ইনসাইড বাংলাদেশ

সগিরা মোর্শেদ হত্যা: ২ জনের যাবজ্জীবন, ৩ জন খালাস

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

তিন দশক আগে সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) হত্যা মামলায় ২ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ৩ জনকে খালাস করে দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন, আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নিহতের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন সগিরা মোর্শেদ। বলা হচ্ছিলো ছিনতাইকারীর হাতে খুন। কিন্তু ৩০ বছর পর চ্যানেল 24-এর অনুসন্ধানে উঠে আসে এ মামলার অজানা রহস্য। জানা যায় পারিবারিক বিরোধের জেরে হয় এই হত্যা।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ভিকারুননেসা স্কুলে মেয়েকে আনতে গিয়ে খুন হন সাগিরা মোর্শেদ। সেদিন রাতেই রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। প্রথমে ছিনতাই মামলা হলেও ২০১৯ সালের ২০ জুন চ্যানেল 24-এর অনুষ্ঠান আপনার আদালতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়, যা পরে হাইকোর্টের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে সে সূত্র ধরে পাল্টে যায় পুরো ঘটনা, পিবিআই প্রধান জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে।

তদন্তের পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে উঠে আসে সগিরা মোর্শেদকে কীভাবে হত্যা করা হয়।

ডা. হাসান আলী চৌধুরী আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, তিনি ইস্কাটনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। আসামি মারুফ রেজা তার রোগী ছিলেন। সে শহরে মাস্তানি করতো। সগিরা মোর্শেদকে শায়েস্তা করার জন্য তিনি তাকেই ঠিক করেন। তার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এ কাজের জন্য। কিন্তু সে সগিরা মোর্শেদকে চিনতেন না। এজন্য তার শ্যালককে দায়িত্ব দেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেয়ার জন্য।

১৯৮৯ সালের ২৪ জুলাই সগিরা মোর্শেদের মেজো বোন আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসেন। এজন্য সগিরা মোর্শেদ ও আব্দুস সালাম তাদের রাজারবাগের বাসায় অনুষ্ঠান করেন সেখানে সগিরা মোর্শেদের ভাই ডা.গওজ নেওয়াজ উপস্থিত হতে পারেননি। গওজ নেওয়াজকে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য সগিরা মোর্শেদ ২৫ জুলাই বড় মেয়েকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে নামিয়ে দিয়ে মেঝ মেয়ে ও ছোট মেয়েকে নিয়ে ধানমন্ডি বাবার বাসায় যান। 

ওইদিনই বিকেল ৪টার দিকে সগিরা মোর্শেদ বাবার বাসা থেকে রাজারবাগে স্বামীর বাসায় ফিরে আসেন। সগিরা মোর্শেদের বড় মেয়ে সিদ্ধেশ্বরী ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ডে শিফটে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। তার স্কুল ছিলো দুপুর সোয়া একটা থেকে। মা বড় মেয়েকে নিয়মিত রিকশায় স্কুলে আনা নেয়া করতো। 

বিষয়টি ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী শাহিন এবং শ্যালক আনাস মাহমুদ জানত। ২৫ জুলাই হাসান আলী চৌধুরী দুপুর দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আনাসকে মৌচাকে গিয়ে মারুফ রেজাকে যেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেয়। হাসান আলী চৌধুরীর কাছ থেকে বিস্তারিত টেলিফোনে জেনে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে বাসে, পরে টেম্পুতে করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মৌচাক পৌঁছান। আনাস পৌঁছানোর প্রায় ১৫/২০ মিনিট পর মারুফ রেজা মোটরসাইকেলে মৌচাক পৌঁছান। মোটরসাইকেলে করে তারা দুই জন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দিকে চলে যায়। তারা ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গেটের একটু দূরে মোটরসাইকেলে বসে সগিরা মোর্শেদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সগিরা মোর্শেদ বড় মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে আনার জন্য বাসা থেকে বের হন। চার টাকায় ছালাম মোল্লা নামে এক রিকশাচালকের রিকশা ভাড়া করে স্কুলের দিকে রওনা দেন। মালিবাগ মোড় পেট্রোল পাম্পের সামনে গিয়ে মৌচাকের গলির ভিতর দিয়ে সগিরা মোর্শেদের রিকশাটি সিদ্ধেশ্বরীর মাঝামাঝি অতিক্রমকালে আগে থেকে অপেক্ষারত  আনাস মাহমুদ আঙ্গুল দিয়ে মারুফ রেজাকে ‘এটা সগিরা মোর্শেদ’ বলে চিনিয়ে দেয়। মারুফ রেজা তাৎক্ষণিকভাবে মোটরসাইকেলে রিকশা কিছুক্ষণ ফলো করে। পরবর্তীতে রিকশার সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড় করায়। তারা দুজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে পড়ে।

পরে মারুফ রেজা সগিরা মোর্শেদের হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। স্বর্ণ টানা হেঁচড়া করতে থাকেন। সগিরা মোর্শেদ সামান্য চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। মারুফ রেজা তাকে থ্রেট করে। সগিরা মোর্শেদ ওই সময় আনাস মাহমুদকে চিনে ফেলে। বলে, ‘তুমি তো রেজওয়ান, তোমাকে আমি চিনি। তুমি এখানে কেন।’ এই কথা বলার পরপরই মারুফ রেজা কোমরে থাকা রিভলভার বের করে এক রাউন্ড গুলি করে। প্রথম গুলিটি সগিরা মোর্শেদের ডান হাতের কনুইয়ের নিচে লাগে। আনাস মারুফ রেজাকে গুলি করতে নিবৃত্ত না করলে মারুফ আরেক রাউন্ড গুলি করে। দ্বিতীয় গুলি সগিরা মোর্শেদের বুক ভেদ করে সোজাসুজি পিঠ দিয়ে বের হয়ে রিকশার হুড ছিদ্র হয়ে যায়। 

আনাস মাহমুদ আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, সগিরা মোর্শেদের বুকে গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রিকশার বাম দিকে হেলে পড়েন। তার পুরো শরীরসহ রিকশা রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। সগিরা মোর্শেদকে দ্বিতীয় গুলি করার পর আনাস মাহমুদ মারুফ রেজাকে বলেন, চলো পালাই। তারা সগিরা মোর্শেদের ব্যাগ ফেলে দেয়। সগিরা মোর্শেদের হাতে স্বর্ণের বালা থেকে যায়। ভীতি ছড়ানোর জন্য মারুফ রেজা তাৎক্ষণিক উপরের দিকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর তারা সেখান থেকে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সামনে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সগিরা মোর্শেদকে বহনকারী রিকশাচালক ছালাম মোল্লা একটি ইট হাতে হাইজ্যাকর, হাইজ্যাকর বলে চিৎকার করতে করতে ধাওয়া করে। শান্তিনগরের কাছে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সামনে আনাস মাহমুদকে মারুফ রেজা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেন। এদিকে রিকশাচালক ফিরে এসে দেখেন সগিরা মোর্শেদ নেই। রিকশায় রক্ত দেখতে পাই।  পরে তিনি রমনা থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) এর পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। চার্জশিটে সগিরা মোর্শেদকে ২৫ হাজার টাকা খুনের চুক্তির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, চুক্তিকৃত ২৫ হাজার টাকার মধ্যে হাসান আলী মারুফ রেজাকে ১৫ হাজার টাকা দেন। ১০ হাজার টাকা পরে দেয়ার কথা বললেও তিনি আর তাকে সেই টাকা দেননি।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

পরে এ বছর ২৫ জানুয়ারি ৩৫ বছর আগের মামলার রায়ের জন্যে ধার্য হলেও পরে তা পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।


সগিরা মোর্শেদ হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীর দুই উপজেলার চলছে ভোট গ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম


Thumbnail

প্রথম ধাপের উপজেলার নির্বাচনে রাজশাহীর দুটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। সারাদেশের ন্যায় বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টায় একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীন ভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলছে ভোট গ্রহণ। প্রথম ধপের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে এই দুই উপজেলায় ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম। অনেক কেন্দ্রেই সকালের দিকে ভোটাদের উপস্থিতি ছিল না। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছু ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।

 

দেখা গেছে, সকালের দিকে এই দুই উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে শুধু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিস ছাড়া কেউ ছিল না। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন দেখা যায়নি।

 

তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ভোটারদের আগমন দেখা যায়। তবে সকাল থেকে হাতে গোনা কিছু নারী ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বেলা বাড়ার সাথে সাথে।

