ইনসাইড বাংলাদেশ

মেট্রোরেলের ওয়ার্কশপে রহস্যময় ডাকাতি

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ০৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মেট্রোরেলের কাজে নিয়োজিত চায়না সিনো হাইড্রো কোম্পানির ওয়ার্কশপে হানা দেয় একদল ডাকাত। মঙ্গলবার (২ মার্চ) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টা। মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়কের বোট ক্লাবের উল্টোপাশে এমন ঘটনা ঘটে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষী ও পরে সেখানে অবস্থানরত শ্রমিকদের বেঁধে ফেলে তারা। এরপর প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে লুটপাট। তবে এই দীর্ঘ সময়ে বাইরে থেকে ঘটনা টের পায়নি কেউ। রহস্যজনকভাবে ডাকাতির আগে খুলে ফেলা হয় ওয়ার্কশপের সিসিটিভি ক্যামেরা।

ডাকাতির এ ঘটনায় শুরুতে প্রথমে মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। তুরাগ ও রূপনগর থানার ঠেলাঠেলিতে কেটে যায় এক দিন। এরপর বিষয়টি গড়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার পর্যন্ত। তিনি ম্যাপ দেখে রূপনগর থানাকে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এতে ঘটনার এক দিন পর মামলা নেয় রূপনগর থানা পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেট্রোরেলের ওয়ার্কশপের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও টের পাননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

গত বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন ওই ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি বিরাজ করছে। ওই রাতে ঘটে যাওয়া ডাকাতির পর অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানালেন তারা।

সিনো হাইড্রোর এই কারখানায় এক বছর ধরে মেকানিকের কাজ করেন সীতাকুণ্ডের মো. সাকিব। ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তার হাত-পা কাঁপতে দেখা যায়। লোমহর্ষক সেই ডাকাতির দৃশ্য তিনি ভুলতে পারেননি।

সাকিব বলেন, ‘আমরা এক রুমে চারজন বসে ইফতার করছিলাম। এমন সময় ১০-১২ জন লোক এসে গলায় ছুরি ধরে। আমি ইফতার করার সময় ফোন টিপতে ছিলাম। এক ডাকাত আমাকে ধমক দিয়ে ফোন টেপা বন্ধ করতে বলে। এরপর আমাদের হাত বেঁধে পাশের একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাদের আরও তিন শ্রমিক ছিল। সবাইকে বেঁধে ফেলা হয়। আমাদের সবাইকে ঘরের মধ্যে জিম্মি অবস্থায় রাখা হয়। এরপর তারা প্রজেক্টের ভেতরে থাকা মালপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।’

হাফিজুর রাসেল নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘ইফতারের সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে ডাকাত দল এসে আমাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। তারা সবাই সুঠাম দেহের অধিকারী এবং মুখে মাস্ক পরা ছিল। সব ডাকাত একজনকে স্যার স্যার বলে ডাকছিল।’

তবে শ্রমিকদের তথ্যমতে, ডাকাতির সময় সেখানে তারা মোট ১০ জন ছিলেন। এর মধ্যে একজন গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে, দুজন ছিলেন নামাজে আর বাকি সাতজন ছিলেন দুটি রুমে। ডাকাত দল প্রথমে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ওয়ার্কশপের ভেতরে ঢোকে। এরপর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রহরী এবং দুই রুমে থাকা সাতজনকে বেঁধে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পর নামাজে যাওয়া দুজন ওয়ার্কশপে ঢুকলে তাদেরও বেঁধে ফেলা হয়। এরপর গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় মালপত্র।’

ডাকাত দল সেদিন যাদের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি করে তারা হলেন চান মোহন সরকার, মো. সাকিব, বিপ্লব হাওলাদার, মো. হাফিজুর রাসেল, সাকিব ওরফে শাহরিয়ার, মুরাদ ড্রাইভার, মুজাফির, মাযুদ, আমিনুল এবং হাবিল সরদার।

থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী ডাকাতি হওয়া মালপত্রের মধ্যে রয়েছে এক লাখ আশি হাজার টাকা মূল্যের ১৮টি ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি, ৪ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ও ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ, প্রায় ১২ লাখ টাকা মূল্যের দুই ধরনের কপার স্ট্যান্ডার্ড ওয়াব ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২ হাজার ৫৯২ পিস মিডিল ক্লাম (সাইজ ৬০ মিমি), ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকার ৫ হাজার ৭৬০টি ইনডক্লাম, ৪ হাজার ৩৯৮ টাকার ১ হাজার ৬১৬ পিস বোল্ট, ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ব্যাটারি চার্জার, ৩৫ হাজার টাকার ওয়েল্ডিং মেশিন এবং কর্মচারীদের কাছে থাকা নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকার মালপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

এ ঘটনায় গত বুধবার রাজধানীর রূপনগর থানায় সিনো হাইড্রোর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করেন মিস্ত্রি মো. মনজু মিয়া।

মামলার এজাহারে মো. মনজু মিয়া বলেছেন, ‘গত ২ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত ছুরি, চাপাতি, দেশি অস্ত্রসহ ওয়ার্কশপে ঢুকে পড়ে। তারা গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চান মোহনকে হাত-পা বেঁধে সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় সবার কাছে থাকা আনুমানিক ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। ডাকাতরা সবাই বরিশাল এবং ঢাকার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তারা সবাই লম্বা প্রকৃতির, একজন মোটা এবং অন্যরা ৫ ফুট ৬ থেকে ১০ ইঞ্জির মতো লম্বা। ডাকাতদের মধ্যে দীর্ঘকায় দেহের ডাকাতকে সবাই ‘স্যার, স্যার’ ডাকে এবং আমাদের বলে, আমরা থানা থেকে এসেছি।

আমাদের কাজ করতে দাও। তার পরনে হালকা হলুদ রঙের হাফহাতা গেঞ্জি পরা ছিল। বাকিরা শার্ট, গেঞ্জি, প্যান্ট এবং একজন লুঙ্গি পরিহিত ছিল। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওয়ার্কশপের ভেতরে একটি গাড়ি ঢোকার শব্দ শুনতে পান শ্রমিকরা। এর কিছুক্ষণ পরপর ওয়ার্কশপের ভেতরে কিছু ভাঙার এবং গাড়িতে মালপত্র তোলার শব্দ শুনতে পান। এভাবে ডাকাতরা রাত ১১.১৭ মিনিট পর্যন্ত ওয়ার্কশপের ভেতরে ডাকাতি করে চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় সব শ্রমিককে একটি কক্ষে আটকে দরজার সিটিকিনি বাইরে দিয়ে আটকে রেখে যায়। এ সময় তারা শ্রমিকদের বলে যায়, আমরা চলে যাচ্ছি, তোদের সবার মোবাইল ফোন একটি রুমের ভেতরে আছে, আমরা তোদের মোবাইল নেব না, নিলে ধরা খেয়ে যাব।’

মামলার এজাহারে মনজু মিয়া আরও উল্লেখ করেছেন, ‘ডাকাতরা চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে, আমরা মুখ দিয়ে একে অন্যের বাঁধন খুলি এবং রুমের সিলিং দিয়ে অন্যরুমে গিয়ে আমাদের দরজার বাইরে দিয়ে লাগানো সিটকিনি খুলে সবাই বাইরে বের হয়ে আসি। এরপর একটি রুমের ঝুড়ির ভেতর আমাদের সবার মোবাইল দেখতে পাই।’

ঘটনা জানতে চাইলে মামলার বাদী মনজু মিয়া বলেন, ‘ইফতারের টাইমে ৮ থেকে ১০ জন লোক এসে প্রথমে সিকিউরিটি গার্ডরে বাইন্দালায়। এরপর আমাদের বাইন্দা তারা ডাকাতি কইরা চইলা যায়। আমরা রূপনগর থানায় মামলা করেছি। পুলিশ এরপর আর কিছু জানায় নাই। আইজ মিন্টো রোডের ডিবি অফিস থেকে আমাগো ডাকছিল, ওইহানে সব লেইখা নিছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডাকাতির পর ওই রাতেই কর্তৃপক্ষ মামলা করতে থানায় যায়। তবে প্রাথমিকভাবে থানা মামলা নেয়নি। তুরাগ এবং রূপনগর থানার ঠেলাঠেলিতে ওই রাত কেটে যায়। রূপনগর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘আসলে ওই এলাকাটি তুরাগ থানার আন্ডারে। ওখানে তুরাগ থানাই সব দেখাশোনা করে। যে কারণে আমাদের থানা প্রথমে মামলা নেয়নি। এরপর বিষয়টি কমিশনার স্যারের কাছে গেলে স্যার ম্যাপ দেখে আমাদের মামলা নিতে বলেন। এরপর রূপনগর থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়।’

জানতে চাইলে রূপনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা একটি ভালো ফলাফল পাব।’

কাউকে শনাক্ত করা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না। আশা করছি, শিগগির আমরা একটি ফলাফলে পৌঁছাতে পারব। এরপর বিস্তারিত জানাব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘গত বুধবার আমি নিজে ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি। এ নিয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমার কাছে এ মুহূর্তে এর বেশি তথ্য নেই।’

এদিকে ওয়ার্কশপে ডাকাতির বিষয়ে কিছুই জানে না মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সচিব আব্দুর রউফ কালবেলাকে বলেন, ‘রূপনগর থানা এলাকায় আমাদের আলাদা কোনো ওয়ার্কশপ নেই। কোম্পানির ওয়ার্কশপ মেট্রোরেল কম্পাউন্ডের মধ্যেই। ডাকাতির বিষয়ে আমরা অবগত নই। এটা ঠিকাদারদের ওয়ার্কশপ হতে পারে।’


মেট্রোরেল   ডাকাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন