বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার নতুন করে ভারত বিরোধীতা বা ভারত বিদ্বেষ
উস্কে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে।
ভারতের বিরুদ্ধে রাজনীতির মাঠে বিষেদাগার ছড়ানোর জন্য অনেক নেতাদেরকে দায়িত্ব দেয়া
হয়েছে। সে সমস্ত নেতারা এখন প্রতিদিন ভারতের আগ্রাসন, নিপীড়ন, নির্যাতন ইত্যাদি নানা
রকম অভিযোগ বিষয়ে কথা বার্তা বলছেন। আর ভারতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে একাট্টা
করার কাজও এখন চলছে। আর এরকম একটি পরিস্থিতি বাংলাদেশে যে স্ব-প্রণোদিতভাবে তৈরি হয়নি
তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ভারত বিরোধী রাজনীতিকে উস্কে দেওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি দেশের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকার কথা ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এ দুই দেশ হলো চীন এবং পাকিস্তান। চীন এবং পাকিস্তান দুটি দেশই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো। সেময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সমর্থন করেছিলো চীন। আর পাকিস্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য চালিয়ে ছিল ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যা।
নয় মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে নিরীহ বাঙালিদের উপর লুণ্ঠন, নির্যাতন, ধর্ষণ অব্যাহত রেখেছিল। এখন ভারত বিরোধীতার জন্য এই দুই দেশ আবার জোট বেধেছে বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিকরা যোগাযোগ করছেন। শুধুমাত্র যে চীনের রাষ্ট্রদূত তাই নয়, চীন দূতাবাসের অন্যান্য নেতারাও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন এবং এই সমস্ত আলাপ-আলোচনার ফলশ্রুতিতে দেখা যাচ্ছে যে, ভারত বিরোধীতা আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে। যেমন- আমরা লক্ষ্য করি যে, রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে চীনের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার যোগাযোগের কথা এবং সেই যোগাযোগের পর থেকেই রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য পোড়ানো শুরু করেছেন। এই বিষয়টি কূটনৈতিক অঙ্গনে এখন বেশ আলোচনায় এসেছে। শুধু রুহুল কবির রিজভী একা নয়। বিএনপির আরো কয়েকজন নেতার সঙ্গেও চীন যোগাযোগ করছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গেও এখন বিএনপির নতুন করে যোগাযোগের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি, কূটনৈতিকদের সম্মানে বিএনপি একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল ওয়েস্টিন হোটেলে। সেই ইফতার পার্টিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে বিএনপির অনেক নেতাদের সঙ্গে তাকে নিবিড়ভাবে আলাপ আলোচনা করতে দেখা গেছে।বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ ছড়ানোর চীন এবং পাকিস্তান অভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীন পাকিস্তানের বিশ্বস্ত এবং ঘনিষ্ট মিত্র। পাকিস্তান দেওলিয়ার মুখে থাকা অবস্থায় চীন তাকে ব্যাপক সহায়তা করেছে এবং মার্কিন বলয় থেকে পাকিস্তানকে মুক্ত করার জন্য ইমরান খানের সঙ্গে চীন আলাদা একটি সখ্যতা তৈরি করেছিল।
পাকিস্তান এখন অর্থনৈতিক সঙ্কটে দেওলিয়া প্রায়, এ অবস্থায় চীন কোন ভাবে সাহায্য দিয়ে দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। আর একারণেই বাংলাদেশে চীনের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য পাকিস্তান কাজ করছে।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। বিশেষ করে, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর বেশ কিছু পকেট রয়েছে যাদের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন রকম কাজ করে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। এইরকম পকেটগুলোকে এখন চীনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
চীন মনে করে যে, বাংলাদেশে যদি ভারত বিদ্বেষ তৈরি করা যায় তাহলে সরকার বাধ্য হবে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গাঢ় করতে এবং ভারতের সঙ্গে একটি দূরত্ব তৈরী করতে। আর সেটি করার জন্যই তারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা কলাকৌশল এবং পাকিস্তানি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন বলে একাধিক সূত্র ইঙ্গিত করেছে।
তবে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ
সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতিতে বিশ্বাসী। কাজেই, বাংলাদেশে
কেউই বিদ্বেষ ছড়িয়ে লাভবান হবে না। কারণ বাংলাদেশের জনগণ বিদ্বেষকে ঘৃণা করে। এবং ঐতিহাসিকভাবেই
যেকোন প্রতিহিংসা বা ঘৃণার বিরুদ্ধে।
চীন পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ ভারত বিরোধীতা
মন্তব্য করুন
হিট স্ট্রোক তীব্র তাপদাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ শিল্পমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া।