লক্ষ্মীপুরে গাইনী কেয়ার নামে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হয়রানির শিকার এক রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের স্বামী ও স্টাফদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম মামুন পলাতক রয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর হাসপাতাল
সড়কের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম মামুন জেলা শ্রমিকলীগের
সাবেক সদস্য সচিব এবং ডা: নার্গিস পারভীনের স্বামী।মারধরের শিকার কামাল লক্ষ্মীপুর
পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কুয়েত প্রবাসী।
মারধরের শিকার কামাল অভিযোগ করেন, প্রবাসী কামালের স্ত্রী রোশন
আরাকে দেখাতে বৃহস্পতিবার
(১৪ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে গাইনি চিকিৎসক নার্গিস পারভীনের সিরিয়াল দেয়া হয়। কিন্তু
বেলা সোয়া ২ টার দিকেও চেম্বারে আসেননি চিকিৎসক। এনিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও ডায়াগনস্টিক
সেন্টারের স্টাফরা রোগী ও সেজনদের সাথে অসাধাচরণ করেন। এনিয়ে প্রতিবাদ করলেই গাইনী
কেয়ারের মালিক ডা: নার্গিস পারভীনের স্বামী মামুন ওই রোগীর প্রবাসী স্বামী কামালকে
ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ে কামালকে মারধর করেন মামুন এবং স্টাফরা। পরে তাকে উদ্ধার করে
সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে জানতে গাইনী কেয়ারে গিয়েও অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। তবে
চিকিৎসক নার্গিস পারভীন বলেন, রোগী দেখতে দেরি হওয়ায় হাসপাতালে স্টাফদের সঙ্গে খারাপ
ব্যবহার করেন রোগীর স্বামী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি সাফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন ডা: আহমেদ কবীর বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সাথে অনুমোদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে গেলো মাসের শেষের দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত ১০ দফা নির্দেশনা মানতে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেছে লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর। এই অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র না থাকায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তিতে এখনো বন্ধ হয়নি এসব হাসপাতাল-ক্লিনিকের কার্যক্রম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকা সফর
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. লায়েক আলী বলেন, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলেও শিলাবৃষ্টির কারণে আমার বসত ঘরের টিনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাড়ি চালক সৈকত বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গরম কমলেও আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
হবিগঞ্জ কালবৈশাখী ঝড় শিলাবৃষ্টি
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এ শিলাবৃষ্টি চলে। এ সময় একেকটি শিলার ওজন ছিল ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।