লক্ষ্মীপুর
সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের রমাপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির পাশে পতিত জমিতে
দাঁড়িয়ে কাঁদছে কয়েকজন নারী, চোখে ভয় আর
আতঙ্কের ছাপ। জানা যায়,
স্থানীয় চেয়ারম্যানের তান্ডবের ভয়ে পুরো বাড়ি
হয়ে পড়েছে পুরুষ শূণ্য।
অভিযোগের
ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,
দাঁড়িয়ে থাকা নারীদের চোখে
পানি টলমল করছে । তাদের
হাতে এবং পায়ে মারধরের
চিহৃ দেখা মিলে।
ভুক্তভোগী
পারভিন আক্তার (৩৫), তাজনেহার (৪৫),
হাসিনা (৫৫) দাবি, জমি
থেকে ‘বেকু মেশিনে’ মাটি
কেটে ট্রাকে করে মাটি নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের
সত্যতা খুঁজতে গিয়ে জানা যায়,
গ্রাম্য পুলিশ টিটু ও নুরুল
আমিনসহ কয়েকজনের উপস্থিতিতে একাধিক ট্রাক ও বেকু দিয়ে
আবাদি জমি থেকে মাটি
কেটে নেয়া হচ্ছে। আর
এসব মাটি যাচ্ছে চেয়ারম্যানের
নির্দেশে মোশারফ হোসেন বিপ্লব নামের এক ধর্নাঢ্য ব্যক্তির
কবলে। টাকার কাছে জিম্মি যেনো
পুরো প্রক্রিয়া।
ভুক্তভোগী
পরিবারটি জানায়, ‘মোশারফ হোসেন বিপ্লব এলাকায় প্রভাবশালী ও ধর্নাঢ্য ব্যক্তি।
তিনি ওই জমি দখলের
চেষ্টা বহুবার করেছেন, আদালতে মামলা করলেও আদালত আমাদের দখলীয়, পৈত্রিক ও মালিকানা সম্পত্তির
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের পক্ষে
রায় দেন’।
সম্প্রতি
দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন চৌধুরী
জাবেদ জমিতে বিবাদ রয়েছে উল্লেখ করে সমাধানের আশ্বাসে
৮০ হাজার টাকা দাবি করেন।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে
তিনি গ্রাম্য চকিদার ও বখাটেদের সাথে
নিয়ে জোর করে মাটি
কাটা শুরু করেন। বাধা
দিতে গেলে পরিবারটির নারী
সদস্যদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর
করেন চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা।
বিষয়টি
ধামাচাপা দিতে পরিবারটিকে ভয়ভীতি
দেখানোসহ ধার্মিক ছদ্দবেসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন চেয়ারম্যান।
অথচ জমি দখলের এক ভিডিওকে দেখা
যায় জাবেদ চেয়ারম্যান শার্ট পরিহিত জাবেদ চেয়ারম্যান স্বশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।
এদিকে
দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন চৌধুরী
জাবেদের বক্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে
গেলে তা বন্ধ পাওয়া
যায়। মুঠোফোনে কল দিলে তিনি
সরাসরি কথা বলবেন বলে
কলটি কেটে দেন। পরে
তার ভাতিজা মাছুমের কাছে একটি কাগজ
পাঠান যাতে কোন পক্ষের
কোন স্বাক্ষরও নেই, মালিকানারও কোন
প্রমাণ নেই।
চেয়ারম্যান
হয়েও তার এধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। আর ভুক্তভোগী
পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের দাবী জানাচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান পুরুষ শূণ্য জমিতে বিবাদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।