম। অনেক কেন্দ্রেই সকালের দিকে ভোটাদের উপস্থিতি ছিল না। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছু ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।

 

দেখা গেছে, সকালের দিকে এই দুই উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে শুধু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিস ছাড়া কেউ ছিল না। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন দেখা যায়নি।

 

তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ভোটারদের আগমন দেখা যায়। তবে সকাল থেকে হাতে গোনা কিছু নারী ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বেলা বাড়ার সাথে সাথে।

 

গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মনজেল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ভালো। তবে সকালে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়বে।

 

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে গোদাগাড়ী ও তানোর দুই উপজেলার মোট ১৬৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫৫ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১৬ জন আনসার সদস্য রয়েছে। গোদাগাড়ীতে ৫ প্লাটুন ও তানোরে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই দুই উপজেলায় ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া র‌্যাব ও পুলিশের টহল সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে।

 

গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ শত ৭টি, ভোট কক্ষ ৭ শত ১৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ১ শত ৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮ শত ৭০ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ২ শত ৮৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন। 

অন্যদিকে তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১টি, ভোট কক্ষ ৪ শত ২৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১ শত ৭৩ জন। এ উপজেলার মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ৯শত ৭ জন ও নারী ভোটার ৮৪ হাজার ২ শত ৬৬ জন। 


উপজেলা নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   ভোটার উপস্থিতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন