ইনসাইড বাংলাদেশ

সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে তাজউদ্দীন

প্রকাশ: ০৮:১৭ এএম, ৩১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা হয়ে ৩০ মার্চ সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা স্থানীয় বিএসএফের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে একটি বার্তা পাঠান। বার্তায় তাঁরা জানান, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতা হিসেবে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তাঁরা ভারতে প্রবেশ করতে চান। ভারত সরকার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা ভারতে প্রবেশ করতে রাজি আছেন।

বার্তা পাঠানোর পর ঘন্টা কয়েক পরে স্থানীয় বিএসএফ কমান্ডার এসে তাঁদের বিএসএফের ছাউনিতে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে সেখানে আসেন বিএসএফের আঞ্চলিক প্রধান গোলক মজুমদার। তিনি তাজউদ্দীন আহমদ ও আমীর-উল ইসলামকে নিয়ে যান কলকাতার দমদম বিমানবন্দরে।

গভীর রাতে তাঁরা যখন কলকাতায় গিয়ে পৌঁছান, তখন ৩১ মার্চের প্রথম প্রহর। সেখানে বিএসএফের সর্বভারতীয় প্রধান কে এফ রুস্তামজীর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়। তিনি তাঁদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

চট্টগ্রামের পতন

পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের অধিকাংশ সেনানিবাস ও ছাউনি ৩১ মার্চ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সরে যান। এই দিনটিতেও বহু জেলা ও মহকুমা শহর মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিপুলসংখ্যক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
৩০ মার্চ গভীর রাত থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানে মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে শুরু করে। তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের তীব্র আক্রমণের মুখে চট্টগ্রাম শহর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হন।

ভারতের একাত্মতা ও সংহতি

দিল্লিতে লোকসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর নিজের, ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, 'আমাদের ভূখণ্ডের একেবারে সন্নিকটে নিরস্ত্র ও নিরপরাধ মানুষের ওপর যে নজিরবিহীন নির্যাতন চালানো হচ্ছে, আমাদের জনগণ তার তীব্র নিন্দা না জানিয়ে পারে না।'
বিবৃতিতে ইন্দিরা গান্ধী অবিলম্বে পূর্ববঙ্গের মানুষের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানান। এ জন্য পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সারা বিশ্বের জনগণ ও সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
ভারতের লোকসভা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভারতীয় জনগণের পূর্ণ সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করে। প্রস্তাবে বলা হয়, পূর্ববঙ্গের সাম্প্রতিক ঘটনায় লোকসভা গভীরভাবে দুঃখিত ও উদ্বিগ্ন। ভারতের সীমানার এত কাছের নাক্কারজনক বিয়োগান্ত ঘটনায় লোকসভা উদাসীন থাকতে পারে না। নিরীহ ও নিরস্ত্র জনগণের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চলছে, ভারতের জনগণ দ্বিধাহীন ভাষায় তার নিন্দা করছেন।

একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য পূর্ববঙ্গের জনগণের সূচিত সংগ্রামের প্রতি লোকসভার অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহানুভূতি রয়েছে। গণহত্যার শামিল এ সুপরিকল্পিত হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য লোকসভা বিশ্ববাসী ও বিশ্বের বিভিন্ন সরকারের কাছে পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহবান জানায়।
লোকসভা আশ্বাস দিয়ে বলে, বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম ও ত্যাগ ভারতের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং সহৃদয় সহানুভূতি পাবে।

বাংলাদেশের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গে হরতাল

বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা জানিয়ে ৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল হয়। স্বল্প ও দূরপাল্লার কোনো ট্রেন চলেনি। বিমানও নয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটিকে শোক দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। সকালে ও বিকেলে অনেক মিছিল বের হয়। যুব কংগ্রেস পালন করে অনশন।

কুষ্টিয়ায় বীরত্বপূর্ণ জয়

কুষ্টিয়ায় আগের দিন শুরু হওয়া যুদ্ধ এই দিনও অব্যাহত ছিল। দিনভর যুদ্ধ শেষে আনুমানিক জীবিত পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা ছিল ৪০-৪৫। রাতের আঁধারে তারা দুটি জিপ ও একটি ডজ গাড়িতে করে ঝিনাইদহের দিকে পালাতে চেষ্টা করে। মুক্তিযোদ্ধারা শৈলকুপার সেতুর গোড়ায় গর্ত খুঁড়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। তাদের প্রথম দুটি জিপ সেই গর্তে পড়ে মেজর শোয়েবসহ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটে। বাকিরা আশপাশের গ্রামে পালিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা, স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ জনতা শত্রুসেনাদের নিশ্চিহ্ন করে। তাদের হাতিয়ার মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।

রাতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আতাউল্লাহ শাহ জনতার হাতে ধরা পড়ে। তাকে ঝিনাইদহে পাঠানো হয়। পরদিন ১ এপ্রিল কুষ্টিয়া সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত হয়।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি যোদ্ধাদের প্রথম এই গুরুত্বপূর্ণ বীরত্বগাথা নিয়ে ড্যান কগিন ১৯ এপ্রিল সংখ্যা টাইম ম্যাগাজিনে প্রচ্ছদকাহিনি লেখেন।

যশোরের সালুয়া বাজার ও চৌগাছায় প্রতিরোধযুদ্ধ

মাছলিয়া সীমান্ত ক্যাম্পের একমাত্র বাঙালি সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহমদের নির্দেশনায় প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনা ও ইপিআর সেনারা প্রথমে সালুয়া বাজার এবং পরে চৌগাছায় যশোর সেনানিবাসের দিকে মুখ করে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক তারা রাস্তাঘাট অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সুবেদার আহাম্মেদ উল্লাহ তাঁর দল নিয়ে যশোর-কুষ্টিয়া সড়কের হজরতপুর সেতু উড়িয়ে দেন।

কুষ্টিয়া ইপিআর উইংয়ের অধিনায়ক বাঙালি মেজর আবু ওসমান চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রথম ইস্ট বেঙ্গলকে দেন। তিনি তাদের দুটি সামরিক জিপ, কয়েকটি হেভি মেশিনগান, ট্যাংকবিধ্বংসী কামান এবং গোলাবারুদও জোগাড় করে দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ইসলামাবাদে দূতাবাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ, তারা জানতে পেরেছে যে মার্কিন সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের বৈধ কার্যক্রমে অসংগতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।



সূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র, পঞ্চদশ খণ্ড, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, আনন্দবাজার পত্রিকা, ভারত, পূর্বোক্ত


৩১ মার্চ ১৯৭১   মুক্তিযুদ্ধ   স্বাধীনতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন