ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক ড্রোন দিয়ে মনিটরিং হবে: ডিআইজি

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো ঈদ যাত্রায় ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনিসুর রহমান। 

তিনি বলেন, মহাসড়কে কোনো প্রকার থ্রি হুইলার (তিন চাকার যান) ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। এগুলো নিয়ে আমরা খুব শক্ত অবস্থানে আছি। কেউ চালানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও সংযোগ সড়কগুলো সিল (বন্ধ) করে দেওয়ায় থ্রি হুইলার ঢুকতেই পারবে না। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিআইজি বলেন, ‘এবার মহাসড়কও যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো আছে। আমি মনে করছি এবারের ঈদ যাত্রা অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে স্বস্তির ও সুন্দর হবে। আমি ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কটি কয়েকবার ঘুরে দেখেছি ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি। সেই অনুযায়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে, ৭০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে যার তদারকিতে থাকবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও মোবাইল টিম, ক্রস পেট্রোলিং, যাত্রাপথে কোনও গাড়ি নষ্ট হলে তা দ্রুত সরিয়ে নিতে ৬টি রেকারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বালুবাহী ট্রাক বা এই জাতীয় কোনো পরিবহন চলতে দেওয়া হবে না’। 

এক প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি আনিসুর বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির প্রাদুর্ভাব ঘটে। এটা নিয়ে আমরা গত ৫-৭ বছরের তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। শুধু সিরাজগঞ্জ নয় রাজশাহী বিভাগের সব জেলাতেই একযোগে ঈদ পরবর্তী পর্যন্ত এটা নিয়ে বিশেষ অভিযান চলছে। যার ফলে যতপ্রকার প্রতারক পার্টি আছে তারা কেউই এবার ঈদে সুবিধা করতে পারবে বলে মনে করি না’। 

অন্য প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ থাকবে চালক যেন খুবই সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালান। কেউ যেন ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে হাত না দেন এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালানোর চেষ্টা না করেন। নাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যাত্রা নিরাপদ, সুন্দর ও যানজটমুক্ত রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেব’। 

এসময় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সকল সার্কেলের অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার, সকল থানার ওসি, ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক, হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শকগণ ছাড়াও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান রাসেল বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত পুরো মহাসড়কেই চার লেন চালু করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে এ জন্য হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায়, যেখানে ইন্টারচেঞ্জ হবে সেখানে কংক্রিটের রাস্তা ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতিবছর যানজট বেশি দেখা গেলেও এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেওয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্যান্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে আশা করছি এ বছর যানজট হবে না। এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেকটা স্বস্তিদায়ক ও ভোগান্তিমুক্ত হবে’। 

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. জাফর উল্লাহ রুবেল বলেন, আমরা ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিগ্ন করতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাব। এবার মহাসড়কের অবস্থা ভালো আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলাদা আলাদা টিম করে কাজ করা ছাড়াও মোবাইল টিম কুইক রেসপন্সে কাজ করবে। আমরা মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখা ছাড়াও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাব। 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে থানার আওতাধীন মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। মহাসড়কে শুধু হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেই আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে ১৭টি টিম কাজ করবে। এছাড়াও ৭টি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম ও দুইটি পেট্রোলিং মোবাইল টিম জরুরিভাবে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নির্মাণ করা হবে ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে সবকিছু মনিটরিং করা হবে। 

তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের প্রায় ১৫০ জন সদস্যের বাইরেও মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ইউপির চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে ৬০ জন কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ৩০ জন করে দুই শিফটে পুলিশকে সহায়তায় কাজ করবে। এছাড়া আমরা রেকারসহ অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি অস্থায়ী ভিত্তিতে মেকার পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছি। যারা কোনও গাড়ির সমস্যা হলে সমাধানে কাজ করবে। মহাসড়কের অবস্থাও ভালো আছে, যার ফলে এবার যানজটের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সামিউল আলম বলেন, ‘ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা, নিশ্চিন্তে যাতায়াত ও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭০১ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এরমধ্যে ৫০টি পিকেট টিম, ২০ মোটরসাইকেল মোবাইল টিম, ২টি পেট্রোলিং (গাড়ি) মোবাইল টিম, ৭টি নৌ টহল, ৭টি রেলস্টেশন পিকেট টিম, একটি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে। এছাড়া মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পরিদর্শকদের নেতৃত্বে ৬টি তদারকি মোবাইল টিম কাজ করবে। আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে জেলা পুলিশ ঈদ উপলক্ষ্যে মহাসড়কে কাজ শুরু করবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা’। 


ডিআইজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


সংঘর্ষ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আটকে গেল মামুনুল হকের মুক্তি

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।


কাশিমপুর কারাগার   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় দুই প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময় উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস) এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন