ইনসাইড বাংলাদেশ

তালিকা হচ্ছে গডফাদারদের

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার গ্যাং লিডার বা পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতারে মাঠে নামছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের নাম ও রাজনৈতিক পদ-পদবিসহ বিস্তারিত পরিচয় চেয়ে বিভিন্ন থানায় চিঠি দিয়েছে ডিএমপি (ঢাকা মহানগর পুলিশ)। এতে বলা হয়েছে, এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন কিশোর গ্যাং সদস্যদের তালিকাও হালনাগাদ করতে।

পুলিশ বলছে, সম্প্রতি রাজধানীতে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনায় একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা মিলেছে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক চাঁদাবাজি, জমিদখল, আধিপত্য বিস্তারে একাধিক গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি বা সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ। এমনকি ইভটিজিং বা প্রেমঘটিত কারণেও কিশোরদের অনেকে হত্যার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে রাজধানীর অপরাধ পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। 

সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে কিশোর গ্যাং নিয়ে ডিএমপির একাধিক সভায় বিশদ আলোচনা হয়। এতে কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা বা পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। পরে ২০ মার্চ ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিভিন্ন থানা এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বা গডফাদারদের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। 

নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএমপির নির্ধারিত বিশেষ বাহকের মাধ্যমে তালিকা পাঠাতে হবে। এজন্য মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত ছকে মোট ৮ ধরনের তথ্য জানাতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় সক্রিয় গ্যাং লিডার ও গ্যাংয়ের নাম, অপরাধের স্পট, পৃষ্ঠপোষক বা বড় ভাই, সদস্য সংখ্যা, নাম, অপরাধের ধরন এবং মামলা ও জিডির পরিসংখ্যান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিএমপির নয় বিভাগের ডিসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে গত শনিবার (২৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিশেষ করে যারা কিশোর গ্যাং লালন-পালন করেন অর্থাৎ যারা গডফাদার তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে অনেকের নাম পাওয়া গেছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী বা অন্য কোনো পরিচয়ে কেউ ছাড় পাবে না’।  

পুলিশ জানায়, উত্তরা ছাড়াও মিরপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কিশোর অপরাধ দিন দিন আরও বাড়ছে। বিশেষ করে পল্লবী এলাকায় চুরি-ছিনতাই ছাড়াও কিশোর গ্যাংয়ের হাতে একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সর্বশেষ তুচ্ছ ঘটনার জেরে ১৫ মার্চ খুন হন পল্লবী মুড়াপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সাল। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার গলা কাটা রাব্বি ও টানা আকাশসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া বাট্টু নামের অপর এক কিশোর গ্যাং লিডারকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। 

সূত্র বলছে, মিরপুর ১১ নম্বরে কিশোর গ্যাং গডফাদার হিসাবে পুলিশের তালিকাভুক্ত পল্লবীর যুবলীগ নেতা আড্ডু ওরফে বিহারি আড্ডু। তার প্রধান সহযোগী আলোচিত শাহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন ওরফে কিলার সুমন। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। বিশেষ করে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ওরফে কসাই খলিল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্লা কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার হিসাবে পরিচিত। এর মধ্যে হত্যা মামলার আসামি কসাই খলিল গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে বেরিয়ে এলাকায় ফের তৎপরতা শুরু করেছেন। 

বক্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান মঙ্গলবার রাতে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালায়। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে কেউ তদন্ত করলে এসব অভিযোগের একবিন্দুও সত্যতা পাবে না। এছাড়া অভিযোগের বিষয়ে পল্লবীর যুবলীগ নেতা আড্ডু ওরফে বিহারি আড্ডু বলেন, তিনি একেবারেই নিরীহ লোক। এলাকার কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। 

সূত্র জানায়, চিড়িয়াখানা রোডে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করে কাউন্সিলর কাশেম মোল্লার অধীন একাধিক কিশোর বাহিনীর সদস্য। এছাড়া পল্লবী থানা ছাত্রলীগ নেতা মিলন ঢালী, ৯১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন, নুর ইসলাম এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ পুরোনো। 

জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের শেলটারদাতা হিসাবে সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে কাউন্সিলর মানিকসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের নাম আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বেকায়দায় পড়েন তারা। এ নিয়ে তাদের কয়েকজন রাজনৈতিক মাঠেও বেশ কোণঠাসা। 

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিদিনই জনতার আদালতে তাকে জবাবদিহি করতে হয়। ফলে চাঁদাবাজি বা কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তার বিরুদ্ধে মনগড়া এসব অভিযোগ ছড়াচ্ছে স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান শেখ। মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ বলছে, পল্লবীর একটি বড় অংশ বিহারি (মুক্তিযুদ্ধকালীন আটকে পড়া পাকিস্তানি) জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত। এছাড়া বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে বস্তি। প্রায় ৩৯টি ক্যাম্পে আটকে পড়া বাসিন্দাদের অনেকেই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া কর্মহীন কিশোর-যুবকদের অনেকেই স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে জড়িয়ে পড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে। এমনকি জমি দখল থেকে শুরু করে কিলিং মিশনেও তাদের কেউ কেউ ভাড়া খাটছে। 

সূত্র জানায়, দারুস সালাম এলাকায় সক্রিয় কয়েকটি কিশোর গ্যাং এলাকার সব ধরনের সংঘর্ষ এবং মারামারিতে জড়িত। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইসলাম এবং নাবিল খান এদের নেপথ্য মদদদাতা হিসাবে পরিচিত। এছাড়া দারুস সালাম এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন, রূপনগরে স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টেনু এবং কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম শেলটারদাতা ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি।

বক্তব্য জানতে চাইলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। কেন আমরা কিশোর গ্যাং শেলটার দেব। এলাকায় কিছু বখাটে ছেলেপেলে স্কুলকেন্দ্রিক ঘোরাফেরা করে। তাদের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। বক্তব্য জানার জন্য কল করা হলে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু, স্বেচ্ছাবেক লীগ নেতা ইসলাম ও নাবিল খানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত মোহাম্মদপুরেও কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা ব্যাপক। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে একাধিক কিশোর গ্রুপের চিকা মারা হয়। এমনকি রাত ১০টার পর এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক চলে যায় কিশোর গ্যাংয়ের দখলে। এ সময় মধ্যরাতে উচ্চ শব্দে হোন্ডা রেস থেকে শুরু করে তাদের নানা তৎপরতা দেখা যায়। 

স্থানীয়রা বলছেন, মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম প্রধান শেলটারদাতা স্থানীয় সন্ত্রাসী ইমন ওরফে গার্মেন্ট ইমন। এলাকার প্রায় সব গার্মেন্টের জুট ব্যবসা তার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে জুট না পেলে তার অধীন গ্যাংয়ের সদস্যরা সেখানে অতর্কিত হামলা চালায়। চাঁদ উদ্যানের অফিস থেকে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন ইমন। এছাড়া তিন রাস্তার মোড় এলাকায় তার একাধিক বাহিনী সক্রিয়।

কাঁটাসুর এলাকায় একাধিক কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। চাঁদ উদ্যান এলাকার কাওসার ওরফে মোল্লা কাওসার তার ডান হাত হিসাবে পরিচিত। এছাড়া রায়েরবাজার এলাকায় একাধিক কিশোর গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে যুবদল নেতা সাকিলের হাতে। তবে সম্প্রতি ডিবির হাতে আটক হন সাকিল। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতা দেনদরবার করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। 

স্থানীয় থানা পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুর এলাকার একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন র‌্যাবের সোর্স হিসাবে পরিচিত ইমন ওরফে অ্যালেক্স ও জ্যাক কল্লু। এছাড়া ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় সক্রিয় গ্যাং লিডার সজিব ওরফে ফর্মা সজিব সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। তবে আরেক গডফাদার আলমগীর ওরফে ফর্মা আলমগীর এখনো আছেন বহাল-তবিয়তে। 

সূত্র বলছে, রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ছিনতাই করে আসছে স্থানীয় পাটালী গ্রুপ নামের এক কিশোর গ্যাং। গ্রুপের সদস্য হিসাবে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী হাসান ওরফে লেংড়া হাসান, মাইকেল, কাবিলাসহ অন্তত ৭০-৮০ জন। এদের বেশিরভাগই একাধিক মামলার আসামি। পাটালী গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী রানা ওরফে গাল কাটা রানা। 

এছাড়া মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং ডায়মন্ড গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় যুবলীগ কর্র্মী হাসান ও আকাশ। এর সদস্য হিসাবে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহাগ, জুয়েল মিলনসহ ১৫-২০ জন। এছাড়া বাঁশবাড়ী এলাকায় ‘লাড়া দে’ নামের কিশোর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিম ও নাহিদ। 

বসিলা ৪০ ফিট এলাকা ‘দে ধাক্কা’ নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ফারুক খান ওরফে ওভি। স্থানীয় বখাটে শরিফুল জাকির, ফয়সাল, রুহুল আমিন ও ভাইস্তা রনিসহ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এদের বেশিরভাগই একাধিক মামলার আসামি। এছাড়া মোহাম্মদপুর লাউতলা এলাকায় সক্রিয় ‘ঠোটে ল’ গ্রুপ। একাধিক মামলার আসামি কথিত যুবলীগ নেতা মহিদুল ইসলাম মাহি এর গডফাদার। এছাড়া মেট্রো হাউজিংয়ে সক্রিয় কিশোর গ্যাং ‘লাল গ্রুপ’। এর গডফাদার হলেন স্থানীয় সন্ত্রাসী লাল ওরফে রক্ত লাল।

রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় ‘টক্কর ল’ নামের কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাসেল ওরফে বাত রাসেল এবং ফরহাদ নামের দুই সন্ত্রাসী। সম্প্রতি বেড়িবাঁধ এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী ব্যাঁকা রাসেল। এছাড়া ঢাকা উদ্যান, নবীনগর হাউজিং ও চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা। 

সূত্র বলছে, গাংচিল বাহিনীর গডফাদার লম্বু মোশাররফ দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে ফের তৎপরতা শুরু করেছেন এলাকায়। এমনকি যুবলীগের রাজনীতিতেও নামার চেষ্টা করছেন তিনি। স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত রুহুল আমিন, ভাগনে নাইম, জনি ওরফে রক্তচোষা জনি এবং রবিন ওরফে শুটার রবিন তার অন্যতম সহযোগী। এছাড়া আদাবর এলাকায় সেলিম ওরফে গিয়াস সেলিম, শেখেরটেক পিসি কালচার এলাকায় যুবলীগ নেতা শাহারুক জাহান ওরফে পাপ্পু এবং সুমন ওরফে ওয়ান পিস সুমনের নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক কিশোর গ্যাং। 

স্থানীয় অনেকের ভাষ্য-এলাকার উঠতি বয়সিদের নিয়ে একাধিক কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান ওরফে রাজিব। কিন্তু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে রাজিব গ্রেফতার হলে তার অধীন কয়েকটি গ্রুপ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। তবে রাজিব সম্প্রতি কারামুক্ত হলে ফের সক্রিয় হয়েছে কয়েকটি গ্রুপ। এর মধ্যে ‘কব্জি কাটা’ গ্রুপের অত্যাচারে রীতিমতো অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। 

কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে শাসক দলের নেতারা বলছেন, অনেকেই দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে লিপ্ত। এরা আসলে দলের কেউ নয়। এরা প্রকৃত অপরাধী হলে দল কখনো এদের দায় বহন করবে না। 


গডফাদার. কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ হচ্ছে’

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গোপালগঞ্জে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। এসময় তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যাান্ট পরিদর্শন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জনবল সংকট   স্বাস্থ্য মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মানুষের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ২ দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। 


বাজুস   স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি

ময়মনসিংহ সদরের আলালপুরে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী ১ নারীসহ ২ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে নালিতাবাড়িগামী একটি বাসের সাথে ময়মনসিংহগামী অপর একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা স্থলেই ১ নারী ও ১ পুরুষ মারা যায়।

 

তবে, হতাহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

এঘটনার সাথে জড়িত চালক পালিয়ে গেছে এবং বাসটিকে আটক করা হয়েচে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।


সড়ক দুর্ঘটনা   বাস-সিএনজি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পুরান ঢাকায় ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বংশালে বাসার ছাদ থেকে নিচে পড়ে উরাইশিদ ইসলাম আয়ান (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বংশাল আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিশুটির চাচা মকবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে আয়ানদের বাড়ি। তারা বাড়িটির ৪র্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। সে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আমিনুল ইসলাম ইমন বংশালে মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আয়ান ছিল বড়’।

তিনি আরও বলেন, সারা দিন বাসাতেই ছিল আয়ান। দুপুরে তিনি জানতে পারেন, বাড়ির ৬ তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে সে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলেও চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানায় জানানো হয়েছে।


শিশু মৃত্যু   ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরেই চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) বাস্তবায়নে প্রকল্পটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে আগামী বছর। তবে এর আগে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। পরে দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে।

চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে আগামী অক্টোবরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার দিকে যাচ্ছি। অক্টোবরে প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রোসাটম)। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি(+) ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আরো প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য রাশিয়ায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর এর পরিচালনার কাজে যুক্ত হবেন।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের টিম ওয়ার্ক ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে জ্বালানি আসা পর্যন্ত সব কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরো বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর তারা কাজ করবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুইটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট অর্থাৎ দুইটি ইউনিট থেকে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসটামের প্রধানের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনাও শুরু হয়েছে।


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র   রোসাটম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন