ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় সড়ক-নৌপথে মানুষের স্রোত

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী থেকে ঘরে ফেরার তাড়া বেড়েছে কর্মজীবী মানুষের। গতকাল সোমবার ঈদের ছুটিতে  অফিস শেষ করে অনেকে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে। এমনকি আজ আজ মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বে বাকিরা। ঢাকা ছাড়ার স্টেশন ও সব ধরনের পরিবহনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অনেকে আবার খোলা ট্রাকে করেও গেছে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে।

যাত্রীর চাপ থাকলেও দেশের বেশির ভাগ জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথায় তীব্র যানজটে দুর্ভোগের খবর পাওয়া যায়নি। তবে পরিবহনসংকট দেখা গেছে অনেক জায়গায়। তবে, এই সুযোগে বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ট্রেনের আসনের সব টিকিট আগেই অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। তবে যাত্রার আগে অতিরিক্ত বগির টিকিট কাউন্টারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। কমলাপুরে রয়েছে স্ট্যান্ডিং টিকিটের ভিড়। গতকাল আন্ত নগর, বিশেষ, কমিউটার ও লোকাল মিলিয়ে মোট ৬৯টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। 

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের পথে যাত্রীর ঢল, বাস সংকট

গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণার পরপরই ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। গতকাল দুপুরের দিকে হঠাৎ করে মহাসড়কে যানবাহন কমে গেছে। যাত্রী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কে যাত্রী বাড়ায় ভাড়া বেড়েছে কয়েক গুণ।

সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের পর টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-ঘোড়াশাল সড়কেও স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে মহাসড়কের পাশে জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ।

গাজীপুরগামী বলাকা বাসের চালক জানান, অনেকে ঈদের ছুটিতে চলে গেছে। বিকেলে পোশাক কারখান ছুটি হলে চাপ বাড়বে। শেরপুরগামী যাত্রী ইকরাম মিয়া বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি পরিবার নিয়ে। গাড়ির অপেক্ষায় আছি।’

চট্টগ্রামের পথে স্বস্থির যাত্রা 

নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট হয়নি। যাত্রীরা স্বস্তিতেই যেতে পারছে।

গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কের কোথাও কোনো পরিবহনের ধীরগতি বা চাপ দেখা যায়নি। ঢাকা ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিরতিহীন বাসগুলো কোনো দুর্ভোগ বা যানজট ছাড়াই অনায়াসে মেঘনা সেতু পার হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনও স্বাভাবিক গতিতে যাচ্ছে।

এদিকে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এবারের ঈদ যাত্রা উপলক্ষে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল করে যানবাহন পার্কিংসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে, সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে।

সিলেটের পথে রয়েছে যানজটের ঝুঁকি

ঈদ যাত্রায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিলেট বিভাগ অংশে অন্তত ছয়টি স্থানে যানজটের বিশেষ ঝুঁকি রয়েছে। মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর বাজার সড়ক, অলিপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বরসহ শেরপুর, গোয়ালাবাজার থেকে চণ্ডীপুল এলাকা যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

মহাসড়কের ৩৬টি স্থানকে যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। মহাসড়কের উন্নয়নকাজ চলমান থাকা, রাস্তার পাশে বাজার এবং অবৈধ যান চলাচলের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল সড়ক অক্ষত রয়েছে, সড়কের পাশে উন্নয়নকাজ চলছে। আর ঈদের আগে কাজ আরো সীমিত করা হচ্ছে। রএদিকে বিষয়টি মানতে নারাজ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।

তারা বলছেন, উন্নয়নকাজের জন্য এখনই সড়কে যানজট লেগে থাকে, ঈদের চাপ আরো বাড়বে। বাড়বে যানজট আর ভোগান্তি।

সিলেটের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, মূল সড়কের কাজ শুরু হয়নি। এটি অক্ষত রয়েছে। ঈদের আগে উন্নয়নকাজ সীমিত করে আনা হবে। ফলে ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগ তেমন বাড়বে না। এ ছাড়া সড়কের যেসব স্থানে ভাঙাচোরা রয়েছে, সেসব স্থানে ঈদের আগে সংস্কার করা হবে।

অন্যদিকে সাভারে রয়েছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কে যাত্রীর ভিড় বাড়ছে। বেলা যত বাড়ছে যাত্রীদের চাপ তত বাড়ছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাড়াও। গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইলসহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় ঈদে বাড়ি যেতে বাইপাইলে পরিবারসহ এসেছেন রফিক হোসেন। যাবেন রংপুর। বাইপাইলে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও বাস পাননি। দু-একটা পেলেও তিন গুণ ভাড়া বেশি। তিনি বলেন, ভোগান্তি থাকলেও বাড়িতে গেলে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একযোগে বাড়ি যাচ্ছেন। প্রায় অর্ধকোটি মানুষের ঢল নেমেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপও বাড়ছে। তবে যানজট নিরসনে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বেলাশেষে যাত্রীর চাপ বেড়েছে লঞ্চে

রাজধানীর সদরঘাট থেকে প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীর চাপ তৈরি হয়েছে। বিশাল আকৃতির এসব লঞ্চে যারা যাচ্ছে, তাদের চোখে-মুখে ক্লান্তি ছাপিয়ে স্বস্তির ছাপ। নির্ধারিত ভাড়ায় সময়মতো ঘাট ছাড়ছে লঞ্চগুলো।

প্রতিটি লঞ্চে উপচে পড়া যাত্রীর চাপ। এর পরও নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চে স্বস্তির যাত্রা। তবে টার্মিনাল থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে মানুষজনকে। এই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেকেই।

গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘শেষ দিকে লঞ্চে যাত্রীর চাপ তৈরি হয়েছে। আমাদের অতিরিক্ত লঞ্চও প্রস্তুত রয়েছে। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারবে।’

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩০ লাখ যান চলাচল করে

ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০টি যানবাহন পারাপার হয়। এই সময় দুই কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা সেতুর টোল আদায় হয়েছে।

টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে ১৫ হাজার ৮৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০ টাকা। সেতুর পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬৯৪টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকা। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে দুই হাজার ৭১০টি।

সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

মহাসড়কের পার্শ্ব সড়কে চলছে ট্রাক

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে যাত্রীদের চলাচল বেড়েছে। তবে বাস, ট্রাক কিংবা অন্য যানবাহনের ছাদে লোক চলাচল করতে দেখা যায়নি। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের বগাইল টোল প্লাজায় দেখা যায়, গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মোটরসাইকেলের চলাচল অনেক বেড়েছে। ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-খুলনাগামী মোটরসাইকেল আরোহীরা নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছে।

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা নেমে অনেকেই বরিশাল কিংবা খুলনা যাওয়ার জন্য স্থানীয় পরিবহনে উঠছে। কিছু বিশেষ পরিবহনও চালু হয়েছে। যাত্রীরা জানায়, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। যদিও বাসের চালকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে এক্সপ্রেসওয়ের টোল ফাঁকি দিয়ে সার্ভিস রোড দিয়ে অজস্র ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস চলতে দেখা যায়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এতে সরকার বিপুল পরিমাণ আয়কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।


ঈদযাত্রা   সড়ক   নৌপথ   ট্রেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষকের মর্যাদা-বেতনের বিষয় নিয়ে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার (০৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।


ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‌‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’


শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা হবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ বাঁচাতে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু প্রকল্প গ্রহণ করলে চলবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে হ্রদ বাঁচাতে। সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

শনিবার (০৪ মে) দুপুর ১টায় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্যোগে কাপ্তাই হ্রদে মাছ অবমুক্ত করণ ও মৎস্যজীবীদের বিজিএফ খাদ্য শষ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য এসব কথা বলেন মৎস্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এ হ্রদের সাথে শুধু মৎস্য সম্পদ নয়, জড়িত এ অঞ্চলের মানুষের ভবিষ্যত। সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে হ্রদকে পুনরুদ্ধার করতে। সরকারের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে এতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দীন, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আবদুল আলীম মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য ইনস্টিটিউট ড. মো. জুলফিকার আলী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বেগ প্রকাশ করে মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদ তার যৌবন হারিয়েছে। শুধুমাত্র রক্ষানাবেক্ষণের জন্য। হ্রদকে অপব্যবহার করা হয়েছে। হ্রদ বাঁচাতে হলে এ অঞ্চলের মানুষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। এ হ্রদে শুধু জেলে পরিবার নয়, জীবন বাঁচে লাখো মানুষের পরিবারের। হ্রদকে বাঁচাতে, হ্রদের মৎস্য প্রজনন ঠিক রাখতে অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সচেতন হতে হবে সবাইকে। তবেই হ্রদের প্রকৃত চিত্র ফিরে আসবে। পলিজমে হ্রদের যে তলদেশ ভরাট হয়েছে। তা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ঠিক করা যাবে। তবে পানি দূষণমুক্ত করতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। 

এর আগে মৎস্যজীবীদের রঙিন ছাতা ও খাদ্য শষ্য বিতরণ করেন অতিথিরা। একই সাথে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। 


মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী   মো. আব্দুর রহমান   কাপ্তাই হ্রদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেন কৃষিমন্ত্রীর ভাই

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের আপন ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ (বুলবুল)। অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন।

চেয়ারম্যান পদে অন্যরা হলেন সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান, চা-শ্রমিক নারীনেত্রী গীতা রানী কানু ও প্রবাসী চমন উদ্দিন।  

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী, মো. আলমগীর চৌধুরী, সুনীল কুমার মৃধা, মাওলানা এম এ ওয়াহাব ও নিরঞ্জন দেব।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু'জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী বিলকিস বেগম এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মুন্না দেব রায়। এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫৪৭ জন। 

বৃহস্পতিবার নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। 

কমলগঞ্জের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫৪৭ জন।


কৃষিমন্ত্রী   মৌলভীবাজার   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কাণ্ডারি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উদ্যোক্তাদের দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে, উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না তারা সমাজের আরও ১০ জনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন, ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুপার পাওয়ার আমেরিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও টেসলার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব করতে পারছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যানধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, একসময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ টেকসই করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।


স্থানীয় সরকার   পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী   মো. তাজুল ইসলাম   উদ্যোক্তা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘উগ্রবাদ থেকে দেশকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে’

প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে উগ্রবাদের বিস্তারের চেষ্টা করে থাকে একটি চক্র। ধর্মের অপব্যাখ্যাকে হাতিয়ার করে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের দীনের পথ বিচ্যুত করে তারা। এদের হাত থেকে প্রজন্ম ও দেশকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (৪ মে) ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সরকারি কলেজ ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে 'অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদ প্রতিহতকরণে ধর্মীয় নেতাদের করণীয়' শীর্ষক এক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। এই দেশের কোটি কোটি মুসলমানের জন্য দিশারি ইমামরা। তারা জনগণকে সম্প্রীতির কথা বলেন, তাই দেশে সম্প্রীতি বিরাজ করছে। যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সেমিনারে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কলেজ মসজিদের মাত্র সাড়ে পাঁচ শ ইমাম-মুয়াজিনের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। আশা করি, তিনি এ বিষয়ে সুনজর দিলে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ রাষ্ট্রের সব কাজে আরও ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। আর আমাদের দেশে যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো: আওলাদ হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলম, নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, একদল মানুষ আছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশাল শক্তিকে নানাভাবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টায় সচেষ্ট থাকে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ধর্মভিরু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে আমাদের সমাজকে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ ধরনের অপশক্তিকে রুখতে ভূমিকা রাখতে হবে আলেম ও বিজ্ঞজনদের।

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো আওলাদ হোসেন বলেন, আধুনিক প্রচারমাধ্যম এতই শক্তিশালী যে এর খারাপ ব্যবহারটা খুবই ভয়ানক। এর অপব্যবহারকে সহজ করে দেখা যাবে না। অনলাইন প্রচারমাধ্যমের অপব্যবহার প্রতিরোধের জন্য প্রথমত ইমামদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি একটি সমাজকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে বদলে দিতে পারেন। ধর্মীয় বিজ্ঞজনের কথা এই সমাজকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণর্সের আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, অধ্যাপক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ ও বায়তুল মোকাররমের প্রধান খতীব মাওলানা মুফতী রুহুল আমীন প্রমূখ।


উগ্রবাদ   ড. মো আওলাদ হোসেন   ইসলামিক ফাউন্ডেশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন