ইনসাইড বাংলাদেশ

টেকনাফে ২৩ দিনে অপহরণ ২০

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

টেকনাফের গহীন অরণ্যে গত ২৩ দিনে ২০ জনকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। যার মধ্যে ৭ জনের সন্ধান এখনো মেলেনি। এছাড়াও মুক্তিপণ দিতে না পারায় খুন হয়েছেন ৫ জন।

 

চলতি মাসের প্রথম থেকে শনিবার (২৩ মার্চ) পর্যন্ত শিশুসহ অপরণের শিকার হয়েছেন ২০ জন। যাদের বেশিরভাগই মুক্তিপণে বাড়ি ফিরেছেন।


অপহৃতদের   মধ্যে ছিল স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া, কাঠুরিয়া, জেলে, কৃষক ও প্রবাসী। অপহরণের পর দাবিকৃত মুক্তিপণ দিতে না পেরে খুন হয়েছেন ৫ জন। দিনের পর দিন অপহরণ বাণিজ্য বেড়ে চলায় এ অঞ্চলের মানুষ দিন কাটাচ্ছেন অপহরণ আতঙ্কে।

 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ও ঘটে অপহরণের ঘটনা। এদিন ভোরে উপজেলার হ্নীলা পশ্চিম পানখালি পাহাড়ের পাশের সবজি ক্ষেত থেকে পাঁচজনকে অপহরণ করে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা।

 

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) টেকনাফে যারা অপহরণ হলেন তারা হলো, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পানখালির মৃত সৈয়দ উল্লাহের ছেলে মোঃ শামীম (১৯), একই এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (১৯), শাহজাহানের ছেলে মোহাম্মদ জিহান (১৮), আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ নুর (২২) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহিম (১৪) ।

 

অপহৃত শামীমের বড় ভাই সোনা মিয়া বলেন, পশ্চিম পানখালি পাহাড়ের পাশের জমিতে আলু, মরিচ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ হয়েছে। শামীমসহ অপহৃত বাকি চারজন তাদের নিজ ক্ষেতে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরের দিকে তারা ক্ষেতে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা অপহরণকারীদের কবলে পড়েন। এ ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ও শুক্রবার (২২ মার্চ) সারাদিন পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে খোঁজ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

 

এর আগে অপহৃত হয়ে মুক্তিপণে ফেরত আসা টেকনাফের বাহারছড়ার বাসিন্দা ছৈয়দ আলম (৪০) বলেন, ‘গত ৮ মার্চ (শুক্রবার) জাহাজপুরার আলী আহমদসহ আমরা দুজন পানের বরজে কাজ করছিলাম। হঠাৎ ৮-১০ জনের অস্ত্রধারী দল আমাদের জিম্মি করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে বেঁধে রাখে। পরে অপহরণকারীদের নির্যাতনে নিরুপায় হয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণে বেঁচে ফিরি।’

 

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মির কাসেম বলেন, ‘১০ মার্চ সকালে আমার দুই ছেলে নুর কবির ও জসিমসহ সাতজন উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ি বাগানে কাজ করতে যায়। সেখানে আরও পাঁচজন কাঠ সংগ্রহ ও গরু চড়াতে গেলে ১০-১৫ জনের সশস্ত্র দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদেরকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। তারা জনপ্রতি দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে অনেক দেন-দরবারে নগদের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পৌঁছানোর পর রাতে তাদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।’

 

বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ আলম জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে মারিশবনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল আলিম মায়ের সঙ্গে পানের বরজে কাজ করতে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে তাকে অপহরণ করে। এ ঘটনার পাঁচদিন পরে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ফেরত আনে তার পরিবার।

 

তিনি আরও বলেন, এর আগে বাহারছড়ার অটো রিকশাচালক মাহমুদুল করিম ও হ্নীলার ইজিবাইক চালক মুহাম্মদ হোসেন মুক্তিপণের টাকা দিতে না পেরে খুন হয়েছিলেন। পরে শামলাপুর ঢালা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

দিনের পর দিন অপহরণের ঘটনা বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষ এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন এ ইউপি সদস্য।


হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের বিভিন্ন পেশার প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ অপহরণের শিকার হয়েছেন। দিনের পর দিন যেভাবে অপহরণের ঘটনার বাড়ছে এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীরা বাড়ি ফিরতেও ভয় পান।

 

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, এরই মধ্যে অনেককে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের অনেক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাহাড়ি দুর্গম পথ হওয়ায় সহজে মুভ করাও কষ্টের। এরপরও অপহরণ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।


২০ জনকে অপহরণ   রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা   পাহাড়ি দুর্গম পথ   মুক্তিপণের টাকা দিতে না পেরে খুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল ও গাজা সহ ৩ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ এর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাশিয়াহাটা বাজারের মেসার্স হোসাইন বস্ত্রালয় এর সামনে থেকে ২০০শ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করেছে।

 

বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দিন,বিপিএম (বার), পিপিএম।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করা কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃত আসামিরা হলেন, আব্দুল্লাহ ওরফে আঃ আলিম (৩৯), মোঃ আঃ লতিফ শেখ (৫১), মোঃ আজিজুল আকন্দ (৪৫) ।

 

আটককৃত আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে আঃ আলিম এবং আসামী মোঃ আঃ লতিফ শেখ (৫১) এর বিরুদ্ধে ৩টি করে মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।


মাদক   ফেন্সিডিল   গাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ জামালের জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শহীদ শেখ জামালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওইদিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। পরদিন ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে দিনের প্রথম সূর্য রশ্মি ধানমন্ডি লেকের পানিকে উজ্জ্বল করার আগেই ঘাতকের বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সস্ত্রীক শহীদ হন শেখ জামাল।

শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।


শেখ জামাল   স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

'মাদক সেবন বন্ধ কর, সুশীল সমাজ গড়ে তোল' এই স্লোগানে জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত মাদক বিরোধী এই মানববন্ধন করা হয়।

এসময় মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এমদাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন, সংস্থার সহ সভাপতি আমিনুর রহমান বুলু, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে যুবক ছেলে ও মেয়েরা সেই সাথে অভিভাবকরা হাত তুলে মাদককে না বলে ভাদসা ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেন।


মাদক   মাদক বিরোধী   মানববন্ধন   মাদক মুক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বাল্য বিয়ে না দেয়ায় ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত বখাটে রক্তিম

সিরাজগঞ্জে বাল্য বিয়ে না দেয়ায় দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।

 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন বাদী হয়ে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পুংরৌহালী গ্রামের বখাটে রক্তিম (১৯), রক্তিমের পিতা আফজাল হোসেন (৫৫) ও তার বড় ভাই রুবেল হোসেনের (৩৩) বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মমিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার পর আসামিদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন সকাল পৌনে ১০ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের হোসেনপুর বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দ্যেশ্যে গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকায় পৌঁছালে ওই ছাত্রী ও তার আট বছর বয়সী ছোট বোনের মুখে গামছা পেছিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জোড়পূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয় আসামিরা। এরপর ছাত্রীর ছোট বোন এমএস মুমতাহাকে বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামের পাশে তারা রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে মুমতাহা বাসায় ফিরে তার মা ছালমা খাতুনকে এ ঘটনা জানায়।

 

অপহৃত ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন তার মেয়ে উদ্ধার ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমার দুটি মেয়ে, কোন ছেলে সন্তান নেই। স্বামী অসুস্থ্য হয়ে বিছানায়। আমাদের প্রায় ১০ বিঘা ফসলি জমি ও এক কোটি টাকা মূল্যের একটি দ্বিতল বাড়ি রয়েছে। মূলত এ সম্পত্তির লোভে পড়েই ১ বছর আগে রক্তিমের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়নি। কারণ আমার মেয়ের এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রস্তাবের কিছুদিন পরই আমার মেয়েকে তারা অপহরণ করেছিল। পরে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করেছিলাম।’

 

এ ঘটনার পর আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সিরাজগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে মেয়েকে শাহীন স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে ভর্তি করার কয়েক মাস পর বখাটে রক্তিম শহরে একটি বাসা ভাড়া নেয়। এ বাসা ভাড়া নিয়ে আমার মেয়ের স্কুল ও প্রাইভেটে আসা যাওয়ার পথে পিছু নেয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবটি মেয়েও নাকচ করে।

 

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রক্তিমের বড় ভাই রুবেল হোসেন এ অপহরণের কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রীর সাথে আমার ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ওরা দুজন এলাকার একই স্কুলে পড়তো।


ছাত্রী অপহরণ   বাল্য বিয়ে   থানায় মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৫০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেছেন জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান।

তার অভিযোগ, জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া এলাকার আবু হেনা ফুল মিয়া তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও শ্বশুর আনোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারণা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি নিজেও এর শিকার। ৫ লাখ টাকার ভুয়া চেক দিয়ে তার সঙ্গেও প্রতারণা করা হয়েছে। একইভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরি দেওয়ার নামে নানা প্রতারণা করে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আবু হেনা ফুল মিয়া।

এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলা করলেও তাদের কোনো শাস্তি হয়নি। বরং অভিযুক্ত আবু হেনা ফুল মিয়া বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দাবি করে ছাপানো ভিজিটিং কার্ড এলাকায় বিতরণ করে নিজেকে ক্ষমতাবান বলে প্রচার করছেন।

এ অবস্থায় আবু হেনা ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধারসহ তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঐ আইনজীবী।

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ফরিদুজ্জামান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী ফারহানা মুশতারি, এসএম রাশেদুল হাসান ও জুয়েল হোসেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দম্পতির বাসায় গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।


চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার   অর্থ আত্মসাৎ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন