ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্ত্রাস দমনে অগ্রণী ভূমিকায় র‌্যাব

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

২০০৪ সালের ২৬ মার্চ কার্যক্রম শুরু করা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। প্রতিষ্ঠার দুই দশক পূর্ণ হচ্ছে আজ। এলিট ফোর্স র‌্যাব পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমন, ডাকাতি প্রতিরোধ, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রুখতে সংস্থাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। দুই দশকে র‌্যাব ১৯ হাজার ৮৬০টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ৫ হাজার ৮৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার মাদক জব্দ করেছে। অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারও করেছে র‌্যাব। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ কিশোর গ্যাং দমনে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় সাধারণ মানুষের কাছে র‌্যাব প্রশংসিত হচ্ছে।

জঙ্গি দমনে বিশেষ অবদান রাখায় আন্তর্জাতিক মহলে র‌্যাব প্রশংসিত হয়েছে। সন্ত্রাস দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে সংস্থাটি স্বাধীনতা পদক, সন্ত্রাস দমনে বিশেষ সম্মাননা, ই-সরকার বিশেষ সম্মাননা ও পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের সফল বাস্তবায়নের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে।

তবে এত সব সফলতার মাঝেও কতিপয় সদস্যের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে র‌্যাবের ললাটে কলঙ্ক লেগেছে। ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন ও ২০১৮ সালে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হককে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়ে। এছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র‌্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে র‌্যাব ও সরকারের পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বানও জানানো হয়। এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকে র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আর কোনো অভিযোগ ওঠেনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইমেজ উদ্ধারে সংস্থাটি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জনমানুষের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ডায়মেনশনে কাজ করছে র‌্যাব। সব সেক্টরেই র্যাবের সাফল্যের ছাপ রয়েছে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশবিরোধী চক্র বিভিন্ন সময় র্যাবকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছে। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও আস্থায় কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি।

র‌্যাবকে আরও আধুনিক করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল টিম গঠন করা হয়েছে। র‌্যাবের প্রযুক্তিগত উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা সূত্র বলছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ও সীমান্তবর্তী জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ১৯ হাজার ৮৬০টি বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র এবং ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এর রকেট লঞ্চার, গ্রেনেড, বিভিন্ন প্রকার শেল, ককটেল ও গোলাসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। এ সময় ১৪ হাজার ৪৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীসহ সারাদেশে আতঙ্কে পরিণত হওয়া কিশোর গ্যাং সদস্যদের প্রতিরোধেও র‌্যাব কাজ করছে। ২১০টি অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ১৬২টি গ্রুপের ১ হাজার ১৫০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে ৩৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চাঞ্চল্যকর হত্যা ও ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তারেও র‌্যাব বিশেষ ভূমিকা রাখছে। দুই দশকে ৪ হাজার ৮২টি অভিযানে ৫ হাজার ৩৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৩৮৬টি মামলা হয়েছে। এছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে র‌্যাব। মাদকবিরোধী অভিযানে দুই দশকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ হাজার ৮৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মূল্যের মাদক জব্দ করা হয়। জাল নোটের কারবারি ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ১৩৪১টি অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। এসব অভিযানে ২ হাজার ১৯৯ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।

মানব পাচার রোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে র‌্যাব। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯৮ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১ হাজার ৪১৯ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অপহরণের শিকার ৩ হাজার ৭৯১ জনকে উদ্ধার ও এসব ঘটনায় জড়িত ৫ হাজার ২৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাদের মধ্যে জেএমবির সদস্য ১ হাজার ৪৩৯ জন। ছিনতাইকারীদের উৎপাত দমনে র্যাব ৪ হাজার ৩৬১টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ১১ হাজার ৩৭৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৪১৭ জন চাঁদাবাজ, ৭ হাজার ৪৪০ জন প্রতারক ও ৩ হাজার ৩৪০ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন   ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাজাহান খানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি অভিযোগ তুলেছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ডিসির ব্রিজ এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান তার নিজ নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে শফিক খান অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে আসিবুর রহমান খান। শাজাহান খান তার ছেলেকে বিজয়ী করতে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। 

শফিক খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ১৫টি অভিযোগ দিলেও সে বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনাসহ ইলেকট্ররাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।’

সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ।
 
তবে সংবাদ সম্মেলনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শাজাহান খান এলাকায় থাকলেও তিনি নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করছেন না।’ শাজাহান খান নিজেও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনভাবেই নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করিনি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

শাজাহান খান   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন