ইনসাইড বাংলাদেশ

১৪ মাসে অপহৃত ছয় শতাধিক, গ্রেপ্তার ৬৯৯

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে গত ১৪ মাসে শিশুসহ ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার হয়েছে ৬৯৯ জন। পুলিশের সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে ঢাকায় ৫৯ জনকে অপহরণের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ডিএমপির থানাগুলোতে অন্তত ১৮ জনকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।

এর মধ্যে ২৮ মার্চ শেরেবাংলানগর এলাকা থেকে এক শিশুকে (৫) অপহরণ করে মানিকগঞ্জ নেওয়া হয়। এরপর অপহরণকারীরা ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার থেকে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। পুরে পুলিশ ১২ ঘণ্টার চেষ্টায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২০ মার্চ একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে তার ব্যবসায়ী বাবার কাছ থেকে এক দিনে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় অপহরণকারীচক্রের সদস্যরা। এরপর পুরান ঢাকার একটি সড়ক থেকে পথচারীকে অপহরণ করে অন্য একটি চক্র মুক্তিপণ আদায় করে।

গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে শেরপুরে যাওয়ার পথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তাঁর ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। পরে তাঁকে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

এছাড়া টেকনাফে গত বছর ১২৪ জনকে অপহরণ করা হয়। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয়, অন্যরা রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।

পুলিশ ও র‌্যাব সূত্র বলছে, প্রতিবার ঈদ আসলে এসব অপহরণকারীদের উৎপাত বাড়ে। এবারও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অপহরণকারীদের তৎপরতা বেড়েছে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ এই দুর্বৃত্তরা শুধু অপহৃত ব্যক্তির ক্ষতি করছে না, আর্থিক ও মানসিকভাবে তার পরিবারেরও ক্ষতি করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসাইন বলেন, এরা মূলত ঈদকে টার্গেট করে অপহরণে নেমেছে। সড়কে ওত পেতে থাকে তারা। এরপর সুযোগমতো অপহরণের পর পরিবার বা স্বজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।

ঢাকার বাইরের ঘটনাগুলোর মধ্যে গত ২৯ মার্চ বরগুনার আমতলী উপজেলায় এক কিশোরীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশে অপহরণের ঘটনায় মোট ৪৬৩টি মামলা হয়েছে। ২০২২ সালে ৪৬০টি মামলা হয়।

ডিএমপির গত বছরের অপরাধবিষয়ক মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের প্রতিটি থানা এলাকায় অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা বিভাগে তিনটি, ওয়ারী বিভাগে পাঁচটি, লালবাগে আটটি, মতিঝিলে সাতটি, মিরপুরে ছয়টি, গুলশানে ১০টি, উত্তরায় ১২টি এবং তেজগাঁওয়ে ১৪টি মামলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, অপহরণ বাড়ার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঢাকা থেকে অপহৃত শিশুসহ অনেককে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অপহরণের ঘটনায় সারা দেশে পাঁচ শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

তবে র‌্যাব জানায়, গত বছর অপহরণের শিকার ৬৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, সমাজে এক শ্রেণির লোক অপরাধে জড়িয়ে মানুষকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করছে। তবে র‌্যাব ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি এলাকায় তৎপর রয়েছে। অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, শিশু অপহরণ বেড়েছে। বোরকা পরে পরিচয় গোপন রেখে শিশু চুরি করা হচ্ছে। তাই অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।

অপহরণ   ডিএমপি   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


সংঘর্ষ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন