স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার আশায় উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাদের কেউ কেউ নির্বাচনে অংশও নিয়েছেন। আবার নানা কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি কেউ কেউ। এর মধ্যে কয়েকজন এমপি নির্বাচিতও হয়েছেন। বাকিদের অনেকেই এমপি হতে না পেরে আবার উপজেলায় ফিরতে চান।
যেকারনে আগামী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকেই। অনেকে এখনও রয়েছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। নিজে প্রার্থী না হয়ে পরিবারের কোনো সদস্যকে প্রার্থী করার চিন্তা রয়েছে কারও কারও মধ্যে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিএনপি জোটসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্যও মাঠ উন্মুক্ত করে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রার্থীদের অংশগ্রহণ ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর এ কৌশলে ‘বিদ্রোহী’দের ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দলটি। সরকারের এমন অবস্থানে সারা দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হিড়িক পড়ে। পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন অর্ধশতাধিক উপজেলা চেয়ারম্যান। এর মধ্যে রয়েছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জের মোহাম্মদ শামসূল আলম, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর মো. আলী আসলাম, গাইবান্ধা সদরের শাহ সারোয়ার কবীর, নীলফামারীর সৈয়দপুরের মোখছেদুল মোমিন, রংপুরের মিঠাপুকুরের জাকির হোসেন সরকার, খুলনার ফুলতলার শেখ আকরাম হোসেন, কুষ্টিয়ার মিরপুরের কামারুল আরেফিন, সাতক্ষীরা সদরের আসাদুজ্জামান, শ্যামনগরের এস এম আতাউল হক, মেহেরপুর সদরের ইয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর খন্দকার রুহুল আমিন, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার এম এ জাহের, চট্টগ্রামের চন্দনাইশের মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, কক্সবাজারের রামুর সোহেল সরওয়ার কাজল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ফিরোজুর রহমান, চট্টগ্রামের পটিয়ার মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও কক্সবাজারের মহেশখালীর মোহাম্মদ শরীফ বাদশা।
পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যানদের তালিকায় আরও রয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আবদুস ছোবহান ভূঁইয়া, দেবীদ্বারের আবুল কালাম আজাদ, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গাজী মাঈনুদ্দিন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আবদুল মোতালেব, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এস এম আল মামুন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার এ কে এম সফি আহমদ, সুনামগঞ্জের শাল্লার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ. ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আবদুল মালেক সরকার, ঈশ্বরগঞ্জের মাহমুদ হাসান; শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আবদুল্লাহেল ওয়ারেজ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের মাহমুদুল হক, শেরপুরের শ্রীবরদীর এ ডি এম শহিদুল ইসলাম ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার আবদুল হাই আকন্দ।
আরও পদত্যাগ করেছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের জান্নাতুল ফেরদৌস, নাটোরের সিংড়ার শফিকুল ইসলাম, পাবনার চাটমোহরের আবদুল হামিদ, বগুড়ার আদমদীঘির সিরাজুল ইসলাম খান, শেরপুরের মজিবুর রহমান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির মো. নুরুল ইসলাম, উল্লাপাড়ার শফিকুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের কাবির মিয়া, নরসিংদীর মনোহরদীর সাইফুল ইসলাম খান, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের মহিউদ্দিন আহমেদ, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের মুশফিকুর রহমান খান, রাজবাড়ী সদরের ইমদাদুল হক বিশ্বাস, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মীর এনায়েত হোসেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের শাহজাহান ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের নাসিরুল ইসলাম খান, ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাদ্দেছ হোসেন ও টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ইউনুস ইসলাম তালুকদার।
সূত্রগুলো জানায়, পদত্যাগকারী চেয়ারম্যানদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন এমপি নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে রয়েছেন। কয়েকজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে যান। বাকিদের মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। জানা গেছে, খুলনার ফুলতলার শেখ আকরাম হোসেন আবারও উপজেলায় প্রার্থী হচ্ছেন। নির্বাচন করবেন কুড়িগ্রামের আব্দুল হাই মাস্টার। এ ছাড়া মেহেরপুর সদরের ইয়ারুল ইসলাম, বগুড়ার আদমদিঘীর সিরাজুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির মো. নুরুল ইসলাম ও ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাদ্দেছ হোসেনও নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের মোখছেদুল মোমিন, সাতক্ষীরা সদরের আসাদুজ্জামান, কক্সবাজারের রামুর সোহেল সরওয়ার কাজল ও মহেশখালীর মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী সদরের ইমদাদুল হক বিশ্বাস, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গাজী মাঈনুদ্দিন, শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার আব্দুল হাই আকন্দ। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ঘনিয়ে এলে তারা নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।