 

গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মনজেল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ভালো। তবে সকালে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়বে।

 

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে গোদাগাড়ী ও তানোর দুই উপজেলার মোট ১৬৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫৫ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১৬ জন আনসার সদস্য রয়েছে। গোদাগাড়ীতে ৫ প্লাটুন ও তানোরে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই দুই উপজেলায় ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া র‌্যাব ও পুলিশের টহল সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে।

 

গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ শত ৭টি, ভোট কক্ষ ৭ শত ১৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ১ শত ৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮ শত ৭০ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ২ শত ৮৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন। 

অন্যদিকে তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১টি, ভোট কক্ষ ৪ শত ২৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১ শত ৭৩ জন। এ উপজেলার মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ৯শত ৭ জন ও নারী ভোটার ৮৪ হাজার ২ শত ৬৬ জন। 


উপজেলা নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   ভোটার উপস্থিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই ঘরে বসে হজের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে’

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে বলেই এখন ঘরে বসে সব কাজ করা যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে হজের কাজ সম্পন্ন করতে কোন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘পবিত্র হজ কার্যক্রম-২০২৪’ (১৪৪৫ হিজরি)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ঘরে বসেই হজের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব ২০০৮ এর নির্বাচনের ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। আজকে তা বাস্তবায়ন হয়েছে। বাস্তবায়ন হয়েছে বলে এই সুযোগটা আপনারা সবাই পেয়েছেন। ঘরে বসে সব কাজ করতে পারেন। কোনোরকম হয়রানির শিকার হতে হয় না। হজের রেজিস্ট্রেশন সরাসরি অনলাইনে করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি, সেখানেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জন্য এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, কারবালার ময়দানের যে ঘটনা ঘটেছে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ১৫ আগস্ট। কারবালা ময়দানে নারী শিশুদের হত্যা করা হয়নি। বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট নারী শিশু কেউ রেহাই পায়নি। আমার ছোট বোন, আমি বিদেশে ছিলাম। মাত্র ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে যাই। আমার স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা বেঁচে যাই, কিন্তু এই বেঁচে যাওয়াটাও বড় কষ্টের। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। আমার বাবা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন, এ কাজটাই আমাকে করতে হবে। আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি আমি এই কাজটা করতে পেরেছি।

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   হজ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: খাগড়াছড়িতে একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলায় যতীন্দ্র কারবারি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। এক প্রার্থীর পক্ষে জোর করে ব্যালটে সিল দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। 

জেলা রির্টানিং নির্বাচন র্কমর্কতা কামরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লক্ষীছড়ি উপজেলায় যতীন্দ্র কারবারি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে জোর করে ব্যালট পেপারের সিল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে কেন্দ্রটির ভোট সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।  


উপজেলা নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার লক্ষ্যে আগামীকাল ৯ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর:

০২-২২৩৩৮১৭২৫

০২-৪১০৫০৯১২

০২-৪১০৫০৯১৬

০২-৪১০৫০৯১৭

এবং ফ্যাক্স নম্বর:

০২-২২৩৩৮৩৩৯৭

০২-৯৫৫৫৯৫১

অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।


জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর আশকোনা ক্যাম্পে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (০৮মে) আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। এরপর হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন প্রধানমন্ত্রী।

হজযাত্রা উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চারণ করেন, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’ এসময় হজে গিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে হজযাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে শুরু করে ১০ জুন পর্যন্ত জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৭টি হজপূর্ব ফ্লাইটে করে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন এবং মে মাস থেকে ১২ জুনের মধ্যে সৌদি আরবে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইটে করে বাকি হজযাত্রীদের হজ পালন করতে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ বিমান ২০ জুন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট শুরু করবে এবং সৌদি আরবের বিমান সংস্থা ফ্লাইনাস ২১ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট চালু করবে।

ঢাকা হজ অফিসের আইটি ইনচার্জ কাজী মো. মুরাদ ই আলম জানান, এ বছর মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন।

মুরাদ ই আলম আরও জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে ইতোমধ্যে চার হাজার ৩১৪ জন হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন এবং ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। 


হজ কার্যক্রম   উদ্বোধন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন