ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের ভিতর স্ববিরোধিতা-সমন্বয়হীনতা প্রকট হয়ে উঠছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র তিন মাস বয়সী বর্তমান সরকার। তবে তিন মাসের মধ্যেই সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের এক মন্ত্রণালেয়র সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় নেই। এক মন্ত্রণালয় অন্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে স্ববিরোধী অবস্থান গ্রহণ করছে। 

ঈদের ছুটির কথাই ধরা যাক। ঈদের ছুটি নিয়ে সরকারের ভিতরে স্ববিরোধিতার প্রকাশ্য প্রতিফলন ঘটল। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। এ ধরনের সুপারিশ সাধারণত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নাকচ হওয়ার ঘটনা খুবই কম। কিন্তু এই বিষয়টি নাকচ হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে নেতৃত্ব দেন সরকারের জ্যেষ্ঠতম মন্ত্রী। অথচ তিনি কিভাবে এরকম প্রস্তাব দিলেন সরকারের নীতি নির্ধারক সঙ্গে আলোচনা না করে সেটি নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। এ ধরনের বিষয় সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ না করেই নেওয়া হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে আভাস দিয়েছে। এতে সরকারের সমন্বয়হীনতা প্রকট হয়ে উঠেছে। 

সরকারের সমন্বয়হীনতা দ্বিতীয় ঘটনা লক্ষ্য করা যায় মেট্রোরেলের ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে। পয়লা জুলাই থেকে মেট্রোরেলের ভ্যাট রোহিত বা ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাবের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এনবিআর-এর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এনবিআর এটি নাকচ করে দিয়েছে। ফলে আইনত এখন পয়লা জুলাই থেকে মেট্রোরেলকে তার যাত্রীভাড়ার ওপর ভ্যাট দিতে হবে। এটির অনিবার্য পরিণতি হল যে, মেট্রোরেলের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ জনগণকেই ভোগান্তি পোহাতে হবে। 

কিন্ত এনবিআর-এর এই চিঠির দুদিন পর ফুঁসে উঠলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বললেন, এই মুহূর্তে ভ্যাট আরোপের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছেন। হঠাৎ করে এনবিআর চেয়ারম্যান কেনইবা ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নিলেন, কার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলেন, আবার তার বিরোধিতা কেন সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী করছেন সেটি নিয়ে সরকারের ভিতরে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। এটিও হল সমন্বয়ের অভাব এবং সরকারের ভিতর স্ববিরোধিতার লক্ষণ। 

যদি এনবিআর এরকম সিদ্ধান্ত নিতে চায় তাহলে সেটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই নেওয়া উচিত বা সরকারের নীতি নির্ধারকদের সাথে কথা বলে নেওয়া উচিত ছিল। প্রকাশ্যে সরকারের স্ববিরোধীতা সরকারের ভাবমূর্তির জন্যই ক্ষতিকর।

সরকারের স্ববিরোধীতা এবং সমন্বয়হীনতা তৃতীয় নজির হল বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে, ব্রাজিল থেকে কোরবানির ঈদে ৪৯৫ টাকা কেজি দরে তিনি মাংস আমদানি করবেন। ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ঘোষণা করেছে। ভারতীয় গরু আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে যেন দেশীয় প্রাণিসম্পদ রক্ষা হয়। সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণিসম্পদে আমদানি নির্ভরতা বন্ধের ব্যাপারে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। 

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এক দফা নাকানিচুবানি খেয়েছিল। আমদানি করার আগে ঘোষণা ছিল এক রকম আর বাস্তবতা ছিল অন্য রকম। এখন যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্রাজিল থেকে মাংস আমদানির কথা বলছে সেটি সরকারের অবস্থানের বিপরীত। এমনকি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। এই ধরনের সমন্বয়হীনতা সরকারের জন্য ক্ষতিকারক বলে মনে করছেন অনেকে। মাত্র তিন মাসের সমন্বয়হীনতা যে বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো দেখানো হল বাস্তবে এর চেয়ে অনেক সমন্বয়হীনতা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সরকারের ভেতর সমন্বয় দরকার, দরকার এক ধরনের ঐক্য। কারণ একটি সরকারি সিদ্ধান্ত সকলের জন্যই শিরোধার্য। এটি মন্ত্রীরা এবং আমলারা যত দ্রুত অনুভব করবেন তত সরকারের জন্য সুবিধা হবে।

স্ববিরোধিতা   ঈদের ছুটি   মেট্রোরেলের ভ্যাট   এনবিআর চেয়ারম্যান   বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন