২০১৭ সালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময় হামলা, অপহরণসহ নানাভাবে তাদের শক্তি জানান দেয়। বম পার্টি নামেও পরিচিত এরা, প্রতিষ্ঠাতা নাথাম বম। কয়েক দফা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানও পরিচালনা করেছিল। মাঝখানে কিছুদিন ‘শান্ত’ থাকার পর আবারও তৎপরতা শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সশস্ত্র সংগঠনটি। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে নতুন করে আলোচনায় আসে তারা।
এর ১৬ ঘণ্টা না পেরোতেই গতকাল বুধবার বান্দরবানের আরেক উপজেলা থানচির কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে দিনদুপুরে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরপর এ দুটি ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তাদের ভয়ংকর একটি বার্তা। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনটি। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র নিয়ে যায়। তবে ব্যাংকের ভল্ট ভাঙতে না পারায় টাকা নিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির আগে ব্যাংকের পাশে অবস্থিত মসজিদের মুসল্লিদেরও কিছু সময়ের জন্য জিম্মি করে রাখে কেএনএফ সদস্যরা। সেখান থেকেই তারাবি নামাজ পড়া অবস্থায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার ১৬ ঘণ্টা না যেতে বান্দরবানের আরেক উপজেলা থানচির কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন।
ইউএনও জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি সশস্ত্র সংগঠনের ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ঢুকে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে কোনো ধরনের গুলি বিনিময় হয়নি। তবে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে তারা টাকা নেয়নি বলে নিশ্চিত করেন ইউএনও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তংক্ষ্যং পাড়া রোড থেকে তিনটি গাড়িতে করে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল এলেও একটি গাড়ি বাজার দিকে চলে যায়। আর দুটি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ জনের দলটি সরাসরি ব্যাংকে ঢুকে ডাকাতিতে অংশ নেয়। সোনালী ব্যাংক থানচি শাখার ক্যাশিয়ার ওমর ফারুক বলেন, ডাকতরা ব্যাংক থেকে টাকা আর মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অফিসিয়ালি ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে, তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা হবে।
কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (মুখ্য) হ্লাশৈথোয়াই মারমা বলেন, কৃষি ব্যাংকের ২ লাখ ৪২ হাজার ২৭০ টাকাসহ কর্মচারীদের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক ভুক্তভোগী আরমান বলেন, ‘আমি ভেতরে ছিলাম। ডাকাতরা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনসহ আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা নিয়ে গেছে।’ আরেক ভোক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘আমিও ভেতরে ছিলাম। তবে আমার কাছ থেকে কিছু নিয়ে যায়নি। ১০ মিনিটের মতো তারা ভেতরে অবস্থান করেছিল এবং আমাদের ভয় না পাওয়ার জন্যও বলেছে তারা।’
এক গাড়িচালক বলেন, ‘তংক্ষ্যং পাড়া থেকে তুষ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছার পর অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে আমাকে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা আতঙ্কে আছি।’
সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের অফিস সহকারী সন্তুস ও অংসাপ্রু জানান, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে তারা সঙ্গে সঙ্গে গেটের তালা লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। সবাইকে ধাক্কা দিয়ে অস্ত্র তাক করে চুপ থাকতে বলে তারা। জীবনে প্রথমবার তারা এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানান এই দুই কর্মচারী।
থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রো কালবেলাকে বলেন, ‘এমন ঘটনা থানচিবাসীর জন্য অভিশাপ। বর্তমানে বাজারে দোকানপাটসহ জনমানুষের আতঙ্ক রয়েছে। সামনে ঈদ ও নববর্ষের ছুটিতে অনেক পর্যটক সমাগম হবে থানচিতে। নিরাপত্তার কারণে পর্যটকরা আপাতত থানচিতে বেড়াতে না এলে ভালো হবে।’
থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। নিরাপত্তার জন্য আমাদের টহল দল ব্যাংকের সামনে অবস্থান করেছে।’
এদিকে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ব্যাংকের ভেতরে ভাঙচুর হয়েছে। টাকা লুট হয়েছে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। ভল্টে প্রবেশের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগবে। সিআইডি এসে ভল্ট পর্যবেক্ষণ করার পর বিস্তারিত বলতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, ভল্ট খোলার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগবে। ভল্ট খোলা যায়নি। টাকা নিয়েছে কি নিয়ে যায়নি সেটা এখন বলা যাবে না, আরও কিছু সময় লাগবে।
রুমার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়চিং কালবেলাকে বলেন, ডরমেটোরিতে যাওয়ার পথে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। প্যান্টের পকেটে যা টাকা ছিল সব তারা নিয়ে গেছে। এরপর আমার পকেট থেকে ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয় এবং নড়াচাড়া করলে গুলি করার হুমকি দেয়। এরপর আমি কিছু জানি না। পরে ব্যাংকে ফিরে এসে দেখি ব্যাংকের ভেতরে ভাঙচুর চালিয়েছে।
রুমা উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন রাকাত নামাজ শেষ না হতেই আমরা দেখলাম যে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদে ঢুকে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখল। পরে ম্যানেজারের কথা জিজ্ঞেস করল। মসজিদের ভেতরেই ম্যানেজার ছিল এবং ম্যানেজারকে প্রথমে চিহ্নিত করতে না পারলেও অনেকক্ষণ পরে চিহ্নিত করতে পারে। তারা উন্নতমানের অস্ত্র হাতে ২০ জনের মতো ছিল। আমাদের একজনকেও উঠতে, বসতে দেয়নি কিংবা একটু কথাও বলতে দেয়নি।’
রুমার ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) দিদারুল আলমের ভাষ্য, ডাকাতির সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ব্যাংকের অদূরে থাকা আনসার ব্যারাক থেকে চারটি অস্ত্র ও ৩৫টি গুলি ছিনিয়ে নেয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। ওই সময় পুলিশ ও আনসারকে মারধর করে তারা। ব্যাংকের লাগোয়া অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান করা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন কর্মামচারীকেও মারধর করা হয়।
মানববন্ধন
সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের মুক্তি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের প্রতিবাদ ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদ এলাকায় এ মানববন্ধন হয়। এতে সভাপতি হিসেবে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেদ রাউজান বক্তব্য দেন।
বান্দরবান রুমা সোনালী ব্যাংক কৃষি ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।