ঈদের আগে ও পরে মোট ৬ দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সচিব আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ ছাড়া মহাসড়কে সংস্কারকাজ ঈদের সাতদিন আগেই শেষ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে যানজটের জন্য মহাসড়কগুলোর সম্ভাব্য ১৫৫টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৮টি স্পট, উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫২টি, ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬টি, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪১টি এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে ৮টি স্পট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
সভায় করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ সড়ক পরিবহন বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ।
এসময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে যেন গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় না করা হয় সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে মনিটরিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, কোনো ঈদেই মালিকপক্ষ যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করে না। একটি চক্র প্রতি ঈদে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কাজটি করে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এই চক্রকে খুঁজে বের করতে হবে।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ঈদে মালিকদের থেকে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হয় না। তারপরও প্রতিবার অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ আসে। আমাদের আসলে এতো পরিমাণ গাড়ি... যার কারণে সবগুলোকে একসঙ্গে দেখা সম্ভব হয় না। প্রতিবার কিছু অসাধু মানুষ আগেই বেশি করে টিকিট কেটে রেখে দেয়, এরপর ঈদের আগে বেশি দামে বিক্রি করে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগালে প্রতিকার পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, এবার অন্যান্য সময়ের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেক ভালো হয়েছে। দুই লেনের রাস্তাগুলো এখন চার লেন হচ্ছে। এগুলোতে ব্যবস্থা নিলে আসা করি এই ঈদে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে না। গতবার ট্রাফিক পুলিশ ড্রোন দিয়ে রাস্তার সার্বিক অবস্থা দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, যে কারণে ক্যামেরায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পেরেছি। এবারও যদি এ রকমটা হয়, তাহলে অনেকটাই সুবিধা হবে।
বাংলাদেশ ঈদযাত্রা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।