ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক ড্রোন দিয়ে মনিটরিং হবে: ডিআইজি

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো ঈদ যাত্রায় ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনিসুর রহমান। 

তিনি বলেন, মহাসড়কে কোনো প্রকার থ্রি হুইলার (তিন চাকার যান) ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। এগুলো নিয়ে আমরা খুব শক্ত অবস্থানে আছি। কেউ চালানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও সংযোগ সড়কগুলো সিল (বন্ধ) করে দেওয়ায় থ্রি হুইলার ঢুকতেই পারবে না। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিআইজি বলেন, ‘এবার মহাসড়কও যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো আছে। আমি মনে করছি এবারের ঈদ যাত্রা অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে স্বস্তির ও সুন্দর হবে। আমি ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কটি কয়েকবার ঘুরে দেখেছি ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি। সেই অনুযায়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে, ৭০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে যার তদারকিতে থাকবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও মোবাইল টিম, ক্রস পেট্রোলিং, যাত্রাপথে কোনও গাড়ি নষ্ট হলে তা দ্রুত সরিয়ে নিতে ৬টি রেকারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বালুবাহী ট্রাক বা এই জাতীয় কোনো পরিবহন চলতে দেওয়া হবে না’। 

এক প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি আনিসুর বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির প্রাদুর্ভাব ঘটে। এটা নিয়ে আমরা গত ৫-৭ বছরের তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। শুধু সিরাজগঞ্জ নয় রাজশাহী বিভাগের সব জেলাতেই একযোগে ঈদ পরবর্তী পর্যন্ত এটা নিয়ে বিশেষ অভিযান চলছে। যার ফলে যতপ্রকার প্রতারক পার্টি আছে তারা কেউই এবার ঈদে সুবিধা করতে পারবে বলে মনে করি না’। 

অন্য প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ থাকবে চালক যেন খুবই সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালান। কেউ যেন ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে হাত না দেন এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালানোর চেষ্টা না করেন। নাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যাত্রা নিরাপদ, সুন্দর ও যানজটমুক্ত রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেব’। 

এসময় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সকল সার্কেলের অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার, সকল থানার ওসি, ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক, হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শকগণ ছাড়াও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান রাসেল বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত পুরো মহাসড়কেই চার লেন চালু করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে এ জন্য হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায়, যেখানে ইন্টারচেঞ্জ হবে সেখানে কংক্রিটের রাস্তা ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতিবছর যানজট বেশি দেখা গেলেও এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেওয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্যান্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে আশা করছি এ বছর যানজট হবে না। এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেকটা স্বস্তিদায়ক ও ভোগান্তিমুক্ত হবে’। 

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. জাফর উল্লাহ রুবেল বলেন, আমরা ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিগ্ন করতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাব। এবার মহাসড়কের অবস্থা ভালো আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলাদা আলাদা টিম করে কাজ করা ছাড়াও মোবাইল টিম কুইক রেসপন্সে কাজ করবে। আমরা মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখা ছাড়াও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাব। 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে থানার আওতাধীন মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। মহাসড়কে শুধু হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেই আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে ১৭টি টিম কাজ করবে। এছাড়াও ৭টি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম ও দুইটি পেট্রোলিং মোবাইল টিম জরুরিভাবে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নির্মাণ করা হবে ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে সবকিছু মনিটরিং করা হবে। 

তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের প্রায় ১৫০ জন সদস্যের বাইরেও মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ইউপির চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে ৬০ জন কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ৩০ জন করে দুই শিফটে পুলিশকে সহায়তায় কাজ করবে। এছাড়া আমরা রেকারসহ অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি অস্থায়ী ভিত্তিতে মেকার পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছি। যারা কোনও গাড়ির সমস্যা হলে সমাধানে কাজ করবে। মহাসড়কের অবস্থাও ভালো আছে, যার ফলে এবার যানজটের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সামিউল আলম বলেন, ‘ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা, নিশ্চিন্তে যাতায়াত ও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭০১ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এরমধ্যে ৫০টি পিকেট টিম, ২০ মোটরসাইকেল মোবাইল টিম, ২টি পেট্রোলিং (গাড়ি) মোবাইল টিম, ৭টি নৌ টহল, ৭টি রেলস্টেশন পিকেট টিম, একটি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে। এছাড়া মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পরিদর্শকদের নেতৃত্বে ৬টি তদারকি মোবাইল টিম কাজ করবে। আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে জেলা পুলিশ ঈদ উপলক্ষ্যে মহাসড়কে কাজ শুরু করবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা’। 


ডিআইজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে যা বললেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৩ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। 

সাক্ষাতকারে মোহাম্মদ আরাফাত বলেছেন, চরমপন্থি ও সন্ত্রাসীসহ তৃতীয়পক্ষ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদের সন্ত্রাসী বা অরাজকতা সৃষ্টিকারী বলছি না। তৃতীয় পক্ষ যারা এই আন্দোলনে ঢুকে এ সব কিছু শুরু করেছে।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু লোক আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যাতে তারা ফায়দা লুটতে পারে এবং সরকার পতন ঘটাতে পারে।’

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা সরকার এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, নিহত, হতাহত ও আহতের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ, পুলিশ, বিক্ষোভকারী বা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে চাই না।

তথ্যমন্ত্রী জানান, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। যাতে এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আরাফাত বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) শুধু জনগণকে রক্ষা করছেন।’ 

কোটা আন্দোলন   আল জাজিরা   তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ এ আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশে কারা, কেন বিক্ষোভ করেছেন জানতে চিঠি দিল সরকার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারা, কেন এসব বিক্ষোভ করেছেন তা জানতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে, এমন খবর আমরা জেনেছি। তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা জানতে চেয়েছি কারা, কী বিষয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে মিশনগুলো যে দেশে কাজ করে, সেখানকার সরকারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এত দিন আমরা আমাদের মিশনগুলোর মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি তাদের অবহিত করেছি যাতে তারা তাদের দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়। এবার আমরা তাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন এসেছে। সে প্রতিবেদনের পাল্টা হিসেবে আমাদের বক্তব্য যাতে তুলে ধরে, সেটি চিঠিতে বলা হয়েছে।’

কোটা আন্দোলন   বিক্ষোভ   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাইরাল হওয়া নিজের ছবি নিয়ে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ১২:৩১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের কয়েকটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সমস্ত ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। তবে এ সব নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সারজিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সারজিস বলেছেন, আপনারা যারা কিছু না জেনে ২-৩টা ছবি দেখে মন মতো অনেক কিছু বলে ফেলছেন, আপনাদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের অন্ধ ভক্তদের কোনো পার্থক্য নেই। ক্ষমতায় আসলে আপনিও তাদের মতো হবেন তাতে সন্দেহ নেই। বরং নিজের বিবেকবোধকে কাজে লাগান, দলান্ধ না হয়ে ব্যক্তিত্ব আর কাজ দিয়ে যাচাই করুন।




কোটা আন্দোলন   সারজিস আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আটক

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং আবু বাকের মজুমদারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন   কোটা আন্দোলন   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   ডিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন করে বিদেশি চাপ আসছে সরকারের উপর?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে যে সন্ত্রাস, নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য, মিথ্যা এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে নজিরবিহীনভাবে। বিশেষ করে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনে এ ঘটনাগুলোকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য, গুজব এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানারকম বানোয়াট তথ্য এবং ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। আর এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আবার বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, না হলে আবার বাংলাদেশের উপর মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি বিষয়ে বিদেশি চাপ আসতে পারে বলে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

উল্লেখ্য যে, নির্বাচনের আগে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ওপর বিদেশি চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয় এবং সেই চেষ্টায় বিএনপি জামায়াত অনেকটাই সফল হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। বাংলাদেশের র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের সুশাসন এবং গণতন্ত্র নিয়ে তারা অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল। এমনকি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু না হলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগের ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের বিচক্ষণতায় এবং কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে সেই চাপ বাস্তবে রূপ নেয়নি।

কিন্তু এখন আবার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ সহ নানা রকম অভিযোগ উত্থাপিত করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা এবং চাপ আসতে পারে সে ব্যাপারে ষড়যন্ত্র চলছে।

সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য। সহিংসতা এবং বীভৎস নাশকতা ঠেকানোর জন্য সরকার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেনাবাহিনী সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী কোথাও কোন জায়গায় আগ্রাসী আচরণ করেনি।

কিন্তু আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে ডয়চে ভেলেতে ইউএন লোগো ব্যবহার করে ট্যাংক ব্যবহার করার প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। কিন্তু ওই ট্যাংক কখনোই কোন বিদ্রোহ দমন বা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়নি এবং ঐ সাজোয়া যানগুলোর মালিকানাও বাংলাদেশের।

কিন্তু এটিকে নিয়ে এখন জাতিসংঘ পর্যন্ত ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হল শান্তি মিশনে যেন বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি বিতর্কিত করা যায় সেই চেষ্টা। আর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিনিয়ত নানারকম মনগড়া অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এই বিষয়গুলোর ফলে সরকার নতুন করে চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুটিকে তারা বড় করে আনছে সরকারকে দুর্বল করার জন্য। বাংলাদেশের ওপর যেন বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এ কারণেই এখন সরকারের এসব ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন অনেকে।

বাংলাদেশ থেকে কিছু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দোসর, বিএনপি-জামায়াতের পেরোলে থাকা বুদ্ধিজীবীরা এসব ভুল, অসত্য এবং অতিরঞ্জিত তথ্য বিদেশে পাঠাচ্ছেন। বিষয়টি এখনই নজরদারিতে আনা উচিত বলে অনেকে মনে করেন। নাহলে সরকার আরেকটি নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।


বিদেশি চাপ   আওয়ামী লীগ   সরকার   বাংলাদেশ   মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন