ইনসাইড বাংলাদেশ

’মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে তারাই এখন লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন’

প্রকাশ: ০৯:৩১ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভুমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। পাঠকের আগ্রহ বিবেচনায় মূল প্রবন্ধটি প্রকাশ করা হল।

‘মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ নিয়ে কথা বলার শুরুতেই আমি গতকাল ১ এপ্রিল রয়টার্সের একটি তথ্য উপস্থাপন করতে চাই। গতকাল রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধে এপর্যন্ত ১৩৭ জন সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। যে সব সংবাদকর্মী গাজায় জীবন দিয়েছেন, তারা প্রত্যেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন বলে আমি মনে করি। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এই সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ টি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯ ধারায় বলা হয়েছে ‘প্রত্যেক মানুষের মতামত পোষণ এবং মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। অবাধে মতামত পোষণ এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে যে কোন মাধ্যমের মারফত ভাব এবং তথ্য জ্ঞাপন, গ্রহণ এবং সন্ধানের স্বাধীনতা এ অধিকারে অন্তর্ভুক্ত।’ কাজেই প্রত্যেক গণমাধ্যম কর্মী একই সাথে একজন মানবাধিকার রক্ষকও বটে। অবাধ তথ্য প্রবাহের জন্য গাজায় যারা জীবন দিয়েছেন, তারা বিশ্বে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিশ্ব গণমাধ্যম তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর বিশ্বজুড়ে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত বছর সংবাদ প্রকাশের জন্য নিপীড়িত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের সংখ্যা সহস্রাধিক। বিশ্বে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্যই তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিপীড়িত প্রত্যেক সাংবাদিক একজন ‘মানবাধিকার যোদ্ধা’।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এমন এক সময় এরকম একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যখন সারা বিশ্বে মানবাধিকার সংকটে। মানবাধিকার বিপন্ন। মানবতার ঘাতকরাই আজ বিশ্বে ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে। একদিকে যুদ্ধ অন্যদিকে কতৃত্ববাদী শাসন, ক্ষমতাবানদের দাপট, সমাজে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে জটিল এবং নাজুক করে তুলেছে। বিশ্বের কোন দেশেই এখন মানবাধিকার সুরক্ষিত নয়। মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে তারাই এখন মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন। দেশে দেশে ক্ষমতাসীনদের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আজ এক স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দাড়িয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবার ফলে সুশাসন, গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিতা চ্যালেঞ্জের মুখে পরেছে। মানবাধিকার সুরক্ষিত নয় জন্যই বিশ্বে বৈষম্য বাড়ছে। বাড়ছে দারিদ্র, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ। আমরা যদি গভীর এবং নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখবো, বিশ্বে যে সঙ্কট, সংঘাত, সন্ত্রাস তার প্রধান কারণ মানবাধিকারের সুরক্ষার ঘটতি। আমরা যদি বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে এগিয়ে নিতে পারি তাহলেই আমরা একটি মানবিক বিশ্ব বিনির্মানে এগিয়ে যেতে পারবো। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? মানবাধিকার যারা লঙ্ঘন করে, তারা ক্ষমতাবান, প্রভাবশালী। মানবাধিকারকে অবজ্ঞা এবং ভুলুণ্ঠিত করেই অনেকে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখেন। মানবাধিকারের লড়াই তাই আসলে ক্ষমতাবানদের সঙ্গে দূর্বলের লড়াই। অত্যাচারীদের সাাথে নিপীড়িতের লড়াই। মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগীর সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুবিধা বঞ্চিতের লড়াই।

কিছু গোষ্ঠী তাদের স্বার্থে বিপুল সংখ্যক মানুষের মানবাধিকার হরণ করে। মানবাধিকারের শত্রুরা সংখ্যায় কম হলেও তারা ক্ষমতাবান, প্রভাবশালী। একারণে বিশ্বে আজ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই ক্রমশ দুরূহ হয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নিবেদিত প্রাণ সংগঠক, সাধারণ জনগণ এবং গণমাধ্যম। মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যম একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। একারণেই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অন্যতম লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে গণমাধ্যম। বিশ্বে যে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যতো খারাপ সেই দেশে গণমাধ্যম ততো শৃঙ্খলিত। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশী সেখানে গণমাধ্যম ততো সংকুচিত। মানবাধিকার পরিস্থিতে একটি দেশে যতো নাজুক সেই দেশে গণমাধ্যম ততোটাই ঝুঁকিতে। তাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা-একে অন্যের পরিপূরক। বিকশিত, মুক্ত, স্বাধীন এবং নির্ভীক সাংবাদিকতা যেমন মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উন্নত করতে সহায়তা করে। তেমনি উন্নত মানবাধিকার পরিস্থিতি স্বাধীন সাংবাদিকতার এগিয়ে নেয়। মুক্ত সাংবাদিকতা ছাড়া যেমন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব, ঠিক তেমনি সুরক্ষিত মানবাধিকার ছাড়া স্বাধীন সাংবাদিকতা অলীক কল্পনা। তাই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লড়াই একই সূত্রে গাঁথা।

মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যম কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে খানিকটা আলোকপাত করার চেষ্টা করবো। মানবাধিকার সুরক্ষার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো জনগণ। যে দেশে জনগণ মানবাধিকারের প্রশ্নে যতো সচেতন, সেই দেশ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সুরক্ষায় ততো এগিয়ে। সমাজ ও সচেতন জনগোষ্ঠীই মানবাধিকার সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ঐক্যবদ্ধ জনগণই মানবাধিকার সুরক্ষার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বিশ্বের সব মহান, জনপ্রিয় নেতারাই ছিলেন মানবাধিকারের পক্ষে। তারা জনগণকে সচেতন করে, উজ্জীবিত করে এবং উদ্বুদ্ধ করেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আব্রাহাম লিংকন, নেলসন ম্যান্ডেলা কিংবা মহাত্মা গান্ধী তার সবচেয়ে বড় উদহারণ। তাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের আসল তাৎপর্য ছিলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। আব্রাহাম লিংকনের দাস প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই, নেলসন ম্যান্ডেলার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কিংবা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন- আসলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের আলোক বর্তিকা। তবে, বিশ্বে মানবতার সংগ্রামের বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে এক মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদ্দয় আসলে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের সংগ্রামের এক বিজয়। জাতির পিতা জনগণকে জাগরিত করতে পেরেছিলেন বলেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল। রাজনৈতিক নেতারা যেমন মানবাধিকারের পক্ষে জনগণকে উদ্বুদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন, তেমনি বিভিন্ন সংগঠনও জনগণকে মানবাধিকারের পক্ষে সচেতন এবং উদ্বুদ্ধ করার কাজ করে। আর গণমাধ্যম জনগণ এবং মানবাধিকার সুরক্ষার নেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরী করে। গণমাধ্যমের মাধ্যমেই নেতাদের রাজনৈতিক বাণী জনগণের কাছে পৌছে। গণমাধ্যমই মানবাধিকারের পক্ষে জনগণকে সচেতন করে। আমি মনে করি মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমের কাজ বহুমাত্রিক।

প্রথমত, জনগণকে সচেতন করা: গণমাধ্যমকে মানবাধিকার সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ করে। একদিকে গণমাধ্যম যেমন রাজনীতিবীদ, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংগঠন সমূহের বক্তব্য প্রচার করে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। তেমনি মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে জনগণকে সচেতন করে। মানবাধিকার সুরক্ষিত হলে জনগণ কিভাবে লাভবান হবে, তা গণমাধ্যমের দ্বারাই প্রচারিত হয়। 

দ্বিতীয়ত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরা এবং সত্য অনুসন্ধান: যেকোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পাদ প্রদীপে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণমাধ্যম কর্মীরা সে তথ্য সঠিক এবং বস্তু নিষ্ঠ ভাবে উপস্থাপন করলে প্রতিকার সহজ হয়। লঙ্ঘনকারীকে আইনের আওতায় আনা যায় দ্রুত।

তৃতীয়ত, সরকার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্টদের সচেতন করা: যাদের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শঙ্কা থাকে তারা যদি সচেতন এভং দায়িত্বশীল হন তাহলে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজটি সহজ হয়। মানবাধিকার সম্পর্কে অনেক তথ্য হয়তো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জানেন না। অনেকে অসচেতন এবং অজ্ঞতার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মানবাধিকার সুরক্ষা বিষয়ে সচেতন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

চতুর্থত, নীতি নির্ধারকদের প্রভাবিত করা: মানবাধিকার বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের প্রভাবিত করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকার যেন মানবাধিকারের পক্ষে আইন, নীতি ও কৌশল পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেজন্য গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পঞ্চমত, জনমত সৃষ্টি: মানবাধিকার বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অমানবিক, মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গণমাধ্যমে এনে তার বিরুদ্ধে একটি জনমত সৃষ্টি করার কাজ গণমাধ্যম করতে পারে। একইভাবে মানবিক কোন কর্মকান্ডকে তুলে ধরে মানবাধিকারের পক্ষে জন অবস্থানকে একীভূত করার ক্ষেত্রেও গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এভাবে মানবাধিকারের পক্ষে একটি সমাজ এবং রাষ্ট্রকে জাগরিত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং মূল্যবান। বিশ্বে যেখানেই মানবাধিকারের পক্ষে জাগরণ হয়েছে সেখানে সেই জাগরণে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর একারণেই মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকতা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানবাধিকার সাংবাদিকতার দীর্ঘ ঐতিহ্য ও চর্চা রয়েছে। তবে তা পরিকল্পিত এবং সুবিন্যস্ত ভাবে হয়নি। বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকেরা স্ব উদ্যোগে এধরনের কাজ করছেন। মানবাধিকার সাংবাদিকতা এখনও গণমাধ্যমগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিক ভাবে ‘মানবাধিকার’ ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে আসে না। কেবল একটি বড় ঘটনা হলেই সেটি গণমাধ্যমে জায়গা পায়। তা নিয়ে কিছুদিন হৈ চৈ হয়। এরপর অনেক গণমাধ্যম এই ঘটনার ফলোআপও করে না। বাংলাদেশে মানবাধিকার সাংবাদিকতা একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় বিপর্যয়ের উপর নির্ভর করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টের উপরও মানবাধিকার সাংবাদিকতা নির্ভরশীল। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র মানবাধিকার সংক্রান্ত যে সব রিপোর্ট প্রকাশ করে সেগুলো গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। তবে মানবাধিকার সাংবাদিকতায় এখনও অনুসন্ধানী ধারার উপস্থিতি খুবই কম। এর কারণ হলো গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় নীতি এবং লোকবল ও আর্থিক সংকট এবং ভয়ভীতি। বাংলাদেশ সাংবাদিকতায় রাজনীতি, অর্থনীতি, অপরাধ, আইন শৃঙ্খলা ইত্যাদি প্রাধান্য পায়।

গণমাধ্যম এসব বিষয়ে মনোযোগী আগ্রহী একারণে যে তারা মনে করে এসব সংবাদ দিয়ে চটজলদি পাঠকের কাছে পৌছানো যায়। এখনও বাংলাদেশের প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে লোকবলের স্বল্পতা রয়েছে। তাই মানবাধিকার ইস্যুতে বিশেষায়িত সাংবাদিকতা এখনও বাংলাদেশে বিলাসিতা। এরপরও আগ্রহী সাংবাদিকদের অনেকে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু এরকম সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে যে সময় এবং অর্থ দরকার তা প্রতিষ্ঠান দেয় না। এধরনের সাংবাদিকতায় অনেক ঝুঁকি আছে। প্রভাবশালীদের রোষানলের ভয় থাকে। অনেকে ভয়ে এধরনের সাংবাদিকতায় আগ্রহী হন না। তারপরও অনেকে স্ব উদ্যোগে এবং আগ্রহে বেশ কিছু ভালো প্রতিবেদন তৈরী করছেন। কিন্তু মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা এবং জাগরণ সৃষ্টির জন্য এটি যথেষ্ট নয়। এজন্য মানবাধিকার সাংবাদিকতাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে মানবাধিকার সাংবাদিকতা বিকাশে আমি কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করছি:

১. মানবাধিকার সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন মানবাধিকার বিষয়ে রিপোর্ট প্রস্তুতির আগেই একজন গণমাধ্যম কর্মী বিষয়টি এ সম্পর্কিত আইন, নীতি সম্পর্কে জানেন। এক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। মানবাধিকার সাংবাদিকতা বিষয় একটি নিয়মিত ফেলোশীপ এখন সময়ের দাবী। 

২. মানবাধিকার সাংবাদিকতার জন্য আইনী সুরক্ষা দিতে হবে। তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরী করতে গিয়ে যেন সাংবাদিক হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। 

৩. সঠিক তথ্য প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে একজন গণমাধ্যম কর্মী সঠিক তথ্য পান না। এই প্রতিবন্ধকতা সরাতেই হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে একটি তথ্য ভান্ডার তৈরীর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

৪. নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকার সাংবাদিকতা করেন এরকম গণমাধ্যম কর্মীদের একটি ফোরাম বা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা তথ্য আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত মান উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা করবেন।

সবশেষে আমি বলতে চাই, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য ছিলো মানবাধিকার সুরক্ষা। মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মানই ছিলো জাতির পিতার স্বপ্ন। যেটি করতে হলে সংবিধানে ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকারকে রক্ষা করতেই হবে। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা প্রতিপালন করতে হবে। আর এটি করার ক্ষেত্রে ‘গণমাধ্যম’ ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করতে হবে। মুক্ত গণমাধ্যমই মানবাধিকার সুরক্ষার চাবি। 


মানবাধিকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান আমলারা। একই সঙ্গে দেশে অবস্থিত সরকারি এবং এমপিওভুক্ত কলেজে ব্যাপকভাবে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুকরণ বন্ধ করে বিদ্যমান অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে প্রতি বছর নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিবসে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মুক্ত আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন কর্মকর্তারা। এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক। শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে। 

 

নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।

 

আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০) ।

 

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ‘ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি সহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’ 

 

জহুরুল আরও জানান, ‘আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।'

 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

 

মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, ‘গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।’ 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, ‘বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিন জন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুই জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেঁতলে গেছে।’

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'


বয়লার বিষ্ফোরন   চালকল   শ্রমিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩, তদন্তে ২ কমিটি

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

আরও পড়ুন: দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, ‘আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ’।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে, শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এর আগে, গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


দুই ট্রেন সংঘর্ষ   স্টেশন মাস্টার   তদন্তে কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় মালবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার কাজের সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।

তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে আউটার সিগন্যালে পৌঁছানোর পর লাইন ক্রসিং করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের কাজীবাড়ি ছোট দেওড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকসহ আহত ৪জনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও আহত থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।


ট্রেন সংঘর্ষ   বিজিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন