সরকার
এখন পর্যন্ত ৯ এপ্রিল ছুটি
রেখেছে। আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঐ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৯ এপ্রিল যদি
পুনরায় ছুটি ঘোষণা না
করা হয় তাহলে ওইদিন
শেষ কর্ম দিবস হিসেবে
বিবেচিত হবে। ৯ এপ্রিল
কর্ম দিবস হলে সেদিন
কারা অফিস করবে? এ
নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা রকম
মজার কৌতুক শুরু হয়েছে।
সরকারি
অফিসগুলো কাগজে কলমে ৮ এবং
৯ এপ্রিল খোলা থাকবে বটে।
তবে ইতিমধ্যে সরকারি অফিসে ছুটির দরখাস্তের স্তুপ পড়েছে। বিশেষ করে ৮ এবং
৯ তারিখে অর্ধেকের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটির আবেদন করেছেন। সচিবালয়ে অর্ধেকের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী
ছুটিতে থাকবেন। তবে যারা বিশেষ
সেবার সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী, চিকিৎসক তাদের জন্য এই ঈদের
ছুটি কোনও আনন্দের উপলক্ষ্য
নয়। কারণ প্রতিবারই ঈদে
তাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হয়।
আগামীকাল
৭ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদরের ছুটি। আর ৮ এবং
৯ তারিখে সরকার সব কিছু খোলা
রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা
সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৯ তারিখে ছুটি
দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেওয়া
হয়। তবে সরকার ওই
২ দিনের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির
দরজা খুলে দেন। যারা
ছুটি নিতে চান, তারা
ওই ২ দিন ঐচ্ছিক
ছুটি নিতে পারবেন বলে
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ঘোষণা করেন।
সরকারি
অফিসগুলোর এই অবস্থায় থাকলেও
বেসরকারি অফিস অধিকাংশই ৯
এপ্রিল বন্ধ করে দেওয়া
হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও, বেসরকারী সংস্থা এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান
৯ এপ্রিল তারা তাদের নিজেদের
অফিস ছুটি দিয়েছে। ১০
এপ্রিল ঈদ হতে পারে
এমন আশঙ্কা থেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই ছুটি দিয়েছে।
অন্যদিকে
ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো
৯ এপ্রিল খোলা থাকবে। ব্যাংকের
৯ এপ্রিল খোলা থাকাটা জরুরি৷
তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ৯ এপ্রিল খোলা
রেখে কী হবে, কারা
অফিস করবে সেটি নিয়ে
একধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ৯
এপ্রিল অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা ছুটিতে যাবেন। কাজেই সরকারি অফিসে কোনও কাজ হবে
না। যদি কাজই না
হয় তাহলে সচিবালয় এবং অন্যান্য সরকারি
দপ্তর খোলা রেখে বিপুল
ব্যয় বাড়িয়ে লাভ কী? এই
প্রশ্ন উঠেছে। কারণ একটি সরকারি
অফিস একটি কর্ম দিবস
চললে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়।
আর সেখানে যদি কাজ না
হয় সেক্ষেত্রে কর্ম দিবস না
রেখে ছুটি দেয়ায় সঠিক
বলে অনেকেই মনে করছেন।
তবে বিভিন্ন মহল মনে করছেন যে, এমনিতেই ঈদের পর পহেলা বৈশাখের বন্ধ রয়েছে কাজেই যেটুকু কাজ হয় অফিস খোলা রাখা এবং রুটিন কাজগুলো যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য দেয়া হয়েছে। তবে, ৯ এপ্রিল সারাদেশে অঘোষিত ছুটিই থাকবে। খুব কম মানুষই সেদিন কর্মমুখর হবে, এবং কাজ কর্মের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দিবে।
মন্ত্রিসভার ঈদুল ফিতর সরকারি ছুটি
মন্তব্য করুন
হিট স্ট্রোক তীব্র তাপদাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ শিল্পমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া।